|
|
|
|
দিনে লরি নয়, কড়া নির্দেশ হাওড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সকাল আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত হাওড়া শহরে লরি ঢোকা নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করল হাওড়া সিটি পুলিশ।
বুধবার হাওড়া শহরের সব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ট্রাফিক ও পরিবহণ বিষয়ে পুলিশকর্তাদের একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কিছু ব্যবসায়ী সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জি টি রোডে নো-এন্ট্রি ব্যবস্থার প্রতিবাদ করেন। তাঁরা দাবি করেন, রাতে মাল তোলা ও নামানোর সমস্যা রয়েছে। তাই দিনের কোনও একটা সময়ে লরি ঢোকার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু ডিসি (ট্রাফিক) অখিলেশ চর্তুবেদী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সেটা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। প্রতিটি যানবাহনকেই একমুখী, নো-এন্ট্রি ব্যবস্থা মানতে হবে।
এর পাশাপাশি, শহরকে আরও গতিশীল করে তুলতে ধীর গতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করতেও উদ্যোগী হচ্ছে হাওড়া সিটি পুলিশ। অখিলেশবাবু জানান, ট্রাফিকের উন্নতির বিষয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জি টি রোডে যানজট আগের থেকে কমেছে। ট্রাফিক আইন না মানায় দু’মাসে ৭০ লক্ষ টাকারও বেশি জরিমানা আদায় হয়েছে। রাস্তার ধারে ইমারতি দ্রব্য ফেলার অপরাধে কয়েক জন গ্রেফতারও হয়েছেন। কিন্তু শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার আরও উন্নতি করতে গেলে ঠেলা, রিকশা, সাইকেল-ভ্যানের মতো ধীর গতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন। তিনি বৈঠকে জানিয়ে দেন, আগামী দু’-তিন মাসের মধ্যে ব্যবসায়ীরা যেন ভাবনা চিন্তা করে বিকল্প ব্যবস্থা করেন।
অখিলেশবাবু আরও জানান, ভারী লোহার জিনিস বোঝাই ওই সব ধীর গতির যানবাহনের জন্য এক দিকে যেমন যানজট হয়, তেমনই সেগুলি বিপজ্জনকও। তিনি জানান, এ বার থেকে হাওড়াতে হেলমেট না পরে মোটরবাইক চালানো যাবে না। ব্যবসায়ীরা এ দিন অভিযোগ করেন, রাস্তার ধারে জঞ্জাল পড়ে থাকা, বেআইনি পার্কিং এবং খানাখন্দের জন্যও যানজট হচ্ছে। অখিলেশবাবু বলেন, “বেআইনি পার্কিং তোলার জন্য ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। জঞ্জাল অপসারণের বিষয়ে পুরসভার সঙ্গে এবং রাস্তা মেরামতির জন্য সিইএসসি ও পূর্ত দফতরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”
বৈঠকের পরে হাওড়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শঙ্কর সান্যাল বলেন, “কমিশনারেট হওয়ার পরে ট্রাফিকের উন্নতি প্রশংসনীয়। তবে নো-এন্ট্রি ব্যবস্থার জন্য ব্যবসায়ীদের লরি ঢুকতে না পারায় খুবই অসুবিধা হচ্ছে। কী ভাবে বিকল্প ব্যবস্থা করা যায়, তার জন্য আবেদন জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|