উভয় সঙ্কট... |
সমস্যা যখন সারমেয় |
ইদানীং কালের কয়েকটি খবর ভাবিয়ে তুলল।
এক, পাড়ায় রাস্তার কুকুর ধরতে এসে ‘পশুপ্রেমী’দের কাছে বাধা পেলেন পুরকর্মীরা।
দুই, দার্জিলিঙে ম্যাল-এর কাছে এক স্থানীয় বাসিন্দা রাস্তার কুকুরের বীভৎস কামড়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেলেন।
তিন, দার্জিলিঙে এক যুবককে কুকুরের দল ঘিরে ফেলে বীভৎস ভাবে কামড়ায়।
শেষ দু’টি ভয়াবহ ঘটনার পরে বাসিন্দারা বলেন, “যাঁরা রাস্তার কুকুর ধরার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছেন, তাঁরা বরং শহরের ১ হাজার পথ-কুকুরকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখুন এবং আমাদের বাঁচতে দিন।” অত্যন্ত সঙ্গত কথা। |
|
শহর মফস্সলের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য অভিযোগ আসে, পথ-কুকুরের চিৎকারে সারা রাত ঘুমোনো যাচ্ছে না।
যদিও মুম্বই হাইকোর্টের স্পষ্ট রায় (২০০৮) আছে, নাগরিকদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত করা মেনে নেওয়া যায় না। বাড়ির পোষা কুকুরের তারস্বরে চিৎকারও এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নিয়েও বছর কয়েক আগে একটা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় ছিল যে, বাড়ির পোষা কুকুর চিৎকার করলে বা অন্যের বাড়ির সামনে মলত্যাগ করলে, অবশ্যই স্থানীয় পুরসভার উপর তার দায় বর্তাবে। কারণ, তারাই লাইসেন্স ইস্যু করে।
স্বঘোষিত পশুপ্রেমীরা জানেন কি, বিদেশে কুকুর সংক্রান্ত অভিযোগ এলেই প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়। কোথাও কোথাও ‘কুকুর-পুলিশ’ও আছে।
সবুজ মুখোপাধ্যায়। কলকাতা-৩৯
|
|
|
শকুন শূন্য অবস্থা |
গবাদি পশুকে যে ওষুধ দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছিল, তার দাপটে শকুন কুল শেষ। ভাগাড় আছে কিন্তু সেখানে শকুন আসে না। শকুন উধাও, তাই প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে!
ক’বছর আগে এই কপিঞ্জল কুলকে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্রিটিশ সরকার রাজস্থান সরকারকে অর্থ দিয়েছিল। সেই উদ্ধারের কাজ কতটা এগিয়েছে জানা নেই।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য শকুনের এ দেশে আসা অত্যন্ত দরকার।
সঞ্জয় চৌধুরী। ইন্দা, খড়্গপুর
|
|
|
...এবং গ্রীষ্ম ও প্রাক্ বর্ষা |
-
গঙ্গাদূষণ নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে এনসিসি-র নৌ বাহিনীর অভিযান ফরাক্কায়।
-
হাওড়ায় এ বার তরমুজের উৎপাদন হয়েছে ভালই। প্রবল গরমে বিক্রিও বেড়েছে।
-
বৃষ্টি শুরুর আগে। কৃষ্ণনগরে।
-
সারাদিন প্রবল দাবদাহের পর বিকেলে ঝড় বৃষ্টিতে স্বস্তি।
-
গরম পড়তেই বেড়েছে হাতপাখার চাহিদা।
শিলিগুড়িতে
গাড়িতে বোঝাই করা হচ্ছে হাতপাখা।
-
ওরে বিহঙ্গ... বর্ষা আসার আগে ঘরে ফেরা।
-
গ্রীষ্মের দুপুরে বাসা বুনতে ব্যস্ত।
-
গরমে আরামের কামড়...এ বছর ফলন হয়েছে বেশ ভাল,
তাই
অন্ডালের উখড়া বাজার ছেয়েছে তরমুজে।
-
মাঘী পূর্ণিমার দিনে দিশম মাক মোড়ে উৎসবে মেতেছেন আদিবাসীরা।
ধামসা-মাদলের তালে চলছে নাচও। দুর্গাপুরের চিত্রালয় মেলা মাঠ।
-
গ্রীষ্মের ভোজন।
-
তপ্ত রাস্তায় পারাপার। খরয়াশোলের পাঁচড়ায়, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয়।
-
ছত্রধর।
-
বৃষ্টি মাথায় করেই সমুদ্র-সৈকতে ভ্রমণ কোচিতে।
-
রংবাহারি।
-
স্বস্তির স্নান। ইলাহাবাদে।
-
আনন্দ স্নান: তীব্র গরমে। ঘোলা জলেও মজা কমেনি
এতটুকু।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের হাতিহল্কায়।
|
—নিজস্ব চিত্র |
|
|
পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে ইতিমধ্যেই পস্তাচ্ছি আমরা। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফল
হাতেনাতে পেয়েও টনক নড়ে
ক’জনের?
ব্যাতিক্রম অবশ্য আছে। আর সেই ব্যাতিক্রমী
মানুষদের প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ করি আমরা। তাঁদের দলবদ্ধ অথবা
ব্যক্তিগত
উদ্যোগকে স্বাগত
জানিয়ে পাঠক সমক্ষে নিয়ে আসার পরিকল্পনার শরিক হতে চাইলে আমাদের জানান নীচের ঠিকানায়
সংবাদের হাওয়াবদল
হাওয়াবদল
আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্টারনেট সংস্করণ
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট
কলকাতা ৭০০০০১
ই-মেল করুন haoabadal@abp.in অথবা haoabadal@gmail.com |
|
|