|
|
|
|
মেদিনীপুরে ‘মহামিছিল’ তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বুধবার মেদিনীপুর শহরে ‘মহামিছিল’ করল তৃণমূল। সন্ত্রাসের পরিবর্তে শান্তি-স্থাপন ও উন্নয়নে গতি আনার লক্ষ্যেই এই মিছিল বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। যে মিছিলের জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল তৃণমূল। প্রতিটি ব্লক থেকেই গাড়িতে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা মেদিনীপুর শহরে হাজির হন। কলেজ-মাঠ থেকে মিছিল বেরিয়ে পৌঁছয় গাঁধী-মূর্তির পাদদেশে। সেখানে একটি সভারও আয়োজন করা হয়। যে সভা থেকে বক্তারা মাওবাদী ও সিপিএমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব হন। |
|
শহরে তৃণমূলের মিছিল নিজস্ব চিত্র। |
এখনও জঙ্গলমহলে মাওবাদী প্রভাব রয়েছে। প্রায়ই হামলার ঘটনা ঘটছে। রাজ্য সরকার ফের মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু শুধু অভিযান চালিয়ে মাওবাদী মোকাবিলা সম্ভব নয় বলেই তৃণমূল নেতৃত্বের অভিমত। মানুষকে সংগঠিত করতে হবে বলেও মত নেতাদের। প্রতিবাদ জানাতে হবে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। সেই লক্ষ্যেই মূলত বুধবারের মিছিল। দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “মাওবাদীদের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করেও জঙ্গলমহল থেকে হাজার হাজার মানুষ মিছিলে অংশ নিয়েছেন। এর থেকে প্রমাণিত, সাধারণ মানুষ মাওবাদী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। আগে সিপিএমের অত্যাচারে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। সেই সব পরিবারের সদস্যরাও এ দিন মিছিলে অংশ নেন। সিপিএম ও মাওবাদী সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানাতেই এ দিনের মিছিল। কয়েক হাজার মানুষ মিছিলে অংশ নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেউ সন্ত্রাস চান না, সবাই শান্তি চান।”
মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন জঙ্গলমহলের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, শ্রীকান্ত মাহাতোরাও। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁরাও বলেন, “মানুষ শান্তি চান। আমাদের সরকার শান্তি-স্থাপনের পাশাপাশি উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। আমরা তা করবই। খুন-সন্ত্রাসের রাজনীতি চলতে পারে না।” মূলত, মাওবাদীদের হুঁশিয়ারি দিতেই এই মিছিল বলে দলীয় সূত্রের খবর। শুধু পুলিশি অভিযান নয়, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই জোরদার করারই প্রস্তুতি নিচ্ছে শাসকদল। তা ছাড়াও সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচনও রয়েছে। তার আগে এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মী-সমর্থকদের সংগঠিত করা যাবে বলেও আশা দলের নেতাদের। |
|
|
|
|
|