সৌরবিদ্যুৎ পৌঁছল, খুশি আদিবাসী পাড়ায়
সৌরচালিত বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হল মহম্মদবাজার ব্লকের ভাড়কাটা পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে। উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মহম্মদবাজারের কাপাসডাঙা শাখা। বুধবার এই উপলক্ষে হুচুকপাড়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় ফার্মাস ক্লাব। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দাস, ওই ব্যাঙ্কের সিউড়ির রিজিওনাল ম্যানেজার অজয়কুমার চন্দ্র, নাবার্ডের বীরভূম শাখার ডি ডি এম প্রশান্ত সাহা প্রমুখ।
এ দিন হুচুকপাড়া গ্রামের বিপিএলভুক্ত এক বাসিন্দার বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সব্যসাচীবাবু। খুব শীঘ্রই ওই গ্রাম ছাড়াও আপাতত পলাশবুনি, নিমপাহাড়ি, চরকাইপুর, আগয়া-সহ ৫০টি গ্রামে ওই বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। ওই ব্যাঙ্কের সিউড়ির রিজিওনাল ম্যানেজার অজয়বাবু বলেন, “মাস পাঁচেক আগে এলাকায় ফার্মাস ক্লাব গঠনের জন্য গিয়ে দেখেছিলাম এলাকার বহু গ্রাম বিদ্যুৎহীন। তখনই বিভিন্ন গ্রামে জওহরলাল নেহেরু জাতীয় সৌর মিশনের অধীনে সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিই। তবে এলাকার ৫০টি পরিবার ওই বিদ্যুতের জন্য আবেদন জানান।”
সোলার প্লেট দেখছেন গ্রামবাসীরা। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানান, গত কয়েক মাসে রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পে এলাকায় বিদ্যুতের পোল পোঁতা হয়েছে। হুচুকপাড়া-সহ কয়েকটি গ্রামে আংশিক বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
উদ্যোক্তা ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দু’রকম ভাবে যথাক্রমে ২৪ হাজার ও ১৩ হাজার টাকায় সৌর বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। ২৪ হাজারের ক্ষেত্রে ৪টি আলো জ্বালানো যাবে। অতিরিক্ত দু’টি পয়েন্টে পাখা ও টিভি চালানো যাবে। ওই ২৪ হাজার টাকার মধ্যে উপভোক্তারা ৫৯৯০ টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছেন। নাবার্ড অনুদান দিয়েছে ৬৬৬০ টাকা। বাকি ১২ হাজার টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাঙ্ক। বছরে ৫ শতাংশ সুদে ৫ বছরে সহজ মাসিক কিস্তিতে ওই টাকা পরিশোধ করতে হবে উপভোক্তাদের। আর ১৩ হাজার টাকা প্রকল্পের জন্য উপভোক্তারা পাবেন ২টি লাইট ও ১টি অতিরিক্ত পয়েন্ট। এ জন্য উপভোক্তারা আগাম দিয়েছেন ৪৫২০ টাকা। নাবার্ড অনুদান দিয়েছে ৩৩৩০ টাকা। বাকি টাকা প্রথম প্রকল্পের মতই পরিশোধ করতে হবে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রচুর জামায়েত দেখে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সব্যসাচীবাবু প্রাথমিক স্কুলে সৌর বিদ্যুৎ ও পুরনো কম্পিউটার বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন। রাসবন্দি মাড্ডি বলেন, “আমরা কয়েকটি পরিবার যখন সৌর বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছিলাম তখন গ্রামে ও এলাকায় বিদ্যুই ছিল না। গত কয়েক মাসে বিক্ষিপ্ত ভাবে ককেয়টি বিদ্যুৎ এসেছে। তা সত্বেও সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে লাভবান হব। কেন না বিদ্যুতের বিল দিতে হবে না। তবে মাসে ১৫০ টাকা করে ঋণ শোধ করতে হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.