|
|
|
|
টু-জি কাণ্ড |
সাত মাস পর জামিনে মুক্ত ৫ টেলিকম কর্তা |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
টু-জি মামলায় এই প্রথম জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। সাত মাস পর বুধবার তিহাড় থেকে বেরোনোর ছাড়পত্র পেলেন পাঁচ কর্পোরেট কর্তা। ইউনিটেক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় চন্দ্র, সোয়ান টেলিকমের ডিরেক্টর বিনোদ গোয়েন্কার সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জামিনে মুক্তি দিল অনিল অম্বানী গোষ্ঠীর তিন কর্তা হরি নায়ার, গৌতম দোশী এবং সুরেন্দ্র পিপারাকে। পাঁচ কর্তাকেই দশ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে জামিন দেওয়া হয়েছে। তাঁদের লিখিত প্রতিশ্রুতিও দিতে হয়েছে, সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপে কোনও পদক্ষেপ করবেন না তাঁরা। একই সঙ্গে বাকিদের শুনানি পাটিয়ালা হাউস কোর্ট থেকে তিহাড়ে সরানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে দিল্লি
হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, টুজি মামলায় সিবিআই ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল।
এই মামলায় আগামী ১ ডিসেম্বর প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী আন্দিমুথু রাজা ও ডিএমকে সাংসদ কানিমোজির শুনানি হওয়ার কথা। তার আগে এই পাঁচ কর্তার জামিন মঞ্জুর তাঁদেরও জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আদালতে এ দিন জামিনের রায় ঘোষণার পর দৃশ্যতই খুশি রাজা ও কানিমোজিকে দেখা যায় ওই পাঁচ জনকে অভিনন্দন জানাতে। পরে কানিমোজি, প্রাক্তন টেলিকম সচিব সিদ্ধার্থ বেহুরা-সহ ছয় অভিযুক্তের তরফে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে, যাতে তাঁদের জামিনের আবেদনের শুনানি নির্ধারিত দিনের আগেই করা হয়।
এর আগে দিনের শুরুতে অবশ্য যথেষ্ট ঘটনাবহুল ছিল কোর্ট চত্বর। জামিনের সম্ভাবনা থাকায় আদালতকক্ষে হাজির ছিলেন পাঁচ কর্তার পরিবার-পরিজনেরা। শুনানি চলতে চলতে ক্রমশ বোঝা যাচ্ছিল এ দিন আর সিবিআইয়ের আবেদন মেনে জামিন নামঞ্জুর হবে না। রায় শোনানোর আগে এক বার বিচারপতি সবাইকে জানান, সংযত না থাকলে তাঁদের বের করে দেওয়া হবে। কিন্তু জামিনের রায় ঘোষণার পরে আদালতকক্ষের ভিতরেই শুরু হয়ে যায় আনন্দোৎসব। চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে উঠে আনন্দে
একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন ওই পাঁচ কর্তার আত্মীয়স্বজন। শোরগোলে সাময়িক ভাবে শুনানি বন্ধ রাখতে হয়।
যার পর ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিযুক্ত এবং তাঁদের আইনজীবী বাদে বাকি সবাইকে আদালতকক্ষ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টে অন্য একটি শুনানিতে ঠিক হয়েছে, টুজি মামলার শুনানি আপাতত তিহাড়ে সরানো হচ্ছে না। এ দিনই পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন অভিযুক্তেরা। তাঁদের আবেদনে বলা হয়, যেহেতু তাঁদের বিরুদ্ধে শুধু অর্থনৈতিক অপরাধেরই অভিযোগ রয়েছে, তাই দাগি অপরাধীদের মতো তাঁদের জন্যে তিহাড়ে আলাদা বিচারকক্ষ তৈরি করাটা উচিত নয়। পাশাপাশি, তাঁদের আইনজীবীদের তরফেও জানানো হয়, হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে অন্য মামলার শুনানি সেরে অল্প সময়ের মধ্যেই পাটিয়ালা হাউস কোর্টে এই মামলার শুনানিতে চলে আসতে পারেন তাঁরা। কিন্তু মামলার শুনানি তিহাড়ে চলে গেলে তা সম্ভব হবে না। পরে আদালত জানায়, আপাতত ৭ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। যারা নিম্ন আদালতের অন্য কোনও স্থানে এই মামলার শুনানি করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখবে। স্থানাভাবে তা সম্ভব না হলে, বিজ্ঞান ভবন বা প্রগতি ময়দানেও শুনানি সরানো যেতে পারে। |
|
|
|
|
|