• প্রতি শ্বাসে বিষ বাঙালির সাধের স্বর্গদ্বারে। সবিস্তার...
|
• সম্ভ্রান্ত বিত্তবান ছিলেন সাকেত, চতুর্থ শতকে। সবিস্তার...
|
• ব্র্যান্ড-ডুয়ার্সকে পরিচয় করাতে উদ্যোগ উৎসবে। সবিস্তার...
|
• ১৯০০ বছরের পুরনো রোমান ভাস্কর্যের খোঁজ লন্ডনে। সবিস্তার...
|
• কুমিরের ডিম পাড়ার খাঁড়িতেই পর্যটনের উদ্যোগ রাজ্যের। সবিস্তার...
|
• সৈকত শহর দিঘায় বাঁশের কটেজ বানাবে রাজ্য পযর্টন দফতর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় দিঘার উদয়পুরে তৈরি হবে এই অতিথি নিবাস।
|
|
পর্যটকদের জন্য কাজিরাঙা দ্বার খুলে দেওয়া
হল। |
• এলাকার সংস্কৃতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে জঙ্গলমহলের তিন জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরকে নিয়ে একটি পর্যটনবৃত্ত গড়ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানান পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তিনি জানান, প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে ওই এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। জঙ্গলমহলকে কংক্রিটের জঙ্গল করতে দেওয়া হবে না। সেখানে বহুতল হোটেলও গড়া যাবে না। পর্যটন প্রকল্পের নির্মাণশৈলীতে গুরুত্ব পাবে আদিবাসী সমাজ ও সংস্কৃতি। প্রকল্পের প্রতিটি পর্যায়ে কাজের সুযোগ পাবেন স্থানীয় মানুষ। তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও চালু হয়েছে।
|
• হায়দরাবাদের মুসি নদীর ধারে পর্যটকদের জন্য একটি প্রমোদস্থান গড়বে গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। মুসি নদীর হিমায়াতসাগর ও ওসমানসাগর থেকে বাপুঘাট পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই সৌন্দযায়নের পরিকল্পনা করেছে কর্পোরেশন। গোটা বিষয়টি ন্যাশনাল রিভার কনজারভেশন ডিরেক্টরেট ও জেএনএনইউআরএম-এর গাইডলাইন মেনে করা হবে। নদীর ধারে প্রমোদের আয়োজনের সঙ্গে থাকবে পুলিশের কিয়স্ক, শৌচালয়-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সুবিধা। এ ছাড়া থাকবে পানীয় জল, পার্কিং লটের ব্যবস্থাও। যদিও পুরো বিষয়টি এখনও পরিকল্পনার পর্যায়েই রয়েছে।
|
• সুন্দরবনের দোবাঁকির জঙ্গলে দেখা মিলল সাইবেরিয়ান থ্রাশ-এর। বছর দশেক আগে শেষ বার এ দেশে দেখা মিলেছিল। তবে রাজ্যে এই প্রথম। শীতের শুরুতে সাইবেরিয়ার তাইগা অঞ্চল থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঝাঁক বেঁধে উড়ে যায় এই সাইবেরিয়ান থ্রাশ। ‘বোম্বে ন্যাচরাল হিস্ট্রি সোসাইটি’র বক্তব্য, দেশান্তরী হওয়ার সময়ে সুন্দরবনের জঙ্গলে নেমে পড়েছে তাদেরই একটি। |
|
• যাত্রী টানতে এ বার বিশেষ ‘পাস’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। ভারতের যে ১১টি শহরে তাদের উড়ান রয়েছে, সেই সব শহর থেকে তাদের এবং সহযোগী সিল্ক এয়ারের উড়ানে এই পাস পাওয়া যাবে। যার অর্থ, পাস মিলবে কলকাতা থেকেও। তবে, পাস পেতে গেলে সিঙ্গাপুর এয়ারের উড়ানে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান বা চিন যেতে হবে। শুধু সিঙ্গাপুর গেলে হবে না। সামনের বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পাস পাওয়া যাবে। এই পাস নিলে বিমান ভাড়ায় অনেকটাই ছাড় পাওয়া যাবে বলে সংস্থা সূত্রে দাবি। তবে শুধু পাস নয়, সংস্থার উড়ানে অন্য দেশে গেলে যাওয়ার পথে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে ৪০ চাঙ্গি ডলার তুলে দেওয়া হবে যাত্রীর হাতে। সেই টাকায় কেনাকাটা বা খাওয়া-দাওয়া করা যাবে।
|
• শীত পড়তেই যেন বদলে গিয়েছে জলঢাকার চেহারা। নদীর বুকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির ওড়াওড়ি। ‘নর্দান ল্যাপউইং’ ঝুঁটি নাচিয়ে শব্দ করে উড়ে বেড়াচ্ছে। দূরে কলতানে মুখর ‘রুডি শেল ডাক’। স্থানীয় ভাবে চখাচখি নামে বেশি পরিচিত ওই পাখি। খাবারের খোঁজে উড়ছে ‘কমন স্যাণ্ডপাইপার’, ‘কমন টেল’। হিমের পরশ লাগতে ময়নাগুড়ির পানবাড়ি লাগোয়া জলঢাকা-মূর্তি-ডায়না নদী সঙ্গম এলাকা এ ভাবে পক্ষী নিবাসে পাল্টে যেতে শুরু করেছে। ইউরোপ-সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমাতে শুরু করেছে সেখানে। শীতের অতিথিদের পেয়ে খুশি স্থানীয় মাঝিরাও। স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে ওঁরা কদমবাড়ি ঘাট থেকে ত্রিবেণী সঙ্গমে নৌকা বিহার শুরু করেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরুমারা জঙ্গলে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের নিয়ে তাঁরা যাচ্ছেন নৌকা-বিহারে। শীতের কয়েকটা মাস পরিযায়ীদের কাছ থেকে দেখতে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন মাঝিরা। সে জন্য পাখিদের আগলে রাখতে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নজরদারিও চালাচ্ছেন তাঁরা। পর্যটকদের ফাঁকা চরে নামিয়ে পাখি দেখাচ্ছেন। সকালে নৌকায় ভাসতে হাতের মুঠোয় চলে আসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। ঝকঝকে নীল আকাশে ভেসে ওঠা পর্বত শৃঙ্গে বরফের গায়ে নানা রঙের খেলাও স্পষ্ট দেখা মিলছে। এমন অপরূপ ক্যানভাসে নর্দান ল্যাপউইংদের ডানা ঝাপটানোর বিরল দৃশ্য দেখে আত্মহারা পর্যটকরা। মাঝি মদন রায়, খুলেন রায় বলেন, “এত কিছু এক সঙ্গে কোথায় মিলবে! ইতিমধ্যে কয়েক হাজার পাখি এসেছে। আরও আসবে। ওরা যেন শান্তিতে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”
|
• শীত পড়ে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের গড় তাপমাত্রা কমতে কমতে নেমে গিয়েছে প্রায় ন’ডিগ্রিতে। ঝাড়খণ্ডে বেড়ানোর সময় শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকেও পর্যটকরা এসে এ বার ভিড় জমাচ্ছেন বেতলা আর নেতারহাটে। সংখ্যায় কম হলেও আসছেন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি পর্যটকরাও। সিনেমার শুট্যিং করার জন্য ইতিমধ্যেই নেতারহাটে পর্যটন বিভাগের হোটেল বুক করেছে কলকাতার কোনও এক সিনেমা সংস্থা—জানাচ্ছেন ঝাড়খণ্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল কুমার।বেতলার আকর্ষণ যদি হরিণ, বাইসন, হাতি অথবা বাঘ হয়, তবে নেতারহাটের আকর্ষণ সেখানকার নৈসর্গিক পরিবেশ। বেতলা জাতীয় উদ্যানে হাতি সাফারি এক আকর্ষণীয় উপহার। বেতলা থেকে জঙ্গলের পথে একশো কুড়ি থেকে বাইশ কিলোমিটার দূরে নেতারহাট। পথে সুগাবাঁধ আর লোধ—দু’টি ঝোরা দেখে গেলে আরও পঞ্চাশ কিলোমিটারের মতো রাস্তা বেশি। পর্যটনের মরশুম শুরু হওয়ায় রাজ্য পর্যটন বিভাগ, রাজ্য বন দফতর পর্যটকদের থাকার জন্য বেতলা-নেতারহাটে তাদের হোটেল, ‘ট্রি-হাউস’ প্রভৃতি সংস্কারের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আর নেতারহাটে ‘সানরাইজ পয়েন্ট’-এ সূর্যোদয় দেখতে কিংবা ‘ম্যাগনোলিয়া পয়েন্টে’ সূর্যাস্ত দেখতে অক্টোবরের শেষ থেকেই পর্যটকরা এখানে আসতে শুরু করেছেন। রাজ্য পর্যটন দফতরের প্রধান সচিব সজল চক্রবর্তীর কথায়, এ বছর কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাঁরা ভালো সংখ্যক পর্যটক আশা করছেন। তিনি বলেন, “বাংলার পর্যটকরাই বেতলা, নেতারহাট, দেওঘর, ম্যাকলাক্সিগঞ্জের মতো জায়গাগুলিকে অন্যান্য রাজ্যকে চিনিয়েছেন। কেঁচকিতে তো বিখ্যাত সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’-র জন্য।”
|
• ইচ্ছে থাকলেও মকাইবাড়ি চা বাগানের বাংলোয় থাকতে পারেননি? যেতে পারেননি ডুয়ার্সের জুরান্তি চা বাগানের প্রাচীন বাংলোয়? অথবা সেলিম হিলের ডিরেক্টরস বাংলোর ‘রেস্ট শেড’-এ বসে মহানন্দা অভয়ারণ্যের বুনো জন্তুদের দল বেঁধে যাতায়াত দেখার সুযোগ পাননি? মন খারাপের কিছু নেই। চা-পর্যটনে জোর দিতে সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হতেই পাহাড় ও সমতলের অন্তত ৩০টি চা বাগানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বস্তুত, আর পাঁচটা জায়গার তুলনায় চা বাগানের ডিরেক্টরস বাংলো কিংবা অতিথি নিবাসে রাত কাটানো ও বেড়ানোর অভিজ্ঞতা একেবারে আলাদা। বিশেষত, শতবর্ষ প্রাচীন চা বাগানে ইংরেজ আমলে তৈরি ‘কটেজ’-এ থাকার সুযোগ মিললে তো কথাই নেই। শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে তিনধারিয়ার পাহাড়ি উপত্যকায় সেলিম হিল চা বাগানে রয়েছে ইংরেজ আমলে তৈরি কাঠের সুদৃশ্য বাংলো। সমতল শিলিগুড়িতে যখন গ্রীষ্মের দাবদাহ চলে, সেই জুন মাসেও কার্শিয়াঙের সেলিম হিলে গেলে হিমেল বাতাসে গা শিরশির করে ওঠে। ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের জুরান্তি চা বাগানের মাঝখানে ডিরেক্টরস বাংলোয় বিলিয়ার্ড থেকে নানা ধরনের খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। দার্জিলিঙের গ্লেনবার্ন চা বাগানের মতো আরও কিছু চা বাগানেও ভ্রমণপিপাসুদের থাকা-খাওয়ার যাবতীয় বন্দোবস্ত রয়েছে। কিন্তু এই সব বাগানে থাকা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। তাই সব শ্রেণির পর্যটকদের জন্য ভাবনাচিন্তা করছেন ট্যুর অপারেটররা। একটি বেসরকারি পর্যটন সংস্থার কর্ণধার সম্রাট সান্যাল বললেন, “যাঁরা কম খরচে, চা বাগানে থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চান, তাঁদের জন্য পাহাড় ও সমতলের অন্তত ২০টি বাগানে অপেক্ষাকৃত কম বাজেটে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন মালিকপক্ষ।” এতে চা বাগান মালিকদের আয় তো বাড়বেই, নতুন কিছু কর্মসংস্থানের জায়গাও তৈরি হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (সিআইআই)-এর উত্তরবঙ্গ শাখার পর্যটন বিষয়ক মুখপাত্র রাজ বসুর হিসেব, “উত্তরবঙ্গে ৩০০ টি চা বাগানে দু’হাজার ঘর রয়েছে। যেখানে অনায়াসে পর্যটকেরা থাকতে পারবেন। প্রচুর কর্মসংস্থানও হবে।”
|
• এক দিন নয়। পাঁচ দিন। প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন পাঁচ দিনের এই কালী পুজোকে ঘিরে মেলা বসে আমোদপুরের নিরিশা গ্রামে। দুর্গা পুজোর মতোই কালী পুজোতেও নতুন জামাকাপড়, ভালমন্দ খাওয়া, খেলাধুলো আর আড্ডা এ সব নিয়েই এই ক’দিন মেতে থাকেন গ্রামের সব বয়সের বাসিন্দারা। মেলায় শুধু ওই গ্রামের লোকজনই নন, এতে সামিল হন আশপাশের গ্রাম, শহর ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজনও। কালীপুজোর একদিন পর ফের ঘট ভরে আবার নতুন করে পুজো হয়। শতাধিক ছাগ বলি হয় এবং আগত ভক্তদের খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। কথিত আছে, গ্রাম থেকে সামান্য দূরের জঙ্গলে প্রতি অমাবস্যায় গভীর রাতে মশালের আলো দেখা যেত। কাঁসর-ঘণ্টার আওয়াজ শোনা যেত। গ্রামের নৈশ প্রহরী কাঁসরের ধ্বনি শোনা ও আলো দেখার অভিজ্ঞতার কথা গ্রামবাসীদের শোনাতেন। অন্যরা ভয় পেলেও গ্রামের বাসিন্দা ডম্বুর বন্দ্যোপাধ্যায় অমাবস্যায় জঙ্গলে যাওয়ার জন্য মনস্থির করেন। সেখানে যেতে চাননি ওই নৈশ প্রহরীও। রাতে ঘণ্টাধ্বনি ও আলো অনুসরণ করে ডম্বুরবাবু সেখানে গিয়ে দেখেন, এক কাপালিক বিশাল কালীমূর্তির পুজো করছেন। পুজো শেষে ওই কাপালিক ডম্বুরবাবুকে বলেন, ‘এই পুজো তোর হাতেই সমর্পণ করলাম।’ এই বলে কাপালিক রাতেই চলে যান। বর্তমানে নিরিশার ওই কালীপুজো গ্রামের দুই রায় পরিবার পরিচালনা করেন। পরিবারের সদস্য তাপস রায়, কালীময় রায় ও প্রবীণ সদস্য নীলিমা রায় বলেন,“ডম্বুরবাবু নিঃসন্তান ছিলেন। আমাদের দুই পূর্বপুরুষ, লাভপুরের আভাডাঙার বাসিন্দা রাজেন্দ্র রায় ও রাখাল রায়কে এই গ্রামে নিয়ে এসে পুজোর দায়িত্ব দেন। সেই থেকে পুজো সামলে আসছেন আমাদের পরিবারের লোকজন।” |