গাছের সঙ্গে বাঁধা এবং গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার ভোরে হাবরার রুদ্রপুর থেকে আকবর মণ্ডল (৩৮) নামে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। নিহতের দাদা, আনোয়ার আলি মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাছেই একটি বাড়িতে নিমন্ত্রণ থাকায় পেশায় চাষি আকবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন। রাত ১০টা নাগাদ স্ত্রী জোহরা বিবিকে ফোন করে জানান, তাঁর ফিরতে দেরি হবে। কিন্তু রাত ২টোতেও তিনি না ফেরায় জোহরা দুশ্চিন্তায় পড়েন। স্বামীকে ফোন করেও তিনি পাননি। প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনকে ডাকেন জোহরা। শুরু হয় খোঁজ। পরে বাড়ির পাশের একটি মাঠের গাছে ওই অবস্থায় দেখতে পান আকবরকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আকবরের শরীরে মারধরের চিহ্ন ছিল। ঘটনাস্থলের কাছে পড়েছিল রড, ইট, মদের বোতল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ওই দাবি নিয়ে মন্তব্য করেনি পুলিশ। তারা জানায়, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলেই খুনের বিষয়টি পরিষ্কার হবে। খুনের কারণ নিয়ে অন্ধকারে আকবরের পরিবারের লোকজনও। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আকবরকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে যান উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক নারায়ণ সাহা। আসেন স্থানীয় কুমড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কিরণ গোলদার। নারায়ণবাবু বলেন, “আকবর দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। চাষের পাশাপাশি, টাকা লেনদেনের কাজও করতেন। দলীয় ভাবে খুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |