ব্যাসিলিকা অফ বম জেসাস: সারা বিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের মানুষ খুবই পবিত্র বলে মানেন ১৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে
তৈরি এই গির্জাকে। ব্যারোক নির্মাণশিল্পের জন্য একে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের আখ্যা দিয়েছে ইউনেস্কো।
'বম জেসাস' মানে 'শিশু যিশু'— চার্চের ভিতরে সোনার গিলটি করা মূর্তি ও কারুকাজ দেখার মত।
ব্যাসিলিকার ভেতরে রুপোর কফিনে শায়িত রয়েছেন সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার। ধর্মপ্রচারের কাজে জাপান থেকে ফেরার পথে চিনের
সাঞ্চিয়ান দ্বীপে অসুস্থ হয়ে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে ১৫৫২ সালের ৩রা ডিসেম্বর মারা যান তিনি। ওখানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।
এর দু'বছর পর সেখান থেকে তাঁর মরদেহ মালাক্কা হয়ে গোয়ায় নিয়ে আসা হয়। প্রতি ১২ বছর অন্তর সেন্ট জেভিয়ারের
মৃত্যুদিনে তাঁর দেহ প্রদর্শিত হয়।'কার্নিভাল ফেস্টিভ্যাল' নামে পরিচিত এই অনুষ্ঠানে সারা বিশ্ব থেকে বহু মানুষ আসেন গোয়ায়।
সৈকতের নাম আঞ্জুনা। সোনালি বালি আর তার মাঝে ছোটবড় শিলা-খণ্ড সারা বিচে। আরব সাগর আছড়ে পড়ে এই
পাথুরে সৈকতে। পাড়ে নারকেল গাছের সারি। দেশ বিদেশের নানা পসরা নিয়ে প্রতি বুধবার আঞ্জুনায় বসে ফ্লি মার্কেট।
প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের আদি বাড়ি গোয়ার মঙ্গেশি গ্রামে। পানজিম থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে সেই গ্রামে
পাহাড়ে ঘেরা ৪০০ বছরের প্রাচীন শ্রীমঙ্গেশ শিবমন্দির রয়েছে। দক্ষিণ ভারতীয় রীতি মেনে এই মন্দিরেও অপূর্ব কারুকাজ করা।
আপাত নিরিবিলি সৈকত কোকো। পানজিম শহরের ঠিক উল্টো দিকে মাণ্ডবী নদীর সম্প্রসারিত অংশে এই বিচ।
আরব সাগরের পাড়ে গোয়ার প্রায় ১১০ কিলোমিটার উপকূলীয় অংশে খুব কাছ থেকেই দেখা যায় ডলফিন।
মূলত হাম্পব্যাক প্রজাতির এই ডলফিনদের সাঁতার হোক বা লম্ফঝম্ফ পর্যটকদের যেন সবেতেই আনন্দ।
ওয়াটার স্কুটার, ব্যানানা রাইড, প্যারাসেলিংয়ের মতো ওয়াটার স্পোর্টসের পাশাপাশি সোনালি বালুরাশি এবং
পর্যটকদের ভিড়ের জন্য বিখ্যাত সৈকত কালাঙ্গুটে। চেয়ারে গা এলিয়ে সূর্যস্নানে ব্যস্ত এমন সৈকত সারা দেশেই বিরল।
গোয়ার জীবনরেখা মাণ্ডবী নদী। ৭৭ কিলোমিটার বিস্তৃত এই নদীর বেশিরভাগটাই এ রাজ্যের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বাকি ২৯ কিলোমিটার কর্নাটকে। সন্ধের মাণ্ডবিতে চলে নৌকা বিহার। পানজিম থেকে মোহনা পর্যন্ত এই 'রিভার ֹক্রুজ'-এ
পর্যটকদের নিয়ে যায় আলো ঝলমলে সুদৃশ্য সব বোট। নাচগানের পাশাপাশি থাকে পানাহারের ব্যবস্থাও।
মারগাঁও শহরের সবচেয়ে শান্ত সৈকত কোলভা। সাদা বালির এই সৈকতে নারকেল গাছের বিন্যাস দেখার মতো।
আকাশে হাসির ছটা... প্যারাসেলিংয়ে মত্ত জনৈক পর্যটক।
সার দিয়ে... মাছ ধরার নৌকা।
মাণ্ডবী নদীর মুখে ১৬১৩ সালে পর্তুগিজরা ডাচ ও মরাঠাদের প্রতিহত করতে
আরব সাগরের তীরে তৈরি করে আগুয়াদা দুর্গ। পাশেই রয়েছে লাইট হাউস।
যুগলে... ডোনা ও পাওলার মূর্তি। সিঁড়ি দিয়ে টিলার উপর থেকে এক সুন্দর দৃশ্য ।
ডোনাপাওলার অন্য এক রূপ।
মঙ্গেশ মন্দির থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ১৭১৩ সালে তৈরি হয় দোলাপুর
রাজপরিবারের উপাস্য দেবী শান্তাদুর্গার মন্দির। এখানকার উপাস্য দেবী জগদম্বা বা দুর্গা।
আরব সাগরের তীরে তালগাছের ছায়ায় পাথুরে টিলাময় সৈকত পালোলেম। মারগাঁও থেকে মনোরম এই বিচ প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে।
বম জেসাসের বিপরীতে ১৫৬২ সালে শুরু হয় সেন্ট ক্যাথরিনের নামে উৎসর্গীকৃত গোয়ার বৃহত্তম চার্চ সেন্ট
ক্যাথিড্রাল-এর নির্মাণ কাজ। এই চার্চে ৫টি ঘণ্টার মধ্যে ১টি গোয়ার বৃহত্তম ঘণ্টা। অনেক দূর থেকে এর আওয়াজ শোনা যায়।
পর্তুগিজ ও গথিক স্থাপত্যের সেন্ট ক্যাথিড্রাল চার্চের ভেতরটা করিন্থিয়ান শৈলীতে তৈরি।
চার্চের দেওয়ালের ম্যুরালে সেন্ট ক্যাথরিনের জীবন-কাহিনি খোদাই ও অঙ্কনে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আঞ্জুনা বিচ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে নির্জন সৈকত ভাগাতোর। রাস্তা থেকে পাড়ে যাওয়ার সুন্দর সিড়ি করা আছে।
অদ্ভুত লাল রঙা টিলায় ঘেরা ভাগাতোর বিচ।
রোজের আনন্দবাজার • এ বারের সংখ্যা • সংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘর • স্বাদবদল • চিঠি • পুরনো সংস্করণ |