টুকরো খবর
চাকরিতে ২০% সংরক্ষণ দাবি করল জমিয়তে
চাকরি ক্ষেত্রে মুসলিমদের জন্য ২০% শতাংশ সংরক্ষণ দাবি করল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ মাহমুদ আসাদ মাদানির বক্তব্য, নতুন সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করবেন। বারুইপুর অমৃতলাল কলেজ মাঠে বুধবার এক জনসভায় জমিয়তের রাজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুলা চৌধুরী বলেন, “নতুন সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, চাকরি ক্ষেত্রে ২০% সংরক্ষণ চাই। এই সরকার বন্ধু সরকার। আমরা এই সংরক্ষণের বিষয়ে আশাবাদী।” প্রসঙ্গত, বিগত বামফ্রন্ট সরকার অনগ্রসর মুসলিমদের জন্য ওবিসি-র আওতায় ১০% সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছিল। আরও ১০% সংরক্ষণ বাড়ানোর দাবি তুলছেন সিদ্দিকুল্লারা। ওই সভায় মাদানি বলেন, “আগের সরকারের কাছে দীর্ঘ দিন ধরে নানা দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। আশা করি, এই সরকার কিছু করবে। আমরা অপেক্ষা করব।” রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পরে বিভিন্ন থানায় হামলা ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সিদ্দিকুল্লা এই প্রবণতা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন।

একটানা অনশনে আংশিক সময়ের কলেজ শিক্ষকেরা
সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে নির্দেশও গিয়েছে বদলে। প্রতিবাদে টানা অনশন করছেন ওই শিক্ষকেরা। ২০১০-এর সেপ্টেম্বরে বাম সরকারের নির্দেশ ছিল, কলেজে আংশিক সময়ের শিক্ষকেরা ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন। এ বছরের সেপ্টেম্বরে নয়া সরকার নির্দেশ দিয়েছে, প্রতি বছরই কলেজে চাকরির নবীকরণ আবশ্যিক। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করেই সোমবার থেকে কলেজ স্কোয়ারে অনশন চালাচ্ছে আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সংগঠন কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (কুটাব)। সংগঠনের বক্তব্য, মঙ্গলবার বিষয়টি রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও জানানো হয়েছে। কিন্তু সংগঠনের নেত্রী মমতা সরকারের অভিযোগ, বুধবার ২-৩ জন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়লেও সরকারের তরফে তাঁদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগই করা হয়নি। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বুধবার বলেন, “কোন কলেজে এই ধরনের কত শিক্ষক আছেন, আমরা কলেজগুলির কাছে তা জানতে চেয়েছি। এতে কোনও শিক্ষকেরই বাদ পড়ার আশঙ্কা নেই।”

সরকারি জমি বেচতে সায় চাই মন্ত্রিসভার
ইচ্ছে করলেই যে-কোনও সরকারি সংস্থা আর তাদের জমি বিক্রি করতে পারবে না। তার জন্য প্রয়োজন হবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন। বুধবার সল্টলেকে উন্নয়ন ভবনে কেএমডিএ-র একটি অনুষ্ঠানে এ কথা জানান রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আগামী জানুয়ারিতে কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট বা কেআইটি-র ১০০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। কেআইটি-র কাজকর্মের ক্ষেত্র কী ভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সরকার। এ দিনের অনুষ্ঠানে পুরমন্ত্রী বলেন, “বামফ্রন্টের আমলে ওই সংস্থার বহু জমি ইচ্ছেমতো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে রাজ্য সরকার জমি ব্যাঙ্ক তৈরি করছে। এ বার থেকে যে-কোনও জমি বিক্রির ক্ষেত্রেই মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিতে হবে সরকারি সংস্থাকে।” সেই সঙ্গে কেআইটি-কে সচল করতে কেএমডিএ ও কলকাতা পুরসভা আবার একই ছাতার তলায় কাজ করবে বলেও জানান পুরমন্ত্রী। কেএমডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে জানান, কেআইটি-র গরিমা ফিরিয়ে আনতে চান তাঁরা। পরে মেয়র বলেন, “বর্তমানে শহরের সৌন্দর্যায়ন কিংবা পরিবেশ রক্ষায় কেআইটি-কে যুক্ত করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে কলকাতায় এই সংস্থার যে-সব সম্পত্তি রয়েছে, সেগুলি উদ্ধার করতে হলে কেএমডিএ, কলকাতা পুরসভাকে কেআইটি-র সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। এ দিন কেএমডিএ-র সদর দফতর উন্নয়ন ভবনে ‘মহানায়ক মঞ্চ’ প্রেক্ষাগৃহের উদ্বোধন করেন পুরমন্ত্রী এবং মেয়র। উপস্থিত ছিলেন পুরসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব দেবাশিস সেন, বিধায়ক সুজিত বসু প্রমুখ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.