কৃত কর্মের ফল...
অস্তিত্ব সঙ্কটে চেনা মাছেরা
একদা সুপরিচিত ‘মাছে ভাতে বাঙালি’র পাতে আর কত দিন মাছ থাকবে এ নিয়ে প্রশ্ন হয়তো অনেকের মনেই দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ মাছের বাজারে যেন একটা হাহাকার চলছে। বাজারে মূলত মাছের আমদানি থাকে না। যা সামান্য মাছ থাকে তাও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। যে সমস্ত পরিবারে সদস্য সংখ্যা বেশি, সেই সমস্ত পরিবার সদস্যদের পাতে এক টুকরো মাছ তুলে দিতে হিমশিম খান। সপ্তাহে এক থেকে দু’দিনের বেশি মাছ খাওয়ার কথা ভাবতেও পারেন না তাঁরা। দীনদরিদ্র মানুষ সামুদ্রিক মাছ বা বিহার-অন্ধ্র থেকে আসা মাছে উদরপূর্তি করছেন। আগামী দিনগুলোতে বাঙালির পাতে কত দিন মাছ থাকবে এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
আজকের এ সমস্যার মূলে রয়েছে মানুষের লোভ আর অপরিণামদর্শিতা। নগরায়ণ আর মানুষের বাসস্থানের সংস্থান করতে গিয়ে ক্রমাগত ভরাট হয়ে চলেছে খাল-বিল, নালা, পুকুর ইত্যাদি। পুকুরে মাছ চাষের ক্ষেত্রে এক বছর অন্তর বিষ প্রয়োগ করে মাছ তুলে নেওয়া হচ্ছে। এতে মারা পড়েছে জলের ছোট ছোট কীট-পতঙ্গ পর্যন্ত। বিঘ্নিত হচ্ছে জলাশয়ের বাস্তুতন্ত্র। এ ছাড়া মাছ ধরার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে অতিসূক্ষ্ম ‘মশারি-জাল’। এতে পোনামাছ, ছোটমাছ সবই ধরে নেওয়া হচ্ছে। মানুষের উদরপূর্তিতে ব্যবহার হচ্ছে এ সবেরই।
এ ভাবে চলতে থাকলে মাছেরা ক’দিন তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখবে? এক দিকে সংকুচিত হচ্ছে মাছেদের বাসস্থান অন্য দিকে বিবেচনাহীন ভাবে নির্বিচারে বড়-ছোট সমস্ত মাছেদের ধরে রীতিমতো অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে বাঙালির মাছ খাওয়া হবে বিলাসিতার নামান্তর।
জয়ন্ত আচার্য। দক্ষিণ দিনাজপুর

জলদাপাড়ায় বাড়ছে মহিলা কাঠচোর
জলদাপাড়াকে জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষণার পর থেকে কাঠ চুরি বেড়েই চলেছে। যদিও তার পদ্ধতির পরিবর্তন হয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে মহিলাদের রাতে জঙ্গলে পাঠানো হচ্ছে। আর সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে পুরুষদের দল। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বিপাকে পড়েছেন বনকর্মীরা। মহিলা চোরদের গ্রেফতার করার মতো পরিকাঠামো বন দফতরের হাতে নেই। জানা গিয়েছে যে, সম্প্রতি জলদাপাড়া-সহ আশেপাশের প্রায় সমস্ত বনাঞ্চলেই এ প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। এ কাজে রোজ কেবল জলদাপাড়ায় কয়েকশো মহিলা প্রবেশ করছে। পুরুষেরা গাছ কেটে কাঠ তৈরি করে দিচ্ছে আর মহিলারা সেগুলি নিয়ে আসছে। বিশেষ করে জ্বালানি কাঠের জন্যই এই ভাবে অবাধ বৃক্ষনিধন চলছে। এ জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দায়ী রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। ফলে জ্বালানি কাঠের কদরও বেড়েছে মারাত্মক ভাবে। জলদাপাড়া ও খয়েরবাড়ি অঞ্চলে যেন বৃক্ষনিধনের প্রতিযোগিতা চলছে। সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় মহিলাদের জঙ্গলে যাতায়াত। চলে রাত ৯টা অবধি। বনরক্ষীদের কাছ থেকেই জানা গিয়েছে যে, আগে পুরুষেরাই জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহে যেত। কিন্তু তাদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত সাজা দেওয়ার ফলে মাঝে কিছু দিনের জন্য বৃক্ষনিধন কমেছিল। সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, পুরুষেরা আর একা জঙ্গলে না গিয়ে বাড়ির মহিলাদের আগে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এই প্রবণতার একটি বড় কারণ হল মহিলা বনরক্ষীর অভাব। এর ফলে সব কিছু দেখেও নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের গ্রেফতার করতে পারছেন না। বর্তমানে যে রকম পরিস্থিতি হয়েছে, তাতে এই রকম চলতে থাকলে জলদাপাড়া বনাঞ্চল-সহ আশপাশের এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী অরণ্যগুলি ধ্বংস হতে আর খুব বেশি সময় বাকি নেই। বর্তমানে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করলে দেখা যায়, জঙ্গল যেন প্রায় গড়ের মাঠ হয়ে গিয়েছে। মূল্যবান নানা গাছ প্রায় নেই বললেই চলে। আর মহিলাদের ব্যবহার করার যে প্রবণতা শুরু হয়েছে, তাতে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।
জয়ন্ত ভট্টাচার্য। পান্ডাপাড়া, জলপাইগুড়ি
 
মাতল যে ভুবন...
  • দীপাবলির প্রস্তুতি...। গুয়াহাটির কুমোরপাড়ায়।

  • জিভখানা উল্টিয়ে দেখা... কালীপুজোর আগে ‘স্বাস্থ্যপরীক্ষা’। কুমোরটুলিতে।

  • ১৯ অক্টোবর ছিল লালন ফকিরের ১২৪তম মৃত্যু দিবস।
    এই উপলক্ষে নদিয়ার গঙ্গাবাসের হরিহর ক্ষেত্রে বাউল-ফকিরদের
    মেলা বসে। শুধু এই জেলা নন, আসেন বর্ধমানেরও বাউল-ফকির।
    পুলিশ জানায়, মোট ২৫ জন বাউল ফকির উপস্থিত থাকেন এই উত্‌সবে।

  • শক্তির আরাধানা... কোচবিহারে চলছে মূর্তি তৈরির কাজ।

  • দীপাবলিতে লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি কিনতে ভিড় দুর্গাপুরে।

  • হাতে হাতে। শ্রীরামপুরে পুরোদমে চলছে কালী প্রতিমা তৈরির কাজ।

  • দীপাবলির প্রস্তুতি।

  • খেলার ছলে। নিজেদের মতো করে কালী প্রতিমা গড়ছে দুবরাজপুরের দুই খুদে।

  • শক্তির আরাধানা...

  • কাচের প্রতিমা।

  • ঘোচাও অন্ধকার...

  • জল-বাজি... বহরমপুরে।

  • আলোয় ভুবন ভরিয়ে দেবো...

  • ধুবুলিয়ার একটি মণ্ডপ।

  • আলোর উত্সব...

  • চলছে ছট পুজো।

  • বাগনানে চলছে বাজি তৈরি।

  • কোচবিহারে তোর্সা নদীতে ছটপুজো।

  • বিসর্জন... জলপাইগুড়িতে।

  • অন্নকূট উৎসব উপলক্ষে তমলুকের মহাপ্রভু মন্দিরে
    সাজানো হয়েছে একশো এক রকমের ভোগ।

  • অন্নকূট উৎসব। মায়াপুর ইস্কনে।

  • ছট পুজোর বাজারে ভিড় শিলিগুড়িতে।

  • মণ্ডপে এসে গেছে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা।

  • পূর্ণস্নান....

  • ছটপুজো... বাঁকুড়া শহরের মাচানতলায় কলার চাহিদা তুঙ্গে।

  • চলছে জগদ্ধাত্রী পুজো।

  • ছটপুজোর প্রার্থনা...

—নিজস্ব চিত্র

পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে ইতিমধ্যেই পস্তাচ্ছি আমরা। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফল হাতেনাতে পেয়েও টনক নড়ে ক’জনের?
ব্যাতিক্রম অবশ্য আছে। আর সেই ব্যাতিক্রমী মানুষদের প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ করি আমরা। তাঁদের দলবদ্ধ অথবা ব্যক্তিগত
উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পাঠক সমক্ষে নিয়ে আসার পরিকল্পনার শরিক হতে চাইলে আমাদের জানান নীচের ঠিকানায়

সংবাদের হাওয়াবদল
হাওয়াবদল
আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্টারনেট সংস্করণ
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট
কলকাতা ৭০০০০১

ই-মেল করুন haoabadal@abp.in অথবা haoabadal@gmail.com
 
রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যাসংবাদের হাওয়াবদলআপনার রান্নাঘরস্বাদবদল চিঠিপুরনো সংস্করণ
..