১৬ পৌষ ১৪১৮ রবিবার ১ জানুয়ারি ২০১২



অসলো, নরওয়ে
কবে যাবেন
পৃথিবীর সবথেকে ব্যয়বহুল শহর জেনেভা, প্যারিস, টোকিওর সঙ্গেই রয়েছে অসলোর নাম।
এখানে যাওয়ার প্রশস্ত সময় গ্রীষ্মকাল— জুন থেকে অগস্ট মাস। এই সময় আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ ও সামান্য আর্দ্র থাকে।
নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস তুষারপাত হয়। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় হ্রদগুলি জমে যায়।
উত্তর মেরুবৃত্তের কাছাকাছি হওয়ায়, গ্রীষ্মকালে অসলোয় রাত হয় প্রায় ১১টায়। আবার শীতকালে মাত্র ছ’ঘন্টা দিন থাকে।
কী ভাবে যাবেন
• ভারতবর্ষের বিভিন্ন শহর থেকে ইউরোপের বড় কোনও এয়ারপোর্ট (লন্ডন, ফ্রাঙ্কফুট, প্যারিস, আমর্স্টাডাম, জুরিখ) হয়ে কানেক্টিং ফ্লাইটে অসলো যাওয়া যায়।
• স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইন্সের ডাইরেক্ট ফ্লাইটেও অসলো যেতে পারেন।
• অসলো থেকে বার্গেন ট্রেনে করে সহজেই যাওয়া যায়।
• নরওয়ের অন্যান্য শহরে যেতে হলে অবশ্য অসলো থেকে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে যাওয়াই সুবিধাজনক।
• ইউরোপের কোন কোন বড় এয়ারপোর্ট থেকে বার্গেন বা ট্রন্ডহাইমের ডাইরেক্ট ফ্লাইটও আছে।
আনুমানিক খরচ
• অসলো তথা স্ক্যান্ডিনেভিয়া অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় কিছুটা ব্যয়সাধ্য। তাই সবকিছুতেই বিশেষ ছাড়ের সুযোগ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়। মনে রাখতে হবে ইউরোপে প্রধান ‘সিজন’ওদের সামারে যা সাধারণতঃ জুলাই আগস্ট মাসকে ধরা হয়। এই তথ্যটি এবং আমাদের দেশের স্কুল কলেজের ছুটির কথা মাথায় রেখে তাই জুন মাসের শুরুর দিকে যাওয়াই শ্রেয়।
• এই সময় প্লেন ও হোটেল ভাড়া কিছুটা কম থাকে। অসলো হোটেলে দুজনের প্রতিরাত্রের আনুমানিক খরচ প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ ইউরো। ব্রেকফাস্ট সমেত।
থাকা
• বিভিন্ন হোটেল বুকিং-এর ওয়েবসাইট (যেমন www.booking.com বা www.venere.com)। আগে থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে হোটেল রুম বুক করলে বেশ খানিকটা সাশ্রয় হয়। বিশেষতঃ বুক করার সময়ই পুরো টাকা দিয়ে দিলে। তবে মনে রাখতে হবে এই ধরণের বুকিং কিন্তু নন-রিফাণ্ডেবল। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে রিফাণ্ডেবল বুকিং করে পরে হোটেলে গিয়ে ক্যাশ পেমেন্টও করা সম্ভব। তাতে একটু বেশি খরচ হয়।
• হোটেল ছাড়া বিভিন্ন গেস্ট হাইসেও থাকার ব্যবস্থা আছে।
স্থানীয় ভ্রমণ
• শীতকালে ‘অরোরা বোরিয়ালিস’ বা গ্রীষ্মে ‘মিডনাইট সান’ দেখতে হলে যেতে হবে অসলো থেকেও অনেকটা উত্তরে। গন্তব্য হতে পারে ট্রমসো।
• নরওয়ের প্রায় সব শহরেই, বিশেষতঃ অসলোতে বাস ও ট্রামেই যাতায়াত করা সুবিধাজনক।
• অসলোর মেট্রো পরিষেবা স্বচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যায়। সাধারণত একই টিকিট বা পাসে সবধরণের পরিষেবারই সুযোগ নেওয়া চলে।
• শহরে যত্রতত্র পাওয়া যায় সাইকেল ভাড়া।
প্রয়োজনীয় তথ্য
• নরওয়ে বেড়াতে যেতে চাইলে সেঙ্গেন ভিসা নিতে হবে। এই ভিসা থাকলে ইউরোপের অনেক দেশেই যাওয়া যায়। ২২টি ইউরোপীয় ও ৩টি অন্যন্য দেশ— এই ২৫টি দেশ ঘুরতে চাইলে সেঙ্গেন ভিসা (Schengen Visa) অবশ্য প্রয়োজন। একই যাত্রায় অনেকগুলি দেশ ঘোরার সময় পর্যটকদের বারবার ভিসা করার ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতেই এই ‘ভিসিটর্স ভিসা’।
• মনে রাখতে হবে নরওয়ের কারেন্সি নরওয়েজীয় ক্রোনার। যাওয়ার আগে ক্রোনার কিনে নেওয়া ভাল। না হলে নরওয়ের এয়াপোর্টে এক্সচেঞ্জ করতে হবে।
• গ্রীষ্মকালে নরওয়ে বেড়াতে গেলেও সঙ্গে গরম জামাকাপড় অবশ্যই নিতে হবে। দিনে আরামদায়ক আবহাওয়া থাকলেও সন্ধ্যা হলে অনেক সময়ই ঠাণ্ডা পড়ে, বিশেষত একটু বৃষ্টি হলে বা অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায়।


প্যারিস
কবে যাবেন

পশ্চিম ইউরোপে অবস্থান হলেও ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু প্যারিসের পরিবেশকে আরও মনোরম করে তুলেছে। শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকাল এখানে খুবই আরামদায়ক। এই সময়ে উষ্ণতার গড় ২৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। তাই গ্রীষ্মেই ঘুরতে যাওয়ার আদর্শ সময়।
প্রয়োজনীয় তথ্য
• লন্ডন থেকে প্যারিস Easy Jet এ যেতে খরচ ৭০ ইউরো (৪৭০০ টাকা)। লন্ডন থেকে প্যারিস ট্রেনের ভাড়া প্লেনের ভাড়ার প্রায় তিনগুন, এবং সময় নষ্ট।
• প্যারিসে চারদিন রাখা ভাল। মাথাপিছু চারদিন ঘোরা, থাকা খাওয়ার খরচ মিলিয়ে প্রায় ২৭০ ইউরো (১৮,০০০ টাকা)।
• ফ্রান্সের ভিসা’র খরচ প্রায় ৪০০০ টাকা। সবমিলিয়ে আর ২৫০০০ টাকাতে প্যারিস দেখা সম্ভব।
কিছু দরকারি ওয়েবসাইট:
Hostelling International: http://www.hihostels.com/
Train: http://www.thalys.com/nl/en/
Paris Metro: http://www.paris.org/Metro/



রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যা • সংবাদের হাওয়াবদল স্বাদবদল • আপনার রান্নাঘর • পুরনো সংস্করণ