|
|
|
|
ধান কেনা দেখতে হুগলি ঘুরে গেলেন খাদ্যমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ ও চুঁচুড়া |
ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়ে জেলা সদর চুঁচুড়ায় প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সরকারি রূপরেখা ব্যাখা করলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এ দিনের ওই বৈঠকে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, বিডিও ছাড়াও জেলার সব অঞ্চলের বিধায়কেরা হাজির ছিলেন। বেনফেড, কনফেডের উপর নির্ভরতা ছেড়ে ক্যাম্প করে সরাসরি ধান কিনে সরকার যে চাষিদের পাশে যে দাঁড়াতে চাইছে, মন্ত্রী এ দিন তা-ও স্পষ্ট করে দেন। চুঁচুড়ায় পৌঁছনোর আগে খাদ্যমন্ত্রী এ দিন আরামবাগ যান। সেখানেও তিনি সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে একদফা বৈঠক করেন।
আরামবাগে মন্ত্রী এ দিন সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার ব্যাপারে বিডিওদের বিশেষ উদ্যোগী হতে বলেছেন। বুধবার সকালে আরামবাগের হরিণখোলা ও পুড়শুড়া কৃষি খামার চত্বরে সরকারি মূল্যে ধান কেনার শিবিরে হাজির ছিলেন মন্ত্রী। পুড়শুড়ায় ব্লক অফিস চত্বরে আরামবাগের মহকুমাশাসক এবং ৬ জন বিডিওকে নিয়ে বৈঠক করেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক, চালকল মালিক ও কয়েক জন বড় চাষি হাজির ছিলেন সেখানে। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
মন্ত্রী বিডিওদের নির্দেশ দেন, চাষিদের কাছ থেকে সরকারি মূল্যে ধান কেনার ব্যাপারে গ্রামে গ্রামে মাইকে প্রচারের ব্যবস্থা করতে। শিবির বা চালকল যেখানে ধান কেনা হবে, সেখানে নিয়মিত নজরদারি চালাতেও বলেন। পঞ্চায়েত প্রধানদেরও তদারকি এবং প্রচারের কাজে নামানোর কথা বলেন মন্ত্রী।
আরামবাগ মহকুমায় চালকল মালিকগুলির কেউ কেউ দিন পনেরো আগে থেকেই সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। মহকুমাশাসকের কাছে এ ব্যাপারে একাধিক স্মারকলিপি জমা পড়েছে। এ দিন কংগ্রেস ফের একই অভিযোগ তুলে জেলার ১৮টি ব্লকে স্মারকলিপি দিয়েছে। ধান ছাড়াও সরকারি সহায়ক মূল্যে আলু কেনার দাবিও তুলেছে তারা।
এ দিকে, বুধবার সকাল থেকেই জেলাশাসকের অফিস থেকে সহায়ক মূল্যে ধান সংগ্রহের কর্মসূচি নিয়ে লিফলেট পাঠানো শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ও ব্লকে। আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, ‘‘আরামবাগের ৬টি ব্লকে আপাতত ৩০টি শিবির করে ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে শিবিরের সংখ্যা আরও বাড়বে। এ ছাড়া, চালকলগুলি সরাসরি ধান কিনছে।” চুঁচুড়া সার্কিট হাউসের বৈঠকে এ দিন মন্ত্রী জানান, হুগলিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। দালালদের এড়িয়ে সরাসরি চাষিদের থেকে ধান কিনতে যে সরকার বদ্ধ পরিকর তা তিনি জেলার আধিকারিকদের কাছে স্পষ্ট করে দেন। সরকারি কেনা ধান পরবর্তী পর্যায়ে রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে বণ্টন হবে। হুগির পাণ্ডুয়া, পোলবা-সহ বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে সরাসরি চাষিদের থেকে ধান কেনা হবে। ধান কেনার প্রসঙ্গ ছাড়াও এ দিন মন্ত্রী বলেন, হুগলিতে অভিযান চললেও এখন হুগলিতে ২ লক্ষ ৪০ হাজার ভুয়ো রেশন কার্ড রয়েছে। ওই সমস্ত কার্ড উদ্ধার করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|