এক মহিলাকে খুনের অভিযোগে শাশুড়িকে রাতভর ঘরে আটকে রেখে পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দিলেন বৌমা।
সোমবার হাসনাবাদের পূবেরঘেরি গ্রামের বাসিন্দা সুধা ওরফে সবিতা পাইকের বাড়িতে তাঁর দাদা, ধরমবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কালীপদ মণ্ডল সুশীলা মণ্ডল নামে এক মহিলাকে নিয়ে আসেন। কালীপদবাবু সুশীলাদেবীকে ‘বোন’ পরিচয় দেন। সে কথা মানতে চাননি সবিতাদেবী। এ নিয়ে ভাইবোনের বচসা হয়। কালীপদবাবু সেখান থেকে চলে যান। মঙ্গলবার রাতে সবিতাদেবী এবং সুশীলাদেবী এক ঘরে শুয়ে ছিলেন। রাতে তাঁদের বচসা হয়। অভিযোগ, উত্তেজিত অবস্থায় দা নিয়ে সুশীলাদেবীকে (৩৫) কুপিয়ে খুন করেন সবিতাদেবী। পাশের ঘরে ছিলেন সবিতাদেবীর পুত্রবধূ চয়নিকা। চেঁচামেচিতে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। বাইরে বেরিয়ে তিনি দেখেন রক্তমাখা দা নিয়ে শাশুড়ি ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে। তিনি দরজার শিকল তুলে দেন। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা আসেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বুধবার সকালে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়।
হাসনাবাদ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, চয়নিকাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে দা’টি। নিহত মহিলা দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত অপরাধের কথা কবুল করেছেন। পুলিশের অনুমান, দাদার সংসার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সুশীলাদেবীকে খুন করেন সবিতাদেবী।
বিবাহিত কালীপদবাবু এক সময়ে সপরিবার দক্ষিণেশ্বরে ভাড়া থাকতেন। সুশীলাদেবী ছিলেন তাঁর প্রতিবেশী। তিনিও বিবাহিত। কালীপদবাবুর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। কিন্তু তা ভাল চোখে দেখেননি দুই পরিবারের লোকজনই। মাস দুয়েক আগে কালীপদবাবু হাসনাবাদের ধরমপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। তার পরেও সুশীলাদেবীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। দিন কয়েক আগে কালীপদবাবু সুশীলাদেবীকে নিজের বাড়িতে আনেন। পরিবারের লোকজনের কাছে সুশীলাদেবীকে ‘বোন’ হিসাবে পরিচয় করান। কিন্তু অশান্তির ভয়ে সেখানে না রেখে সুশীলাদেবীকে সবিতাদেবীর বাড়িতে রেখে আসেন। |