তিন প্রকল্পে দ্রুত বরাদ্দের আবেদন
লপাইগুড়ি শহরের তিনটে প্রকল্পকে ‘অগ্রাধিকারের’ তালিকায় রেখে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় উদ্যোগী হয়েছেন জলপাইগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। বাম সরকারের আমলে প্রকল্পগুলি রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়। তিনটির মধ্যে একটি প্রকল্পে মাত্র দেড় শতাংশ টাকা গত রাজ্য সরকারের আমলে বরাদ্দ করা হয়। বাকি প্রকল্পের কাজ এগোয়নি। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রকল্পগুলি হল জলপাইগুড়ি শহরের জলনিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা, শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া করলা নদীর নাব্যতা ফেরানো এবং শহরের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি। পুরসভা সুত্রে জানানো হয়েছে, শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রাথমিক সমস্যাগুলির সমাধানের জন্যই এই তিনটে প্রকল্প তৈরি করা হয়. বাম সরকারের আমলে প্রকল্পগুলিকে অনুমোদন করা হলেও আর্থিক বরাদ্দ পায়নি পুরসভা. সে কারনে কোনো প্রকল্পই দিনের আলো দেখতে পায়নি। রাজ্যে ‘জোট’ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ায় কংগ্রেস পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভা প্রকল্পগুলিতে আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে আশাবাদী। সে কারণেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করতে ‘অগ্রাধিকারের’ তালিকা তৈরি করেছে পুরসভা। পুরসভা সুত্রে জানানো হয়েছে, সবে মাত্র ৬ মাস রাজ্যে নতুন সরকার এসেছে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারকে প্রকল্পগুলির কথা জানানো হয়েছে। নগরোন্নন দফতর থেকে কিছু আশ্বাসও মিলেছে। দ্রুত প্রকল্পগুলির কাজ শুরু করতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “শহরের পরিকাঠামো গত সঙস্কারের জন্যই তিনটে প্রকল্প রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছিল। রাজ্য সরকার আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ হয়নি। রাজ্যে নতুন সরকার এসেছে। এই সরকারের আমলে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করে দিতে চাইছি। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এবার পুরসভা নিজেও বিষয়গুলি নিয়ে উদ্যোগী হবে।” ফি বছর বর্ষার সময়ে জলপাইগুড়ি শহরের অন্তত ৭ টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জলবন্দি হয়ে থাকতে হয়। শহরের প্রধান প্রধান এলাকাগুলি বাদে সে ভাবে নিকাশি ব্যবস্থা গড়েই ওঠেনি। ২০০৬ সালে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করতে ৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়। সেই প্রকল্প রাজ্য অনুমোদন করলেও শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ১ কোটি এবং পুর উন্নয়ন দফতর থেকে ২ কোটি টাকা মেলে। পরে প্রকল্পে কোনও অর্থবরাদ্দ না হওয়ায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র শহরের পান্ডাপাড়া এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার কাজ শুরু হওয়ার পরে কাজ থমকে গিয়েছে। শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া করলা নদী নাব্যতা হারিয়ে কার্যত মজে যাওয়া খালের আকার নিয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে করলা নদীর নাব্যতা ফেরাতে করলা আকশন প্রকল্প তৈরি করে বিস্তারিত সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিয়েছে পুরসভা। তার পরে বিষয়টি নিয়ে একচুলও কাজ এগোয়নি বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে করলা আকশন প্ল্যানের প্রতিলিপি তুলে দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। জলপাইগুড়ি শহরে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজম্যান্ট প্রকল্পে বর্জ সংগ্রহ করা হলেও ডাম্পিং গ্রাউন্ডের অভাবে প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। বর্তমানে শহর লাগোয়া পাঙ্গা এলাকার যে ডািম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা ফেলা হয়। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা যায়নি। জেলা প্রশাসন আশ্বাস দিলেও সলিড ওয়েস্ট প্রকল্পের উপযোগী ডাম্পিঙ গ্রাউন্ড তৈরির জন্য প্রায় ৩ একর জমি পুরসভাকে খুঁজে দিতে পারেনি। বর্তমানে যে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলা হয়, সেখানে বাসিন্দাদের বাধায় সেখানে আগামী জানুয়ারী মাস থেকে ময়লা ফেলা যাবে না। নতুন ডাম্পিং গ্রাউন্ড না তৈরি হলে শহরের আবর্জনা অপসারণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, “এই প্রকল্পগুলি নিয়েই চিন্তায় রয়েছি। নতুন ভাবে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় উদ্যোগী হয়েছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.