নদিয়ার তাহেরপুর নোটিফায়েড তৃণমূলের হাতেই থেকে গেল। এ বার পুরপ্রধান হলেন সুব্রত শীল। তিনি আগের পুরবোর্ডের উপপুরপ্রধান ছিলেন।
গত পুরসভা নির্বাচনে তাহেরপুর নোটিফায়েড এলাকার ১৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে তৃণমূলের ছিল ৬ জন, সিপিএমেরও ৬ এবং একজন জিতেছিলেন নির্দল হিসেবে। সেই নির্দল সদস্য নিরঞ্জন মিস্ত্রি তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকেই তারপরে পুরপ্রধান করে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। কয়েক মাস আগে তৃণমূল সদস্যেরাই নিরঞ্জনবাবুকে পুরপ্রধানের পদ থেকে অপসারিত করেন। সেই সময়ে সিপিএমের কয়েকজন কাউন্সিলরও নিরঞ্জনবাবুকে অপসারণের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। সেই সদস্যদের অবশ্য পরে সিপিএম দল থেকে বহিষ্কার করে দেয়। তাঁরা এখন নির্দল সদস্য হিসেবেই পুরসভায় রয়েছেন। কিছু দিন আগে নিরঞ্জনবাবুও সিপিএমে যোগ দেন। বুধবার পুরপ্রধান নির্বাচন নিয়ে ভোটাভুটিতে দেখা গেল, তৃণমূলের ৬ জন ছাড়াও আরও চার জন পুরপ্রধানের পদে সুব্রতবাবুর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সিপিএমের শরৎ বিশ্বাস পেয়েছেন তিনটি ভোট।
জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিধায়ক নরেশচন্দ্র চাকি বলেন, “সুব্রতবাবু খুবই ভাল লোক। এ বার তাঁর নেতৃত্বে শক্তিশালী বোর্ড এলাকার উন্নয়নে ভাল কাজ করবে।” নরেশবাবু বলেন, “নিরঞ্জন মিস্ত্রিকে আমরা পুরপ্রধান করেছিলাম। কিন্তু তিনি স্বজন পোষণ ও নানা ধরনের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাই তাঁকে কাউন্সিলরেরা সরিয়ে দিয়েছিলেন।” অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাক্তন চেয়ারম্যান নিরঞ্জনবাবুর বক্তব্য, “নোটিফায়েড দফতরের দুই অফিসারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, তা মেনে নিতে পারেননি তৃণমূলের একাংশ। সেই কারণে তাঁরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল। তাতে তাঁরা সফল হয়েছেন।” সিপিএমের হাঁসখালি জোনাল সম্পাদক অবনী বিশ্বাস বলেন, “ওই নোটিফায়েড এলাকায় এমন ফল হওয়াটাই স্বাভাবিক। এর আগে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার প্রশ্নে দলীয় হুইপ অমান্য করায় আমরা চার জন কাউন্সিলরকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলাম।” |