চার মাস ধরে অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শকের পদ খালি। ফলে ফাইলের পাহাড় জমছে মহকুমার চারটি ব্লকের স্কুলগুলোতে। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কোনও রকমে বেতন দেওয়ার কাজ হলেও আর কিছুই হচ্ছে না। এই সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। দফতরের অন্যান্য কর্মীরাও কোনও ব্যাপারেই এগিয়ে আসছেন না বলে অভিযোগ।
সমস্যার কথা স্বীকার করে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, “অগস্ট মাসে ওই অফিসার অবসর নিয়েছেন। এখন আমিই দায়িত্বে রয়েছি। তবে সব কাজ সামলে ওই এলাকায় যেতে পারছি না। যতটা করা সম্ভব আমি চেষ্টা করছি। ওই পদে লোক নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” রানাঘাটের অতিরিক্ত পরিদর্শকের দফতরের অধীনে রয়েছে রানাঘাট-১ ও ২ নম্বর ব্লক, শান্তিপুর এবং হাঁসখালি ব্লক। এই দফতরের অধীনস্থ প্রায় দেড়শোটার মত স্কুল। শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কিংশুক চক্রবর্তী বলেন, “পরিদর্শক না থাকায় আমাদের চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কোনও রকমে শিক্ষক এবং স্কুলের অন্য কর্মীদের বেতনটা হয়ে যাচ্ছে। বাকী কাজ ফাইল বন্দি হয়ে রয়েছে। শিক্ষকের সমস্যা, উন্নয়নমূলক কাজ-সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের বিষয়গুলো বন্ধই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের বিভিন্ন কাজে পরামর্শ চাওয়ার মত কেউ নেই।”
রানাঘাট ভারতী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রমাপ্রসাদ রায় বলেন, “পেনশন সংক্রান্ত কাজ বাদ দিলে স্কুলের বাকী ৯০ শতাংশ কাজই হয় ওই দফতরে। অথচ সেখানে কোনও কর্তা নেই। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই দায়িত্বে থাকলেও সব সময়ে তাঁকে পাওয়া যায় না।” এবিটিএ-র রানাঘাট মহকুমার সম্পাদক অলোক ভদ্র বলেন, “যে দিন ওই অফিসার অবসর নিয়েছিলেন, সেদিনই পদটি পূরণের জন্য জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত কাজ হয়নি। ফাইলের পাহাড় জমছে। একই অভিযোগ করলেন স্যাগাসিয়াস টিচার্স এন্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের রানাঘাট মহকুমার সম্পাদক সনৎকুমার সরকার। |