টুকরো খবর |
তিনটি দুর্ঘটনায়, চার জনের মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া ও আরামবাগ |
তিনটি ভিন্ন দুর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্রী-সহ চার জনের মৃত্যু হল হুগলিতে। বুধবার সকালে একটি দুর্ঘটনা ঘটে আরামবাগ শহরের বসন্তপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, আরামবাগ লিঙ্ক রোড পার হওয়ার সময়ে শান্তিরঞ্জন সাহা (৫৩) নামে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার এক কর্মী বর্ধমান-আরামবাগ রুটের একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর বাড়ি গোঘাটের হাজিপুরে। তিনি ওই সংস্থার বসন্তপুর অফিসের কর্মী ছিলেন। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা যাত্রীদের নামিয়ে বাসটি ভাঙচুর করে। কিছু ক্ষণ ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। বাসটি আটক করলে। চালক পলাতক। সন্ধ্যায় আর একটি দুর্ঘটনা ঘটে মগরায় নাকসা মোড়ে। দিকসুই মামুদপুর এলাকার বাসিন্দা, কলেজ ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা ঘোষকে (২০) ধাক্কা মেরে দ্রুত পালাতে গিয়ে একটি ভ্যান-চালককে পিষে দেয় মাটি বোঝাই ট্রাক। মৃত ভ্যানচালকের নাম কিশোর সাধুখা। পুলিশ ট্রাক-চালককে আটক করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খানাকুলের শাবলসিংহপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন রাস্তার মোটরভ্যান থেকে পড়ে যান নারায়ণচন্দ্র মাইতি (৬৫) নামে স্থানীয় হরিশচক গ্রামের এক বাসিন্দা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। দেহগুলি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
|
বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ বাবা-ছেলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রিষড়া |
|
ছবি: প্রকাশ পাল। |
একটি বাড়িতে আচমকা বিস্ফোরণে বুধবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় রিষড়ার নিউ দাসপাড়া লেনে। বাড়িটি অলঙ্কার ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ রায়ের। বিস্ফোরণের পরে একটি ঘর থেকে বিশ্বনাথবাবু এবং তাঁর কলেজ পড়ুয়া ছেলে সঙ্কলনকে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন রিষড়া সেবাসদনে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। বিস্ফোরণে বাড়িটির দরজা-জানলা উড়ে গিয়ে পাশের বাড়িতে পড়ে। ভেঙে পড়ে গ্রিল। দেওয়ালে ফাটল ধরে। আগুন লেগে যায় আসবাবপত্রে। স্থানীয় লোকজনই আগুন নেভান। ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা। হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) অমিতাভ বর্মা বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে সোনা গলানোর কাছে ব্যবহৃত দাহ্য পদার্থ এবং ঘরে জমিয়ে রাখা বাজির মশলা থেকে কোনও ভাবে আগুন লাগে। তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশ ও ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার গরানহাটায় বিশ্বনাথবাবুর সোনার দোকান রয়েছে। নিজের একতলা বাড়িতেও তিনি অলঙ্কার তৈরির কাজ করেন। যে ঘরে তিনি কাজ করেন, সেই ঘরেই ঘুমোন। সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয় ওই ঘরেই। খাটের নীচে সোনা গলানোর নানা রকম দাহ্য পদার্থ ছিল। তা ছাড়া, সঙ্কলনের কিছু বাজিও ছিল সেখানে। বিশ্বনাথবাবু সিগারেট খান। তা থেকেই কোনও ভাবে ওই সব দাহ্য পদার্থে আগুন ধরে বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। বিশ্বনাথবাবুর ভাই গোপীনাথবাবু সপরিবার ওই বাড়িতেই থাকেন। গোপীনাথবাবুর স্ত্রী বন্দনাদেবী বলেন, “সঙ্কলনের তুবড়ি, রংমশাল বানানোর অভ্যেস ছিল। কিছু বাজি জমানো ছিল। তাতে আগুন ধরেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
|
চুঁচুড়ায় বাস ধর্মঘটে নাকাল যাত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
|
ছবি: তাপস ঘোষ। |
বেআইনি অটো এবং পারমিট ছাড়া মোটরচালিত ভ্যান বন্ধের দাবিতে বুধবার সদর মহকুমার সমস্ত বাস চলাচল করে দেন মালিকেরা। এর জেরে চরম বিপাকে পড়েন পথে বের হওয়া মানুষজন।এ দিকে, সমস্যা সুরাহায় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ফের আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বাস মালিকেরা। বাস না থাকায় এ দিন সকাল থেকেই শহরে অটোর লাইনে লম্বা ভিড় চোখে পড়ে। ট্রেকারের দেখা মিললেও ভিড়ে ঠাসা থাকায় তাতে উঠতে পারেননি আম জনতা। বাস মালিকদের অভিযোগ, মগরা থেকে পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় পর্যন্ত কোনও রুট পারমিট ছাড়া বেশ কিছু অটো চলাচল করে। প্রশাসনের কাছে সেই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোনও রকম ফল মেলেনি। হুগলি জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোশিয়েসনের সভাপতি দেবাশিস ভৌমিক বলেন,“দীর্ঘদিন ধরে মগরা-সিমলাগড় রুটে মারমিট ছাড়া অটো চলছে। সম্প্রতি তা বেড়েছে। জেলাশাসক থেকে পুলিশ সুপার সকলকে জানিয়ে ফল হয়নি। তাই ওই রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তাঁদের সমর্থনে সকলে সামিল হয়েছে ধর্মঘটে।” চুঁচুড়া স্টেশনের বাইরে অটো ধরার দীর্ঘ লাইন।
|
দুষ্কৃতী গুলিবিদ্ধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উত্তরপাড়া |
সাতসকালে বাড়ির সামনে পায়চারি করার সময়ে গুলিবিদ্ধ হল এক দুষ্কৃতী। বুধবার সওয়া ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে হিন্দমোটরের ২ নম্বর কাছারি কলোনিতে। পুলিশ জানায়, কয়েক জন দুষ্কৃতী সাইকেলে করে এসে সান্তু সাহা নামে ওই দুষ্কৃতীর মাথায় একটি গুলি করে পালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সান্তুর বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া-সহ আশপাশের কয়েকটি থানা এলাকায় খুন, ডাকাতি, ছিনতাই-সহ নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও তাকে একবার পেটে গুলি করে এবং তার আগে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সান্তুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন এ দিন তাকে খুনের চেষ্টা করে।
|
নিখোঁজ ছাত্রী অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • লিলুয়া |
দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল দশম শ্রেণির ছাত্রীটি। সন্ধ্যায় বাড়ির কিছুটা দূরে এক নির্জন জায়গা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করলেন প্রতিবেশীরা। তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ায় লিলুয়ায়। পুলিশি সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি পানশালা থেকে দুই যুবক ও এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের বাড়ি লিলুয়াতেই। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ওই তিন জনই দুপুরে ছাত্রীটিকে জাতীয় সড়কের কোনা মোড়ের কাছে একটি পানশালায় নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে মাদক জাতীয় কিছু খাওয়ার পরেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে। তার জ্ঞান না-ফেরা পর্যন্ত পুলিশ জানতে পারছে না, ঠিক কী ঘটেছিল।
|
কবি সম্মেলন উদয়নারায়ণপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উদয়নারায়ণপুর |
উদয়নারায়ণপুরের ভবানীপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে গত রবিবার ‘অভিযান’ পত্রিকার উদ্যোগে হয়ে গেল কবি সম্মেলন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি নীলোৎপল গুপ্ত। কবি স্বপন নন্দী, বঙ্কিম চক্রবর্তী, শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের গান, আবৃত্তি, কবিতা পাঠ, রবীন্দ্র-সাহিত্য নিয়ে আলোচনায় আসর জমে ওঠে। উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক শুভময় মিত্র। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পত্রিকার সম্পাদক নিমাই আদক।
|
মহিলাদের প্রশিক্ষণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
উলুবেড়িয়ার রঘুদেবপুর (পাঁচলা মোড়) নেতাজি কৃষক সঙ্ঘের ব্যবস্থাপনায়, নাবার্ড-এর আর্থিক সহায়তায় মহিলাদের চার মাসের টেলারিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন হল। উদ্বোধন করেন উলুবেড়িয়া (পূর্ব) কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের সমবায় দফতরের মন্ত্রী হায়দার আজিজ সফি। উদ্যোক্তারা জানান, ৩০ জন মহিলা প্রশিক্ষণ হচ্ছে।
|
পার্টি অফিসে ‘ভাঙচুর’ |
বালিতে মঙ্গলবার সিপিএমের একটি পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ ও স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব সূত্রে খবর, কিছু যুবক ওই পার্টি অফিসের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। জানলা ও গ্লোসাইন বোর্ডও ভাঙে তারা। বুধবার সিপিএমের তরফে পুলিশে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয়েরা বাধা দিলে ওই দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের লোক বলে পরিচয় দিয়ে মারধরের হুমকি দেয়। স্থানীয় বিধায়ক, তৃণমূলের সুলতান সিংহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ওরা মিথ্যা বলছে। এটা আমাদের কাজ নয়। সিপিএমের লোকেরাই বাড়ি দখল করে পার্টি অফিস বানিয়েছে।” |
|