কদরে এগিয়ে দশ কদম
কথায় বলে চিংড়ি মাছ, আদতে বংশ পরিচিতি ঘাটলে দেখা যায় মাছের সঙ্গে তার সাত কুলেও কোনও সম্পর্ক নেই। সন্ধিপদী হয়েও
মাছ শিরোমণিদের সঙ্গে টক্কর নিয়ে সে এখন বাঙালির পাতে শ্রেষ্ঠদের মধ্যে অন্যতম। আপনার রান্নাঘরে এ বার সেই ‘জলের পোকা’ চিংড়ি।

কুচো চিংড়ির পোস্তো কারি

উপকরণ


চিংড়ি মাছ: নুন হলুদ মাখানো টক দই: ফেটানো নারকেলের দুধ পোস্তো বাটা পিসে নেওয়া রসুন পেঁয়াজের রস
গরম মশলাগুঁড়ো কাঁচালঙ্কা: বাটা নুন চিনি হলুদ গুঁড়ো
তেল: ভাজার জন্য তেজপাতা টোম্যাটো কুচি ধনেপাতা কুচি
প্রণালী

কড়াইতে সর্ষের তেল দিয়ে চিংড়িমাছ ভেজে তুলে নিন|
একটি বড় পাত্রে ভাজা চিংড়ি মাছ, একটু সাদা তেল, পেঁয়াজের রস,
পোস্তো বাটা, ফেটানো দই, একটু চিনি, কাঁচালঙ্কা বাটা ও পরিমাণ
মতো নুন দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে রাখতে হবে।
এবার কড়াইতে সর্ষের তেলে একে একে পিসে নেওয়া রসুন, তেজপাতা,
গরমমশলাগুঁড়ো ও চিংড়ির মিশ্রন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
মাছগুলি সেদ্ধ হয়ে এলে নারকেলের দুধ মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন।
ধনে পাতা কুচিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

চিংড়ি-লালশাকের ডাটা তরকারি

উপকরণ


চৌকো করে কাটা আলু: ২টো চৌকো করে কাটা বেগুন: ১টা চৌকো করে কাটা ঝিঙে: ১টা
লালশাক ডাটা কুচানো: ১ আঁটি পোস্তো বাটা: ১ কাপ খোলা ছাড়ানো ভাজা চিংড়িমাছ: ১৫-২০ টা
তেল: ২ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা: ২টো পাঁচফোড়ন: আধ চামচ নুন: আন্দাজমতো
প্রণালী

কড়াইয়ে তেল গরম করে কাঁচা লঙ্কা, পাঁচফোড়ন ও নুন দিন।
এর পর আলুর টুকরো কড়ায়ে দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করুন।
এ বার বাকি সব্জি ও ডাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন।
তার পর কম আঁচে ১০ মিনিট মতো ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।
এবার পোস্তো বাটা ও চিংড়িমাছ ভাজা দিয়ে দিন।
নেড়েচেড়ে ভালো করে সব্জি ও মাছ মিশিয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন।
গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।


বেগুন -চিংড়ি ভর্তা

উপকরণ

বেগুন: ১ টা বড় কুচো চিংড়ি আদা বাটা: এক চা- চামচ রসুন বাটা: এক চা-চামচ কাঁচালঙ্কা: ২ টো
কালোজিরে: ফোড়নের জন্য নুন: স্বাদ অনুযায়ী হলুদ: পরিমাণমতো ধনেগুঁড়ো: এক চা- চাচ
জিরেগুঁড়ো: এক চা- চামচ চিনি: ১/২ চা-চামচ তেল: প্রয়োজনমতো ঘি: এক চা-চামচ


প্রণালী

বেগুন ছোট ছোট করে কেটে নুন হলুদ মাখিয়ে ওভেনে (৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ) ২৫ মিনিট বেক করুন।
নুন-হলুদ মাখিয়ে কুচো চিংড়িগুলো ভালো করে তেলে ভেজে তুলে রাখুন।
কড়াইতে তেল দিয়ে প্রথমে কালোজিরে ফোড়ন দিতে হবে।
তার পর একে একে রসুনবাটা, আদা বাটা, কাঁচালংকা, অল্প চিনি দিন।
এর পর বেক করা বেগুনগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন এবং একে একে ধনে ও জিরেগুঁড়ো মেশান।
অল্প জল দিন এবং ১০ মিনিট পর সব জল টেনে গেলে এতে ভেজে রাখা কুচো চিংড়ি যোগ করুন।
রান্না শেষে এক চামচ ঘি ছড়িয়ে দিন।
গরম ভাতের সঙ্গে তো বটেই, রুটি-পরোটার সঙ্গেও খাওয়া যেতে পারে বেগুন-চিংড়ি ভর্তা।

নতুন রূপে ডাব-চিংড়ি

উপকরণ


মাঝারি মাপের চিংড়িমাছ: ৫০০ গ্রাম হাল্কা মালাইওয়ালা বড় মাপের ডাব: ১টা (বা ২টো) সাদা সর্ষেবাটা: ২ টেবিল চামচ
পোস্তোবাটা: ২ টেবিল চামচ নারকেলের দুধ: আধ কাপ ক্রিম: ২ টেবিল চামচ হলুদ: সামান্য কাঁচালঙ্কা: ৪-৫টা
রসুন ২ কোয়া (সর্ষে-লঙ্কার সঙ্গে বাটা) সর্ষের তেল: ২ টেবিল চামচ চিনি: আধ চা চামচ থেকেও কম নুন: আন্দাজমতো

প্রণালী
একটি বাটিতে চিংড়িমাছের সঙ্গে সব বাটা মশলা, নারকেলের দুধ,
ক্রিম, স্বাদমতো নুন-চিনি, সর্ষের তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন।
ডাবের মুখটা বেশ বড় করে কেটে, জল বের করে নিন।
এ বার চিংড়ির মিশ্রনটি ডাবের ভেতরে দিয়ে দিন। খেয়াল রাখুন
যাতে রান্না হওয়ার জন্য কানিক জায়গা থাকে ডাবের ভেতরে।
এ বার ডাবের মুখ ভালো করে বন্ধ করে দিকে হবে যাতে কোনও ভাবেই হাওয়া না বেরিয়ে যায়।
২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে আগে থেকে গরম করে রাখা ওভেনে ডাব বসিয়ে দিন।
আধ ঘণ্টা পর ডাব বের করে নিন।
হাল্কা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে চিংড়ির সঙ্গে ডাবের মালাই চামচ দিয়ে বের করে আনুন।
গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।


কুচো চিংড়ির পোস্তো কারি

সায়ন্তী ভট্টাচার্য,
সুইডেন
চিংড়ী-লালশাকের ডাটা তরকারি

অনন্যা সেনগুপ্ত,
সিঙ্গাপুর
বেগুন -চিংড়ি ভর্তা

অমৃতা পাল,
কানাডা

নতুন রূপে ডাব-চিংড়ি

পিঙ্কি সরকার,
দুবাই


আপনারাও পাঠাতে পারেন নতুন পুরনো ভিন্ন স্বাদের নানা রেসিপি, ছবি-সহ, নীচের ঠিকানায়
হাওয়াবদল, আপনার রান্নাঘর
আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্টারনেট সংস্করণ
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট
কলকাতা ৭০০০০১

ই-মেল করুন haoabadal@abp.in অথবা haoabadal@gmail.com

সংক্ষিপ্ত পরিচিতির সঙ্গে আপনার ছবি পাঠানো বাধ্যতামূলক।

 
রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যাসংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘরস্বাদবদল চিঠিপুরনো সংস্করণ