টেমসের উপর বিখ্যাত ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ। যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের
‘হাউস অব কমনস্’-এর সবুজ রঙের চেয়ারের অনুকরণে এই ব্রিজের রংও সবুজ!
টেমস: ইংল্যান্ডের দীর্ঘতম ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় এই নদী।
প্যালেস অব ওয়েস্টমিনস্টার: যুক্তরাজ্য পার্লামেন্ট এই নামেই পরিচিত। ‘হাউস অব কমনস্’ ও ‘হাউস অব লর্ডস্’— এই দুই রাজনৈতিক দলের
‘আড্ডাস্থল’ও বটে! টেমসের পাড়ে ওয়েস্টমিনস্টার শহরের এই প্যালেস ১৯৮৭ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থান করে নেয়।
টাওয়ার ব্রিজ: লন্ডনের আরও এক নিদর্শন টেমস নদীর উপর এই ‘সাসপেনশন’ ব্রিজ। আগে অন্য রং থাকলেও,
রানি
দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজ্যাভিষেকের পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৯৭৭ সালে লাল-সাদা-নীল রং করা হয় এই সেতুর।
লন্ডন আই: ৪৪৩ ফুট উঁচু ও ৩৯৪ ফুট ব্যাসের লোহার চাকা। টেমসের পাড়ের এই বৃহত্ চাকাটি সমগ্র ইউরোপে সর্বোচ্চ।
১৯৯৯ সালের
শেষ দিনে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেও জনসাধারণের জন্য তা খুলে দেওয়া হয় ২০০০ সালের মার্চ মাসে।
ডিউক অব বাকিংহাম-এর জন্য ১৭০৫ সালে নির্মিত হয় বিলাসবহুল বাকিংহাম হাউস। এর পর বহু
হাত
ঘুরে ১৮৩৭ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার আমলে এর পদোন্নতি হয় বাকিংহাম রাজপ্রাসাদ হিসেবে।
বিগ বেন: উচ্চতায় বিশ্বের তৃতীয় ‘ফ্রি-স্ট্যান্ডিং ক্লক টাওয়ার’ যার মাথায় আছে চতুর্মুখী ঘড়ি। ১৮৫৮ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয় আর
১৫০ বছর
পূর্ণ
হয় ৩১ মে, ২০০৯। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজ্যাভিষেকের পঁচিশ বছর পূর্তিতে এর নতুন নামকরণ হয় ‘এলিজাবেথ টাওয়ার’।
ফেটেস কলেজ: এডিনবরার এক ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন স্যর উইলিয়ম ফেটেস। তাঁর একমাত্র ছেলের অকালমৃত্যুতে তিনি এক বিশাল অঙ্কের
টাকা দান করেন গরিব ও অনাথ শিশুদের শিক্ষার জন্য। তাঁর মৃত্যুর পর সেই অর্থেই ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজ।
ফেটেস কলেজের সামনে হোগওয়ার্ট এক্সপ্রেস।
এডিনবরা শহরের মাঝামাঝি এক গুচ্ছ পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গটির নাম ‘আর্থারস সিট’।
৮০০ ফুটের বেশি উচ্চতার এই পাহাড়ের উপর থেকে দেখা যায় প্রায় সমগ্র এডিনবরা।
দিনের শেষে এডিনবরা শহর।
স্কটল্যান্ডের সব থেকে পুরনো ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ‘জেনরস্’, ২০০৫ সালে যা অধিগ্রহণ করে
সমগ্র যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বিস্তৃত ‘হাউস অব ফ্রেসার’ ডিপার্টমেন্টাল স্টোর গোষ্ঠী।
যুক্তরাজ্যের চতুর্থ ও স্কটল্যান্ডের দ্বিতীয় ব্যস্ততম রেল স্টেশন ওয়েভার্লি স্টেশন। ‘ওল্ড টাউন’
ও ‘নিউ টাউন’— এই দু’টি ছোট শহরের মাঝের উপত্যকায় নির্মিত ওয়েভার্লি ব্রিজ।
পানামার এক বন্দর পোর্তো বেলো। জর্জ হ্যামিল্টন সেই স্থান থেকে ঘুরে এসে ১৯৪২ সালে এডিনবরার প্রাণকেন্দ্র
থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার
দূরত্বে তৈরি করেন এক সুন্দর কটেজ, নাম দেন পোর্তোবেলো। আজ কটেজটি না থাকলেও, এই উপকূলবর্তী অঞ্চলকে সকলে ওই নামেই জানে।
পোর্তোবেলো সৈকত।
লিভিংস্টোন: বর্তমানে এডিনবরার পর দ্বিতীয় জনবহুল স্থান হলেও ১৯৬৩ পর্যন্ত এটি ছিল উন্মুক্ত কৃষিজমি।
ঐতিহ্যমণ্ডিত স্টারলিং... স্কটল্যান্ডের সব থেকে ছোট শহর, এক সময়ের রাজধানীও বটে।
সবুজে ঢাকা এই অঞ্চল স্কটল্যান্ডের ‘হাইল্যান্ড’ যাওয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত।
ওকিল পর্বতে উত্পত্তির পর স্টারলিঙের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে অ্যালেন ওয়াটার।
প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী গিয়ে মিশেছে স্টারলিঙের দক্ষিণে ফর্থ নদীতে।
রোজের আনন্দবাজার • এ বারের সংখ্যা • সংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘর • স্বাদবদল • চিঠি • পুরনো সংস্করণ |