কার্ড পাননি ৮০ ভাগই
দু’টাকার চাল নিছকই ‘স্বপ্ন’
টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার জন্য দুঃস্থদের উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মতো নতুন রেশনকার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ৫ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু, কার্ড বিলি হয়েছে মাত্র ১ লক্ষ ৫ হাজার। অনেক কার্ড লেখা হয়েও পড়ে রয়েছে। বিলি হয়নি। অবিলম্বে চিহ্ণিত সমস্ত মানুষের হাতে কার্ড পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “শুধু কার্ডই নয়, সংশ্লিষ্ট মানুষজনের কাছে যাতে রেশন-সামগ্রী পৌঁছয়, তারও বন্দোবস্ত করতে হবে।”
জেলা পরিষদের খাদ্য সরবরাহ দফতরের স্থায়ী সমিতির বৈঠক ছিল বুধবার। সভাধিপতির অফিসেই এই বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ দীপক ঘোষ-সহ জেলা খাদ্য দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর স্থায়ী সমিতির বৈঠক হয়েছিল। গত বারের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর হয়েছে কি না, না-হলে কোথায় সমস্যা হচ্ছে, বৈঠকের শুরুতে সে সব নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি, বুধবারের বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। যেমন,
(১) সমস্ত রেশন দোকানই সপ্তাহে পাঁচ দিন খোলা রাখতে হবে। এটাই নিয়ম। কিন্তু, সব রেশন দোকান এই নিয়ম মেনে খোলা হয় না বলেই অভিযোগ।
(২) রেশন ডিলাররা ক্যাশমেমো ছাড়া খাদ্যসামগ্রী দিতে পারবেন না। এটাও নিয়ম। অবশ্য তা-ও মানা হয় না বলে অভিযোগ। এই দুই ক্ষেত্রেই নজরদারি বাড়ানো হবে। প্রয়োজনে যৌথ পরিদর্শন চলবে।
(৩) এখন গরিব মানুষকে যে আটা সরবরাহ করা হচ্ছে, তার একাংশ প্যাকেটে কোনও তারিখ লেখা থাকছে না।
ফলে, কবে ওই আটা প্যাকেট হয়েছে, কত দিনই বা তার গুণমান ভাল থাকবে, সে সব কিছু বোঝা যাচ্ছে না। এ নিয়েও খাদ্য দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই ঝাড়গ্রামের এক রেশন দোকান থেকে এমন বেশ কয়েক প্যাকেট আটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যে প্যাকেটের আটায় পোকা ধরে গিয়েছে। অথচ, সেগুলিই রেশনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছিল। মেদিনীপুরের এফসিআই গোডাউন থেকে রেশনদ্রব্য সরবরাহের সময় খাদ্য দফতর এবং ডিইবি যৌথ ভাবে মাসে অন্তত এক বার যাতে সরেজমিন পরিদর্শন করে, সে নিয়েও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে সভাধিপতি বলেন, “নতুন রেশন কার্ড যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রাহকদের বিলি করার কথা বলা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুরনো কার্ডগুলি বাতিল করতে হবে। না-হলে ভুয়ো কার্ডের সংখ্যা বাড়বে।” তাঁর কথায়, “গ্রাহকেরা ঠিকমতো খাদ্যদ্রব্য পাচ্ছেন কি না, এই বিষয়টিও দেখা জরুরি। প্রয়োজনে রেশন দোকান পরিদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে খাদ্য দফতরকে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.