সময়ে মেরামত হোক নদী বাঁধ
উদয়নারায়ণপুর ব্লকের অন্তর্গত বকপোতা সেতুর কাছে দামোদরের বাঁধ অবিলম্বে সংস্কার দরকার। প্রতি বছরের মতো এ বারও দামোদরের বাঁধ ভেঙে উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ২০০৯ সালে বন্যায় বাঁধ ভেঙেছিল। গত দু’বছর ধরে বাঁধের ওই অংশ একই ভাবে পড়ে থাকায় সামান্য জল বাড়তেই এ বার বন্যায় হাবুডুবু খেতে হয়েছে।
ভাবতে অবাক লাগে, গত দু’বছরে যে বাঁধ সারানোর কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি, বন্যার জল বাড়তেই বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হল। সরকারি বাবুদের ছোটাছুটি, রাজনৈতিক নেতাদের দাপাদাপি সে এক এলাহি ব্যাপার। কিন্তু সে সবের কিছুই কাজে এল না। বন্যায় ভেসে গেল গোটা উদয়নারায়ণপুর ব্লক।
বন্যার জল ঢুকে পড়ার পরে বাঁধ সারানোর অর্থ, সরকারি টাকা বস্তাবন্দি করে জলে ফেলে দেওয়া। কিন্তু সে আর কে বোঝে। বাঁধ বাঁধার সামান্য এই উদ্যোগ যদি গত দু’বছরের মধ্যে দেখা যেত, তা হলে এত মানুষের এমন চূড়ান্ত দুর্ভোগ হত না। এখন এ ওকে দোষ দেয় তো সে তাকে!
বন্যার পরে শুরু হল ত্রাণের জন্য হাহাকার। মুখ্যমন্ত্রী বন্যার সময়ে এসেছিলেন বানভাসি মানুষকে দেখতে। বুকে ভরসা পেয়েছিলাম। বেবেছিলাম, স্থায়ী সমাধান এ বার কিছু একটা হবে। এখন জল নেমে গিয়েছে। চারিদিক শুকনো। কিন্তু বাঁধের ভাঙা অংশ এখনও সারাই হল না। এখন মানুষ যথারীতি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন, এই বুঝি নদীর জল বাড়ে। এই বুঝি আবার বন্যা আসে। বন্যার সময়ে যে পরিমাণ ত্রাণ দিতে হয়, তার এক শতাংশও যদি উপযুক্ত সময়ে ব্যয় করে বাঁধটি মেরামত করা হত, তা হলেই এই অঞ্চলের হতভাগ্য মানুষগুলি বন্যার হাত থেকে রেহাই পেতেন। বিপুল পরিমাণ ফসলও রক্ষা হত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, ফের বন্যা আসার আগেই বাঁধ মেরামত করা হোক।
গঙ্গার ঘাট সংস্কার করা খুবই দরকার
কথিত আছে, সাঁকরাইলের গঙ্গার ঘাট অষ্টাদশ শতকের প্রথম দিকে বেলভেডিয়া কোম্পানি তাদের কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সাঁকরাইলে গঙ্গার ধারে ঘাট তৈরি করিয়েছিল। তখন গঙ্গার ঘাট ও পাড়ের এলাকা বেড়াবার পক্ষে অতি চমৎকার জায়গা ছিল। আত্মীয়-স্বজন এলে গ্রামের মানুষ তাঁদের এখানে নিয়ে আসতেন বায়ুসেবনের জন্য। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ গঙ্গার জল সংগ্রহ ও পুণ্যস্নানের জন্য এই ঘাটে আসতেন। দেশবিদেশের জাহাজ যেত সামনে দিয়ে। মাঝি-মাল্লাদের ভাটিয়ালি গান ভেসে আসত। মহিলারা প্রদীপ ভাসাতেন জলে। ছেলে-ছোকরারা আড্ডা মারত গঙ্গার ঘাটে। বট, অশ্বত্থ, কৃষ্ণচূড়া, শিমুল গাছের সারির ঘনছায়ায় জায়গাটি বড়ই মনোরম ছিল।
এখন সময় বদলেছে। জায়গাটি ভঙ্গুর, দুর্গন্ধময়, আবর্জনায় ভরা। গ্রামের মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া এ দিকে আসেনই না। তবে পুজো-পার্বণে, পুণ্যতিথিতে এখনও ভিড় হয়। মেলা বসে। স্থানীয় পুজোগুলিতে প্রতিমা বিসর্জন এই ঘাটে হলেও ভাঙা ঘাটে সেই কাজ করতেও অসুবিধা হয়। গঙ্গার পাড় অবিলম্বে সংস্কার করে সৌন্দর্যায়ন করা হোক। আগেকার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।
রাস্তা বেহাল
ভদ্রেশ্বর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফুটবল মাঠের পাশ দিয়ে নজরুল পার্ক যাওয়ার মূল রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নজর দিন।
রাস্তায় আলো চাই
হাওড়া-আমতা রেলপথে জালালসি স্টেশন রোডে রাস্তার পাশে ঝোপ-জঙ্গল। আলোর ব্যবস্থা নেই। জঙ্গল পরিষ্কার করে আলো লাগানো হোক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.