টুকরো খবর
বলরামপুরে তৃণমূলকর্মী খুনের দায় নিয়ে চিঠি মাওবাদীদের
বলরামপুরে তৃণমূলকর্মী-সহ তিন জনকে খুনের দায় স্বীকার করে মাওবাদীদের নামাঙ্কিত চিঠি এল সংবাদমাধ্যমের কাছে। তাতে সিপিআই (মাওবাদী)-এর পুরুলিয়া কমিটির তরফে অক্ষয় দাবি করেছেন, ভৈরব বাহিনীর সদস্য তথা ‘পুলিশের দালাল’ জিতু সিংহ সর্দার এবং বাহিনীর ‘মাস্টারমাইন্ড’ অজিত সিংহ সর্দার ও তাঁর ছেলে বাকুকে ‘গণ আদালতের রায় অনুযায়ী পিএলজিএ (গণমুক্তি গেরিলা ফৌজ) চরম শাস্তি দিয়েছে’। বলরামপুরের ঘাটবেড়ায় জিতুকে খুন করা হয় ৩ নভেম্বর রাতে। ১৪ নভেম্বর ঘাটবেড়ার কাছে খুনটাঁড় গ্রামে খুন হন তৃণমূল কর্মী রাজেন সিংহ সর্দারের বৃদ্ধ বাবা অজিত ও ভাই বাকু। মাওবাদীদের নামাঙ্কিত চিঠিটি ২০ নভেম্বর লেখা হলেও সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে বুধবার। চিঠির বক্তব্য, জঙ্গলমহলে যৌথ বাহিনী ও ভৈরব বাহিনীর (তৃণমূলের) সন্ত্রাস চরমে উঠেছে। এর প্রতিবাদে ২৬ ও ২৭ নভেম্বর পুরুলিয়া জেলা বন্ধের ডাক দেওয়া হচ্ছে। চিঠিতে আরও অভিযোগ, ‘চোর- ডাকাত- সমাজবিরোধী-ধান্দাবাজদের নিয়ে গঠিত তৃণমূলের ভৈরব বাহিনী পুরুলিয়ার বান্দোয়ান, বলরামপুর, বাঘমুণ্ডি-সহ বিভিন্ন থানা এলাকায় ‘সশস্ত্র ক্যাম্প’ তৈরি করেছে। ৫০টি গ্রামে হামলা চালিয়েছে তারা। এলাকার তৃণমূল কর্মীদের ৭ দিনের মধ্যে ‘ভৈরব বাহিনী’ ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “তৃণমূল এই ধরনের ক্যাম্পের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। মাওবাদীরাই নিরীহ লোকেদের খুন করছে। ওদের হত্যার রাজনীতির প্রতিবাদ করাতেই তৃণমূলকে বদনাম করতে উঠেপড়ে লেগেছে।”

বিয়ে রোখা তিন কন্যাকে ডাক রাষ্ট্রপতির
বিয়ে রুখে দেওয়া পুরুলিয়ার আরও তিন কিশোরীকে ডাকলেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল। ৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি ভবনে মুক্তি মাঝি, সঙ্গীতা বাউরি ও বীণা কালিন্দী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার ডাক পেয়েছে। বুধবার এ কথা জানান পুরুলিয়ার জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ। আড়শা থানার হারমাডি গ্রামের মুক্তি, পুরুলিয়া মফস্সল থানার লাগদা গ্রামের সঙ্গীতা এবং বাঘমুণ্ডি থানার ভুরসু গ্রামের বীণা পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেদের বিয়ে রুখে দিয়েছিল। এর আগেও পড়তে চেয়ে বিয়ে রুখে রাষ্ট্রপতির পুরস্কার পেয়েছে এই জেলারই গ্রামের রেখা কালিন্দী, সুনীতা মাহাতো এবং আফসানা খাতুন।

প্রতারণা, ধৃত দুই
হোমগার্ডে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল প্রভাকর মাহাতো ও ফটিক মাহাতো। কেন্দা থানার বালকডি ও সুরতডি গ্রামে তাদের বাড়ি। মঙ্গলবার রাতে পুরুলিয়া মফস্সল থানার ডুরকু গ্রাম থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিন জেলহাজত হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলমহলে হোমগার্ড নিয়োগের পক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২১ নভেম্বর থেকে পুরুলিয়া শহরে এই জেলার চাকরি প্রার্থীদের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পুলিশের দাবি, কিছু চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই দুই যুবক ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ওই চাকরি প্রার্থীরা পুলিশকে ঘটনার কথা জানানোর পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

তার চুরি, ধৃত দুই
বিদ্যুতের তার চুরি করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে সাঁওতালডিহি থানার পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের বোকারোর বাসিন্দা পিন্টু বার্নওয়ালকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ চিরকুণ্ডার রোশন বার্নওয়ালকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে। রঘুনাথপুরের বিচারক মঙ্গলবার পিন্টুকে চারদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বুধবার রোশনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশের দাবি, তারা চলতি বছরের অগস্ট মাসে সাঁওতালডিহি এলাকায় বিদ্যুৎবাহী তার চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত। এ ছাড়া পিন্টুর বিরুদ্ধে পুরুলিয়ার ঝাপড়াতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতি করার অভিযোগ রয়েছে।

পরিদর্শনে কারা আধিকারিকেরা
রঘুনাথপুর উপসংশোধনাগার নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করলেন কারা দফতরের এডিজি কল্যাণ প্রামাণিক। বুধবার রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক, পূর্ত দফতরের আধিকারিক ও পুলিশ কর্তাদের নিয়ে উপসংশোধনাগার নির্মাণের কাজ তিনি খতিয়ে দেখেন। ছিলেন ডিআইজি (কারা) শোভনকুমার দীন। পরে মহকুমাশাসকের দফতরে তাঁরা বৈঠক করেন। প্রসঙ্গত, রঘুনাথপুর মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের অদূরে গোবিন্দপুর গ্রামের পাশে নির্মিত হচ্ছে এই উপসংশোধনাগার। আড়াই দশক ধরে নির্মাণ কাজ চলছে। দীর্ঘ সময় ধরে তা সম্পূর্ণ না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে আইনজীবীদের মধ্যে। পুলিশ ও বন্দিদের পরিবারের লোকেরাও সমস্যায় পড়েছেন। তবে পূর্ত দফতর জানিয়েছে, টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়াতেই বিলম্ব হচ্ছে। এ দিন মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) আবিদ হোসেন বলেন, “সামান্য কাজ এখনও বাকি রয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই আমরা উপসংশোধনাগারটি চালু করে দিতে চাই।”

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
পথ দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে ওন্দার রামসাগরের কাছে, বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের একটি বাস ওই যুবককে চাপা দেয়। মৃতের নাম সাধন নন্দী (৩৫)। বিষ্ণুপুরের কৈলাসতলায় তাঁর বাড়ি। বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি সাইকেলে রামসাগরের দিকে যাওয়ার সময় উল্টোদিক থেকে আসা বাসটি তাঁকে চাপা দেয়। চালক পালিয়েছে। খোঁজ চলছে।

ইন্দাসে ধৃত ২
পড়শির বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ইন্দাসের রোল গ্রামের বাসিন্দা পরো রুইদাস ও কানাই রুইদাসকে মঙ্গলবার পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে সিদ্দিক মণ্ডলকে মারধরের অভিযোগ আছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.