|
|
|
|
পাহাড়ে ভূমিকম্প |
প্রতিশ্রুতি মিলছে, টাকা মিলছে না, অভিযোগ মোর্চার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভূমিকম্প এলাকার পুনর্গঠনে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি মতো টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ভূমিকম্পের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং পাহাড়ে গিয়েছিলেন। তারপরে রাজ্য ও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দুর্গত মানুষদের জন্য অর্থ বরাদ্দের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
বুধবার মহাকরণে মোর্চার কালিম্পঙের বিধায়ক তথা প্রচারসচিব হরকাবাহাদুর ছেত্রী বলেন, “প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকার প্রায় কোনও আর্থিক সাহায্য করেনি।” ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দার্জিলিংয়ে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলারও। ঘটনার পরেই কেন্দ্রের কাছে ১০০০ কোটি টাকা দাবি করে মোর্চা। আর ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব করে রাজ্যের কাছে ৪৯২ কোটি টাকার দাবি জানানো হয় বলে জানান হরকা বাহাদুর। তাঁর অভিযোগ, “আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকার অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকা।” মোর্চা নেতার অভিযোগের জবাবে রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এখনও কিছু পাঠায়নি। আর রাজ্য এ পর্যন্ত দিয়েছে ৫৫ কোটি টাকা (এর মধ্যে জলপাইগুড়িকে ৫ কোটি টাকা)। দ্রুত আরও কিছু অর্থ পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে।” ভূমিকম্পের ক্ষতি বাবদ রাজ্যের কাছে আলাদা করে ৪৯২ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বলে যে দাবি করেছেন হরকা, তা মানতে চাননি মুখ্যসচিব। তাঁর কথায়, “উনি দাবি করতে পারেন। কিন্তু আমার জানা নেই।”
উত্তরপ্রদেশকে ভেঙে চার ভাগ করার প্রস্তাব নিয়ে দার্জিলিং আলোড়িত হলেও উন্নয়ন ও পুনর্গঠনেই মনোনিবেশ করতে চাইছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে যে দাবিকে সামনে রেখে তাঁরা পাহাড়ে কর্তৃত্ব কায়েম করেছেন, তা যাতে হাতছাড়া না হয়, সে জন্য দলের যুব সংগঠনকে আন্দোলনে নামার নির্দেশ দিয়েছেন মোর্চা নেতৃত্ব। যুব সংগঠনকে আসরে নামালেও তা নিয়ে বিবৃতি দিয়ে মোর্চা নেতারা কেন্দ্র ও রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে যেতে চাইছেন না। কারণ, তাতে জিটিএ বিল অনুমোদনের কাজে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
তাই জোর দিয়েছেন ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির পরে দার্জিলিঙের পাহাড়ের পুনর্গঠনের উপরে।
মোর্চার অন্দরের খবর, দলের নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দ্রুত উন্নয়ন ও পুনর্গঠনের জন্য বরাদ্দ আদায়ের জন্য বিধানসভায় তিন বিধায়ক সরব হবেন। পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশকে ভাগ করার প্রস্তাব নিয়ে যাতে পাহাড়ের অন্য কোনও দল প্রচারে নামতে না পারে, সে জন্য যুব সংগঠনকে আসরে নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্য জানান, জিটিএ চুক্তি হলেও তাঁরা ‘হৃদয়ে গোর্খাল্যান্ড’-এর দাবি নিয়েই উন্নয়ন ও পুনর্গঠনের কাজে এগোচ্ছেন। কারণ, পাহাড়ে আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে আন্দোলনের অধিকার একমাত্র তাঁর দলেরই রয়েছে বলে একাধিকবার ঘোষণা করেছেন মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। তবে সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে গুরুঙ্গ কোনও বিবৃতি দেননি। তাঁর দলের যুব নেতারাই আলাদা রাজ্যের দাবিকে সামনে রেখে ১৮ ডিসেম্বর মংপুতে সভা ডেকেছেন। |
|
|
|
|
|