গাইঘাটায় বধূর অপমৃত্যু, বাড়ি ভাঙচুর |
এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। গাইঘাটার নলকুড়া গ্রামের বাসিন্দা অর্চনা সরকার নামে মৃত ওই বধূর শ্বশুরবাড়িতে বুধবার ভাঙচুর চালালেন কিছু গ্রামবাসী। বধূর স্বামী বা পরিবারের লোকজন অবশ্য তখন বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশ এসে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করতে যাওয়া হলেও পুলিশ তা নেয়নি। সোমবার সকালে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় বাড়ির কাছের একটি কাঁঠাল গাছ থেকে বছর বত্রিশের ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্বামী দিলীপ ও বাড়ির লোকজন মারধর করে অর্চনাকে গাছে ঝুলিয়ে দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোমবার গ্রামবাসীরা থানায় স্মারকলিপি দেন। মঙ্গলবার অর্চনার কাকাকে নিয়ে থানায় নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করাতে যান গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার সেই সময় অভিযোগ নেননি। তিনি বধূর বাবার নাম-ঠিকানা জানতে চান। তা ছাড়া, বধূর কাকাকে সচিত্র পরিচয়পত্রও জমা দিতে বলেন। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গাইঘাটা থানার কর্তব্যরত ওই পুলিশ অফিসারের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসডিপিও (বনগাঁ) জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মৃতা বাংলাদেশি বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। সেই কারণে নির্দিষ্ট অভিযোগের সময় বধূর বাবার নাম-ঠিকানা এবং কাকার সচিত্র পরিচয়পত্র চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু মৃতার কাকা তা দিতে রাজি হননি। আপাতত ওই স্মারকলিপির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তেরা পলাতক।”
|
স্বরূপনগরে কংগ্রেসের বিক্ষোভ |
সারের দাম বৃদ্ধি, কৃষিপণ্যের দাম কম পাওয়া-সহ ১৪ দফা দাবিতে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর বিডিও অফিসে লাঙল-গরু নিয়ে বুধবার বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। বিক্ষোভের জেরে পুলিশের সঙ্গে সামান্য ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। পরে বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। বিডিও-র কাছে ১৪ দফা দাবি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিডিও অরুণাভ পাল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মুজিবর রহমান বলেন, “এলাকার অধিকাংশ মানুষ সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফসলের নায্য দাম পাচ্ছেন না তাঁরা। এ ভাবে চলতে থাকলে আত্মহত্যার পথ ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না তাঁদের।”
|
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আইন অমান্য করল বামফ্রন্টের কর্মী-সমর্থকেরা। বুধবার দুপুরে বসিরহাট টাউন হল চত্ত্বর থেকে জেলা কৃষক সভার সম্পাদক নারায়ণ মণ্ডল, বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক নারায়ণ মুখোপাধ্যায়, দলীয় নেতা নীহারেন্দু চট্টোপাধ্যায়, নিরঞ্জন সাহা, মৃণাল চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম, ভুবন মণ্ডল, অজয় চক্রবর্তী-র নেতৃত্বে হাজার দু’য়েক কর্মী-সমর্থক মিছিল বের করে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। এসডিপিও আনন্দ সরকারের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী মোতায়েন ছিল। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পরে বিক্ষোভকারীরা মহকুমাশাসকের দফতরে ঢুকে পড়ে। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
|
গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম ৯ তৃণমূল সমর্থক |
পাওনা টাকা নিয়ে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম হলেন তৃণমূলের ৯ জন। বুধবার ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের জীবনতলার দক্ষিণ দাহারানি গ্রামে। আহতদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে একটি চায়ের দোকানে হান্নান সর্দার ও কুতুব সর্দার নামে দুই তৃণমূল সমর্থকের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। একটু পরে দু’জনের লোকজন জড়ে হয়ে গিয়ে পরস্পরের দিকে ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। তাতে দু’পক্ষেরই ৯ জন জখম হন। এই ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে নেমে পুলিশ মোজাম্মেল মোল্লা ও বাহাদুর মোল্লা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ে তৃণমূল নেতা শৈবাল লাহিড়ী এবং মানিক পাইকের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই নানা বিষয়ে বিবাদ চলছে। হান্নান সর্দার, মানিক পাইক এবং কুতুব, শৈবাল লাহিড়ী গোষ্ঠীর সদস্য। |