আপনার কলমে


ক্রাকাওয়ের গায়ে ইহুদি অত্যাচারের চিহ্ন
শ্রাবণী বন্দ্যোপাধ্যায়
(নিউ জার্সি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
‘সা রে গা মা পা ধা নি, বোম ফেলেছে জাপানি’— ছোটবেলা থেকেই ছড়াটা জানতাম। কার কাছে প্রথম শুনেছি বা কী ভাবে শিখেছি, কী ভাবেই বা মনে থেকে গিয়েছে তার কোনও হদিশ দিতে পারব না। তবে মনে আছে, জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই বয়সে শুধু এটুকু বুঝেছিলাম যে, জার্মানির ‘লিডার’ ছিলেন হিটলার এবং তাঁর হাতেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত। আর সেই যুদ্ধে জার্মানির সঙ্গে ইটালি ও জাপান যোগ দিয়েছিল। জাপানিরা ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে বোমা ফেলতে শুরু করে। সেই সময় একটি বোমা নাকি কলকাতার হাতিবাগানেও এসে পড়ে। সত্যি কথা বলতে দেশে যত দিন ছিলাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমার কোনও ধারণাই ছিল না। এখন মনে হয় তার প্রধান কারণ ভারতে এই যুদ্ধের কোনও আঁচড়ই লাগেনি।

হিটলার প্রথম পোল্যান্ড আক্রমণ করেন এবং তাদের হারিয়ে দিয়ে প্রায় রাতারাতিই দেশটাকে দখল করে নেয় জার্মানি। এখান থেকেই হিটলারের অমানবিক-পৈশাচিক ধ্বংসলীলা শুরু হয় যা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। পোল্যান্ডে তৈরি হয় মানুষ খুন করার শিবির— অসউইচ, বার্কিনাও আর মোনো উইচ। এই কনসেনট্রেশন ক্যাম্পগুলি পোল্যান্ডের ক্রাকাও শহরের খুব কাছে। ক্যাম্পগুলি ছাড়া এখানকার আর একটি পর্যটন স্থলের নাম ‘ওয়ালেজকে সল্ট মাইন’। ইতিহাসের হাত ধরে তাই চললাম ক্রাকাও শহর ঘুরতে।

প্রাগ শহর থেকে রাতের ট্রেন ধরে ক্রাকাও এসে পৌঁছলাম ভোরবেলা।

ভিসটুলা নদীর ধারের ক্রাকাও ইউরোপের অন্যান্য শহরের মতো যদিও ঝলমলে নয়, তবে ‘ওল্ড টাউন’ জায়গাটি খুবই জমজমাট। যে হোটেলে আমরা উঠেছিলাম, ওল্ড টাউন তার বেশ কাছেই। ব্রেকফাস্ট সেরে রওনা দিলাম সেখানে। মূল শহরের ভেতরে এ যেন দেওয়াল ঘেরা আর একটা ছোট্ট শহর। সেখানে ঢোকার জন্য পেরোতে হয় সাতটা বড় বড় গেট, মাঝে বিশাল বিশাল স্কোয়্যার আর তার চারদিক ঘিরে দোকান। পেল্লাই আকারের প্রায় গোটা পঁয়তাল্লিশ টাওয়ার, আর্ট গ্যালারি, চার্চ— কী নেই! ছুটির দিন বলে স্কোয়্যারগুলিতে বাচ্চাদের ভিড়। দৌড়াচ্ছে, খেলনা কিনছে, ম্যাজিক দেখছে— চড়কের মেলা যেন। এক জন দেখলাম মাথা নীচে আর শরীর ওপর করে বোঁ বোঁ করে পাক ঘুরে নিল। তার পাশেই একটা রবারের কুকুরের নাচ দেখে একটা ছোট আসল কুকুর তাকে তাড়া করল। আমি বাংলাতেই কুকুরটাকে উত্সাহ দিচ্ছিলাম আরও ভাল করে তাড়া করার জন্য। হঠাত্ পেছন থেকে এক জন বলে উঠলেন, “দিদি আপনি কলকাতার না ঢাকার?” দেখি এক বাংলাদেশি হকার সেই একই ধরনের রবারের কুকুর আর আলো লাগানো লাট্টু বিক্রি করছেন!

পর দিনের গন্তব্য অসউইচ কনসেনট্রেশন ক্যাম্প। হিটলার বাহিনী ক্রাকাও শহরের প্রায় চল্লিশ হাজার ইহুদিকে বন্দি করে মেরে ফেলেছিল এই ক্যাম্পে। হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে থেকেই ইহুদিদের বিরুদ্ধে একটা জনমত তৈরি করেন। চলচ্চিত্র তৈরি করে মানুষদের বোঝানোর চেষ্টা করা হত ইহুদিরা চুরি, ছিনতাই ও যাবতীয় নোংরামিতে সিদ্ধহস্ত। শুধু হিটলারকে দোষ দিয়েই বা লাভ কী! ছোটবেলায় পড়া শেক্সপিয়রের চরিত্র সাইলকও তো ইহুদি! তখন তো ভেবে দেখিনি যে আইনস্টাইন, ফ্রয়েড বা কার্লমার্কসও ইহুদি ছিলেন!

অসউইচ কনসেনট্রেশন ক্যাম্প
ক্রাকাও থেকে বাসে অসউইচ পৌঁছতে সময় লাগল এক ঘণ্টা। টেলিভিশনে এত বার দেখেও অসউইচের ব্যপকতা সম্বন্ধে কোনও ধারণাই যে তৈরি হয়নি সেটা এখানে এসে বুঝলাম। চোখের সামনে শিবিরগুলির বিশালতা দেখে হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেল। দু’ধারে অজস্র কালচে ইটের বাড়ি। বেশির ভাগই ভগ্নদশায়। কারণ, জার্মান বাহিনী হেরে যাওয়ার পর ডায়নামাইট দিয়ে তা ধ্বংস করে দেয় যাতে তাদের অত্যাচারের কথা পৃথিবীর লোক জানতে না পারে। এখানে কুড়ি লক্ষের উপর মানুষকে গ্যাস চেম্বারে মেরে ফেলা হয়। এমনকী সেই তালিকায় ছোট ছোট শিশুও ছিল। ইহুদি ছাড়াও অন্যান্য দেশের কয়েদি, জিপসি, সমকামী— কেউই হিটলারের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ইহুদিদের বোঝানো হয় তাদের পোল্যান্ডে নতুন বসতি তৈরি করার জায়গা দেওয়া হবে। যাতে সবাই এক সঙ্গে জোট বেঁধে থাকতে পারে। শুধু তাই নয় এই নতুন জায়গার আশেপাশে প্রচুর কারখানা থাকার ফলে তাদের চাকরির কোনও অসুবিধাও হবে না। প্রায় জোর করেই তাদের পোল্যান্ডের ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়। হতভাগ্য মানুষগুলো যতটা সম্ভব টাকাকড়ি, সোনাদানা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শংসাপত্র — সব কিছু নিয়ে ট্রেন ধরে অসউইচে চলে আসে। ক্যাম্পে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই বাচ্চা, বুড়ো, অসুস্থ ও বেশির ভাগ মেয়েদের আলাদা করে দেওয়া হত। এর পর তাদের মাথা কামিয়ে, সবার সামনে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে বিশাল স্নান ঘরে পাঠানো হত যাতে তাদের শরীর জীবানুমুক্ত হয়। স্নানঘরের ‘সাওয়ার’ দিয়ে জলের বদলে নির্গত হতো বিষাক্ত গ্যাস। পরে মৃতদেহগুলি বিশাল চুল্লিতে পোড়ানো হত। নাৎসি বাহিনী কোনও জিনিসেরই অপচয় পছন্দ করত না। মেরে ফেলার আগে মাথা কামানোর চুল দিয়ে তৈরি হতো পরচুল। জামা-কাপড়গুলো বিক্রি করে দিত। এ ছাড়া গ্যাস চেম্বারে ঢোকানোর আগে টাকাকড়ি, গয়না থেকে আরম্ভ করে মায় চশমাগুলো পর্যন্ত কেড়ে নিত তারা।
ক্যাম্পের অন্দরে...

প্রবেশদ্বার বন্দিদের ঘর শয়নকক্ষ
এই ক্যাম্পগুলোয় অভিনব পদ্ধতিতে অত্যাচার করা হতো। প্রতি দিন ‘রোল কল’ হতো ভোর চারটেয়। তার পর টানা বারো ঘণ্টা কাজ করতে হতো বন্দিদের। ক্লান্ত হয়ে কেউ কাজ থামালে তাকে উলঙ্গ করে হাত পেছনে বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। কখনও গুলি করে মেরে ফেলা হতো সবার সামনেই। এ ছাড়া বাইরে বরফের মধ্যে গায়ে ঠান্ডা জল ঢেলে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো যাতে সারা রাতে আস্তে আস্তে শরীরটা ঠান্ডায়় জমে ইটের মতো হয়ে যায়। দিনের পর দিন জানালা বিহীন অন্ধকার ঘরে খাবার না দিয়ে রেখে দেখত যে তিলে তিলে মরতে কত দিন সময় লাগে! এ ছাড়া শোবার জায়গার তো কোনও তুলনাই নেই। তিন থাক উঁচু কাঠের এক একটা তক্তাতে চার জনকে শুতে দিত যেখানে চিত্ হয়ে শোবার মতো জায়গা তাদের হতো না। এই মানুষগুলো প্রচণ্ড ঠান্ডাতে একপাশ ফিরে সারারাত কাটাত, কেউ বা ঠান্ডাতে কিছু দিনের মধ্যেই মারা যেত। জার্মানরা তাদের এইসব অত্যাচারের ছবি তুলে রেখেছিল, ভেবেছিল যখন গোটা ইউরোপ তাদের হাতে চলে আসবে তখন এই ছবিগুলো রসিয়ে রসিয়ে উপভোগ করবে।
ঐতিহাসিক সম্পদ...

ব্যাগ জুতো চশমা
হঠাত্ দূরে একটা কাচের শো-কেসের ভিতর মাথায় লাল ফিতে দেওয়া ছোট্ট একটা পুতুলের দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি স্তব্ধ হয়ে গেল। একটা বাচ্চা মেয়ের ছবি ফুটে উঠল, যে অনেক আশা নিয়ে তার সব থেকে মূল্যবান সম্পত্তি এই পুতুলটিকে কোলে নিয়ে বাবা-মার সঙ্গে নতুন জায়গায় থাকবে বলে এসেছিল। তখন কি সে জানত যে তাকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে! আর তার পুতুলটির জায়গা হবে আবর্জনা স্তূপে? নিজের অজান্তেই কখন চোখ ভিজে যায়! হঠাত্ এক মহিলার কথায় ঘোর ভাঙল। দেখলাম আমার পাশে দাঁড়ানো সেই মহিলা আমায় বলছেন, “জানো আমি কোন দেশের লোক?” বললাম, না তো! “আমি এক জন জার্মান আর আমি নিজের দেশ সম্বন্ধে এত লজ্জিত আগে কোনওদিন হইনি।” ভাবলাম এক জন জার্মান হয়ে অনেক সাহস লাগে এমন জায়গায় আসতে। এক এক সময় মনে হয়, বেশির ভাগ জার্মানই বোধহয় এই অত্যাচারের কথা জানত না কারণ পৃথিবীর যে দেশেরই হোক, কোনও মায়ের পক্ষেই বাচ্চাদের উপর এত অত্যাচার মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। বহু বছর আগেকার বার্লিনের একটা রাস্তার দৃশ্য মনে পড়ে গেল। তখন সবে পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি এক হয়েছে। হঠাত্ দেখি বিশাল একটা হিটলারের ছবি নিয়ে বহু লোক কিছু বলতে বলতে আসছে। জিগ্যেস করে জানা গেল সে দিন নাকি হিটলারের জন্মদিন। তাই এত লোক সেই শুভ দিন পালন করছে। এ সব দেখে মনে হয় আজও হয়তো পৃথিবীতে হিটলারের সমর্থক আছে, না হলে তার জন্মদিন পালন হয় কী করে? দুঃখের বিষয় বেশির ভাগ অত্যাচারীদেরই কোনও শাস্তি হয়নি। গবেষকরা বলেন হিটলারের নিজেকে গুলি করার ঘটনাও সম্পূর্ণ ভাঁওতা। হিটলারের মাথার খুলি বলে যেটাকে রাশিয়ানরা নিয়ে যায়, তা পরে পরীক্ষা করে জানা যায় সেটা একটি অল্পবয়সী মেয়ের মাথা।
সে দিন সন্ধেবেলা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে হোটেলে ফিরলাম। পরের দিন দেখতে যাব সল্ট মাইন। মনটাকে একটু চাঙ্গা করা দরকার! কিন্তু সকালে উঠে দেখি অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। তাতে কী? আমরা তো যাব মাটির নীচে। বৃষ্টি নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনও কারণ নেই। ওয়েলিজকা সল্ট মাইন যেন এক পাতালপুরীর দেশ! ন’শো বছরের পুরনো এই তিনশো কিলোমিটার লম্বা মাইনের মাত্র সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তাই পর্যটকদের জন্য খোলা। ঢোকার মুখেই নুনের তৈরি পোপ জন পল-এর একটি মূর্তি। পরে জেনেছিলাম তিনি কোপারনিকাস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনও এই মাইন দেখতে এসেছিলেন। আমিও সেই কোপারনিকাসের রাস্তা দিয়ে হাঁটছি ভেবে বেশ মজা পেলাম। সরু সরু প্রায় তিনশো কাঠের সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে হয়। মনে হচ্ছিল সীতার পাতাল প্রবেশের মতো কোনও অন্ধকার গহ্বরে নেমে যাচ্ছি। উপরে ওঠার জন্য অবশ্য লিফট-এর ব্যবস্থা আছে। শুনে মনে একটু বল পেলাম। প্রায় বারোতলা মতো মাটির নীচে নেমে মাথা পুরো ঘুরে গেল! দেখলাম অজস্র নুনের তৈরি মূর্তি, এমনকী একটা বড় লেকও। এই লবন হ্রদের জল এতটাই ভারী যে কোনও লোকই ওখানে ডুবে মরবে না। আরও নীচে নেমে দেখলাম এক প্রকাণ্ড হলঘর। বাকি জিনিসের সঙ্গে সেখানে নতুনত্ব ক্রিস্টালের অজস্র ঝাড়বাতি। গাইডের মুখে শুনলাম এগুলোর কোনওটাই স্ফটিকের নয়, সবই নুনের তৈরি। এমনকী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ‘লাস্ট সাপার’ ছবিটিও নুন দিয়ে করা। এ বার ১৩৫ মিটার নীচে নেমে দেখলাম একটা বিশাল চ্যাপেল— মা মেরি যিশুকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। চ্যাপেলের একটা অংশে স্টেজ বানিয়ে গান বাজনাও হচ্ছে। অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল সব কিছুই। খুব ইচ্ছা করছিল একটু চেখে দেখি, কিন্তু কোনওটাই আমার নাগালের মধ্যে ছিল না।

এই মাইনটি আমার কাছে এক বিস্ময়! দেখার পর মালুম হল কেন এখানে প্রতি বছর দেড় মিলিয়ন পর্যটক আসেন। মাটির নীচে রয়েছে প্রচুর রেস্তোরাঁ যেখানে পোল্যান্ডের বিশেষ সসেজ থেকে স্যুপ সবই পাওয়া যায়।

ওয়েলিজকা সল্ট মাইন থেকে ক্রাকাও শহরে ফিরে আসতে আসতে সন্ধে হয়ে গেল। হঠাত্ লক্ষ করলাম রাস্তায় লেখা সিন্ডলার ফ্যাক্টরি ট্যুর। ‘সিন্ডলার লিস্ট’ সিনেমা দেখার সময় আমার কোনও ধারনাই ছিল না যে সিন্ডলারের ফ্যাক্টরি ক্রাকাও শহরে। যাই হোক, পরের দিন সেখানে গিয়ে দেখি ওই ফ্যাক্টরির একাংশ এক ইহুদি ভদ্রলোক কিনে সেখানে মিউজিয়াম বানিয়েছেন। ইহুদিদের উপর অত্যাচারের বিভিন্ন ছবি ও সিন্ডলারের কয়েকটা ছবি দেখিয়ে তিনি মোটা টাকা রোজগার করছেন। দেখে কেন জানি না মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। দিন শেষের সঙ্গে সঙ্গে ক্রাকাও শহরকে বিদায় জানানোর সময়ও হয়ে এল।

এক কথায়: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যপকতা সম্বন্ধে যদি কিছু মাত্র
কৌতূহল থাকে তা হলে ক্রাকাও শহরে এক বার না গেলেই নয়।
জন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতায়। বর্তমানে নিউ জার্সির বাসিন্দা। বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি সঙ্গীত ও ইতিহাস পাঠে অমোঘ ভালবাসা জড়িয়ে আছে। কৌতূহল এবং আনন্দের টানেই গত কুড়ি বছর ধরে সারা বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত করে বেড়াচ্ছেন।
ছবি: লেখক
লেখকের আরও ভ্রমণকথা
• সফরনামায় ইস্তানবুল

রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যাসংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘরস্বাদবদল চিঠিপুরনো সংস্করণ