দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রচারে নেমে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু অভিযোগ করলেন, রাজ্যে তৃণমূল সরকার ‘স্বৈরতন্ত্র’ কায়েম করেছে। সিপিএম প্রার্থী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে বুধবার বেহালায় এক প্রচারসভায় বিমানবাবু বলেন, “বামপন্থীরা ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ধীরে ধীরে খর্ব করা হচ্ছে।”
বস্তুত, ওই প্রচারসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘স্বৈরতন্ত্র’ কায়েমের অভিযোগকেই এ দিন হাতিয়ার করেন বিমানবাবু। তাঁর বক্তব্য, “প্রথমে কমিউনিস্ট তথা বামপন্থীদের উপরে, সাধারণ মানুষের উপরে আক্রমণ হল। তার পরে যে কংগ্রেস রাজ্যে সরকারে আছে, তাদের উপরেও আক্রমণ হচ্ছে। দু’-একটা ক্ষেত্রে বিজেপি-র উপরেও আক্রমণ হচ্ছে। স্বৈরতন্ত্রের এটাই নিয়ম।” মাওবাদী প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ‘অবস্থান বদল’কেও কটাক্ষ করেন বিমানবাবু। বিশ্ববিদ্যালয়-অর্ডিন্যান্সেরও সমালোচনা করে বিমানবাবু বলেন, “একতরফা ভাবে স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় এই অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছে।” এলাকার ভোটারদের ‘সতর্ক’ করে তিনি আবেদন করেন, “এই স্বৈরাচারী শক্তিকে প্রসারিত হতে দেবেন কি না, সেটা আপনাদের ঠিক করতে হবে।” প্রার্থী ঋতব্রতের ‘যোগ্যতা’ ব্যাখ্যা করে বিমানবাবু বলেন, “এখানে আপনারা যদি ওকে ভোট দেন, তা হলে সংসদে বামপন্থীরা সমস্ত বিষয়ে বিকল্প নীতি তুলে ধরতে পারবেন।”
এ দিন রাজ্যপালকেও নিশানা করেন বিমানবাবু। তিনি বলেন,“রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি। কিন্তু মাঝে মাঝে তিনিও রাজনীতি করে ফেলছেন। এটা ঠিক নয়।” বিমানবাবু জানান, বামপন্থীরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের সন্ত্রাস ও অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। বামফ্রন্টের চেয়্যারম্যান বলেন, দিল্লিতে সভা করে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও তাঁরা অনেক তথ্য দিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু সে ক্ষেত্রেও সুরাহা কিছুই হয়নি। সেই কারণেই ২৮ তারিখে বামেরা আইন অমান্য করতে বাধ্য হচ্ছে।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে তৃণমূলের ‘ব্যর্থতা’র সমালোচনা করেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রবীর দেবও। অন্য দিকে, দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত বক্সীর সমর্থনে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস এ দিনই হাজরা থেকে গোলপার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা করে। |