নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
উড়ালপুল ও ‘অ্যাপ্রোচ রোড’ তৈরির কাজ চলছে ধীর গতিতে। এমনই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা ও ওই দুর্গাপুর স্টেশনের পূর্ব কেবিন সংলগ্ন রেল গেট ব্যবহারকারী মানুষজনের। তাঁদের অভিযোগ, প্রকল্পের কাজ একাধিক বার শুরু হলেও মাঝপথে থমকে গিয়েছে। এ দিকে দিনের পর দিন এই পরিস্থিতি চলতে থাকায় তাঁরা পুরনো রাস্তা ব্যবহার করতে পারছেন না। সমস্যা মেটাতে বুধবার সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরগুলিকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী মার্চের মধ্যে যাতে কাজ শেষ হয়ে যায় সেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ওই রেল গেটে নিত্য যানজট এড়াতে একটি উড়ালপুল নির্মাণের দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই জানাচ্ছিলেন বাসিন্দারা। |
দুর্গাপুর পূর্ব কেবিন রেলগেটের কাছে বিশ্বনাথ মশানের তোলা ছবি। |
তাছাড়া উড়ালপুল তৈরি হয়ে গেলে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার সঙ্গে বর্ধমান জেলা ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত ২০০৭ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব ওখানে একটি উড়ালপুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। অ্যাপ্রোচ রোড-সহ উড়ালপুল নির্মাণের জন্য খরচ ধরা হয়েছিল ১৬ কোটি ৩২ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। যার মধ্যে রেল বহন করছে ৬ কোটি ৯৬ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। আর বাকিটা দেবে রাজ্য সরকার। ২০০৮ সালে রেল ও পূর্ত দফতররের যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পের কাজ শুরুও হয়। প্রথমে শুরু হয় রেল লাইনের উপর সেতু তৈরির কাজ। তা বেশ কিছুটা এগোনোর পরে অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজে হাত দেওয়া হয়। সমস্যা দেখা দেয় জবরদখলকারীদের নিয়ে। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা উঠে যায়। বীরভূমের পাথর খাদানে ঝামেলার সময় ‘স্টোন চিপস’ না মেলায় ফের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ ভাবেই প্রকল্পের কাজ বার বার বাধা পেয়েছে। যদিও সমস্যার কথা স্বীকার করতে চাননি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা।
এ দিকে, দীর্ঘ দিন ধরে ওই প্রকল্পের কাজ চলতে থাকায় নিত্যযাত্রী ও সাধারণ মানুষজন সমস্যায় পড়ছেন। নির্মাণ কাজ চলার জন্য পুরনো রাস্তা তাঁরা ব্যবহার করতে পারছেন না। যে গতিতে কাজ চলছে তাতে কাজ কবে শেষ হবে তাই নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত জট কাটাতে বুধবার এডিডিএ, পূর্ত দফতর, ডিপিএল, বিএসএনএলকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক আয়েষা রানী এ, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। প্রকল্প এলাকার মধ্যে দিয়ে ডিপিএলের বিদ্যুতের তার, বিএসএনএলের টেলিফোনের তার গিয়েছে। পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে তা সরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপসবাবু বলেন, “সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। মার্চ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।” |