‘রহস্যজনক’, তদন্ত চাইলেন অশোক
দুর্ঘটনায় মৃত যুব নেতা
প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে পিক-আপ ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হল ডিওয়াইএফের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের। বুধবার ভোরে ফাঁসিদেওয়ার লিউসিপাখুরি এলাকায় সুজিত রায় (৩৫) নামে ওই ডিওয়াইএফ নেতার মৃত্যু ‘রহস্যজনক’ বলে দাবি করেন রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “সুজিত ওই এলাকায় জনপ্রিয় যুব-নেতা। তাঁর মৃত্যু রহস্যজনক। কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দরকার। নানা সন্দেহ হচ্ছে। এসপি-কে বলেছি।” ডিওয়াইএফ দার্জিলিং জেলা সম্পাদক শঙ্কর ঘোষও সুজিতের মৃত্যুর পেছনে ‘রহস্য’ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভলগির বক্তব্য, “তদন্তে মনে হয়েছে, এটা দুর্ঘটনা। কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়েনি।” কলেজ-জীবন থেকে বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সুজিতবাবুর বাড়ি রাবভিটা গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলে শিক্ষাকর্মী ছিলেন। রোজ ভোরে হাঁটতে বেরোতেন। এ দিন তাঁর সঙ্গী ছিলেন নকুল রায় এবং কালীপদ রায়। পুলিশ সূত্রের খবর, ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ শিলিগুড়িগামী একটি পিক-আপ ভ্যান আচমকা ধাক্কা মারলে সুজিত ছিটকে পড়েন। জখম হন কালীপদ। সুজিতকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কালীপদকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। গাড়িটির হদিস করতে পারেনি পুলিশ। সুজিতের সঙ্গী নকুলবাবু বলেন, “কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলাম।
মৃত ডিওয়াইএফ নেতাকে শিলিগুড়ির দলীয় কার্যালয়ে শেষ
শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন অশোক ভট্টাচার্য। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
হঠাৎ একটা আওয়াজ শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি, রাস্তায় কালীপদ আর পাশের খাদে সুজিত পড়ে রয়েছে। সুজিতের মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল।” সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় সদস্য সুজিত বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে জিতে তিনি ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা হন। সজ্জন বলে পরিচিত এই যুবকের মৃত্যুসংবাদে সিপিএম ছাড়া অন্য দলের নেতারাও হাসপাতালে যান। সেখানে উপস্থিত ফাঁসিদেওয়ার কংগ্রেস নেতা তথা মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা আইনুল হক, পঞ্চায়েত সমিতি কংগ্রেসের সভাপতি প্রণবেশ মণ্ডলেরা বলেন, “আলাদা দল করলেও সুজিতের সঙ্গে হৃদ্যতা ছিল। ভাল মানুষ ছিলেন।” সুজিতবাবুর মরদেহ এ দিন শিলিগুড়ির অনিল ভবনে সিপিএমের পার্টি অফিস, পঞ্চায়েত সমিতি-সহ নানা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সুজিতবাবুর দুই মেয়ে। বড়টি বছর সাতেকের। ছোটর বয়স ১ বছর ৩ মাস। তাঁর স্ত্রী মঞ্জুদেবী বললেন, “হেঁটে ফিরে উনি বড় মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতেন। তার পরে স্কুলে বেরনোর কথা। এ দিন এমন হবে, কে জানত!”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.