১৭ মাঘ ১৪১৮ বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি ২০১২


   
প্রকৃতির স্নেহে আরাকুর আদিমতা
দুপুরের ঘড়ির কাঁটা ঠিক দু’টো পঁচিশের ঘর ছুঁতেই হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। আর আমি যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম! উফ্ফ্! শেষ দিকে কি ‘টেনশন’টাই না হচ্ছিল! কিন্তু এখন আর কোনও চিন্তা নেই। আমরা সত্যিই যাচ্ছি সেই বোম্বেটেদের দেশে!

মাত্র ১৫ দিন আগে সন্দীপ রায়ের ‘বোম্বাইয়ের বোম্বেটে’ দেখেছি। যখন জানতে পারলাম, আমার প্রিয় দৃশ্য অর্থাত্ জটায়ুর সেই ডাকাতদলের দৃশ্যটির শুটিং হয়েছে ‘আরাকু ভ্যালি’র কাছে, তখন থেকেই কেমন যেন প্রেমে পড়ে গেলাম জায়গাটার। জটায়ুর বিখ্যাত ‘আপনাকে তো কাল্টিভেট করতে হচ্ছে...’ কথানুসারে শুরু করে দিলাম আরাকু সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ। বই পড়ে জানতে পারলাম এটাই নাকি ভারতবর্ষ তথা পৃথিবীর উচ্চতম ব্রডগেজ রেলপথ। পাশাপাশি চলল টিকিট কাটা, হোটেল বুকিং-এর তোড়জোর। প্রথম দিকে এত তাড়াতাড়ি সব কিছু জোগাড় করা যাবে কি না, তা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। তাই আমার সহযাত্রীরা দু’মাস পরের বুকিং-এর পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু আমিও নাছোড়। অবশেষে সবাইকে রাজি করিয়ে ফেললাম। সহযাত্রী বলতে আমাদের অপ্রতিরোধ্য টিম— বাবা, মা, জেঠু, জেঠি, দিদি, দাদাভাই (জামাইবাবু), আমার ছোট্ট ভাগ্নি পুকু আর আমি। পুকুকে আরাকু ভ্যালি, বিশাখাপত্তনমের অনেক গল্প শুনিয়ে রেখেছিলাম, ফলে ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছানোর অনেক আগেই ও কল্পনার ডানায় ভর করে আরাকু পৌঁছে গিয়েছিল।

প্যানোরামিক ভিউ *
ট্রেন হাওড়া ছেড়েছে বেশ কিছু ক্ষণ। বাবা আর জেঠু পাশের দুই যাত্রীর সঙ্গে আড্ডা জমিয়েছে। আলোচনার প্রধান বিষয় ভারতীয় ক্রিকেট। ট্রেনের গতি যত বাড়ে চার জনের গলার স্বরও ততই চড়ছে। আমরাও নিজেদের মধ্যে গল্প করতে করতে এগিয়ে চলি। আরাকু পৌঁছে কী করব তার ‘প্ল্যান’ করছি। জেঠির ইচ্ছা আরাকুর আগে জগদলপুরে দু’দিন কাটানোর। আমরা ব্যাপারটার প্রচণ্ড বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত জেঠির প্রায় একক ইচ্ছাতেই সেখানে যাওয়া স্থির হল। রাত ন’টার মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে সবাই শুয়ে পড়লাম। খুব ভোরবেলা উঠতে হবে যে!

করমণ্ডল এক্সপ্রেস প্রায় সঠিক সময়েই বিশাখাপত্তনম স্টেশনে পৌঁছাল। এখান থেকে ট্রেন পাল্টে যেতে হবে জগদলপুর। জগদলপুর যাওয়ার ট্রেনের নামও প্রায় একই রকম— কিরণ্ডল এক্সপ্রেস। সকাল সাড়ে আটটায় তার রওনা হওয়ার কথা। হাতে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা সময়। আপাতত সবাই বিশ্রামের জন্য ঢুকে পড়লাম ‘ওয়েটিং রুম’এ। বিশাখাপত্তনম স্টেশনে এসে যেটা খেতেই হবে, সেটা, ফলের রস। আম-আঙুর-আপেল-বেদানা আরও অনেক ফলের রসের পসরা নিয়ে পর পর অনেকগুলি দোকান। সবাই মিলে ফলের রস খেলাম। তার মধ্যেই স্টেশনের ‘পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম’-এ মহিলা কণ্ঠ জানিয়ে দিল কিরণ্ডল এক্সপ্রেসের আগমন বার্তা। ট্রেন বেশ ফাঁকা। জায়গা পেতে কোনও অসুবিধা হল না। শুনলাম, জগদলপুর যেতে সন্ধে হয়ে যাবে। আরাকু পেরিয়ে ছ’ঘন্টার পথ। এতটা রাস্তা গিয়ে কিছুই যদি না দেখার থাকে! তার চেয়ে সোজা আরাকু গেলেই তো ভাল হত!

কিরণ্ডল এক্সপ্রেস ছাড়ল ঠিক সময়েই। আমাদের পাশাপাশি জনা কয়েক ‘দেহাতি’ মহিলা-পুরুষ বসে। এখানকার মহিলাদের এক ধরনের বিশেষত্ব আছে। এঁরা প্রায় প্রত্যেকেই মাথায় ফুল বাঁধেন। কথা বলার উপায় নেই, কারণ কেউই স্থানীয় ভাষা ছাড়া বিশেষ কিছু বোঝেন না। পরের স্টেশন থেকে এক জন উঠলেন, যিনি সামান্য হিন্দি বোঝেন। তাঁর কাছ থেকে জানলাম, এই লাইন দিয়ে মালগাড়ি ব্যতীত কিরণ্ডল এক্সপ্রেসই একমাত্র ট্রেন।

ইতিমধ্যে ট্রেনের দু’পাশে শুরু হয়ে গেছে অসাধারণ সব প্রাকৃতিক দৃশ্যের আনাগোনা। মন জুড়ানো সেই সমস্ত অপূর্ব দৃশ্য স্রেফ গিলতে লাগলাম চোখ দিয়ে। দু’ধারে পাহাড়, মাঝে রাস্তা, কখনও টানেলের ভেতর দিয়ে, কখনও খোলা আকাশের নীচে। ট্রেন এগিয়ে চলেছে। অনেক দূরে দূরে এক একটা স্টেশন। প্রায় ঘন্টা তিনেক যাওয়ার পর একটা বড় স্টেশন এল— আরাকু। খুব ইচ্ছা করছিল নেমে যেতে, কিন্তু...! ট্রেন আবার চলতে শুরু করল।

ট্রেন আরাকু ছেড়েছে প্রায় ঘন্টা খানেক। এরই মধ্যে অন্তত দশটা এ রকম জায়গা নজরে এসেছে, যেগুলো দেখে মনে হয়েছে এখানেই হয়েছিল ‘বোম্বাইয়ের বোম্বেটের’ শুটিং। জেঠির উপর প্রথম দিকের বিরক্ত ভাবটা কখন যেন কেটে গিয়েছে! জগদলপুর না এলে রাস্তার এই অপরূপ দৃশ্য তো দেখতেই পেতাম না। ট্রেনে স্থানীয় আদিবাসী মহিলারা উঠে কমলালেবু, সবেদা বিক্রি করছিলেন। কোনও পুরুষ ‘হকার’ চোখে পড়ল না। কলকাতার তুলনায় প্রায় অর্ধমূল্যে কেনা ফলগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু। সন্ধের দিকে আমরা জগদলপুর পৌঁছলাম। উঠলাম হোটেলে। আগে থেকে বুকিং ছিল না, কিন্তু ঘর পেতে অসুবিধা হয়নি। দেড় দিনের ধকলে তখন সবাই ক্লান্ত। যে যার ঘরে গিয়ে ‘বিশ্রাম’। রাতে খাওয়ার সময় ম্যানেজার পরের দিনের ‘সাইট সিইং’-এর গাড়ির ব্যবস্থা করে দিলেন। শুনলাম, এক জলপ্রপাত আর এক গুহার কথা, যা নাকি অবশ্য দ্রষ্টব্য।

গুহার ভেতরে প্রাকৃতিক ভাস্কর্য

সকাল আটটায় গাড়ি রওনা দিল। প্রথম গন্তব্য কুটুমসার গুহা। এই গুহার কথা কিছুই জানি না। যতটুকু জানি তা ওই বোরা কেভ সম্বন্ধে। এই গুহা কি তার মতো সুন্দর হবে! ছবিতে বোরা কেভ দেখেই কেমন বিমোহিত হয়ে যাই। এই সব ভাবতে ভাবতেই আমাদের গাড়ি দু-একটা ছোট গ্রাম পেছনে ফেলে এসে দাঁড়িয়েছে একটা বড় জঙ্গলের মধ্যে খানিকটা ফাঁকা জায়গায়। বেশ ঘন জঙ্গল। এই সকালবেলাতেও বেশ অন্ধকার। বাইরে বেরোনোর আগে আরও দু’টো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে দেখে আশ্বস্ত হলাম, এখানে আমরাই একমাত্র মনুষ্যকুলের প্রতিনিধি নই! আমাদের গাইড হিসেবে উপস্থিত হলেন এক আদিবাসী বৃদ্ধ। হাতে সৌরলণ্ঠন। তাঁর পিছু পিছু গিয়ে পৌঁছালাম গুহার সামনে। গুহামুখ অপ্রশস্ত। উঁকি মেরে দেখতে পেলাম একটা রেলিং দেওয়া ভাঙা সিঁড়ি। তার পর শুধুই জমাট অন্ধকার, কিছুই দেখা যাচ্ছে না। গা-ছমছমে অনুভূতিটা বাড়াবার জন্য গাইডের একটা কথাই যথেষ্ট ছিল; এখানে আগে নাকি ‘শের’ থাকত। ‘কাঙ্গার ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে’র কুটুমসার বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গুহা। মাটি থেকে ৩৫ মিটার নীচে ১৩৭০ মিটার লম্বা এই গুহার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ স্ট্যালাকটাইট আর স্ট্যালগমাইটের প্রাকৃতিক ভাস্কর্য।

গুহার ভিতরটা বেশ স্যাঁতসেতে। আর জমাট অন্ধকারটাকে সৌরলণ্ঠন সামান্য ফিকে করেছে মাত্র। সেই আবছা আলোয় দেখলাম স্ট্যালাকটাইট আর স্ট্যালগমাইটের অপরূপ শোভা। এই দৃশ্যের পর খানিকটা এগোতেই পায়ের নীচে জলের ধারার অনুভব। গাইডকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বললেন, এই জল কাছাকাছি কোনও পাহাড়ি ঝর্নার জল। গাইড আর বেশি দূর এগোতে চাইলেন না, কারণ এর পর নাকি জলের স্রোত আরও বেশি। এই গুহার মধ্যে স্ট্যালাগটাইট আর জলের ধারা দেখে মনে হচ্ছিল, এখনই হয়তো কোনও অজানা পশুকে জল খেতে দেখব! মনে হচ্ছিল আমি যেন জুল ভার্নের ‘জার্নি টু দ্য সেন্টার অফ দ্য আর্থ’-এর নায়ক হয়ে পৃথিবীর কেন্দ্র খুঁজতে বেরিয়েছি! কিন্তু যাবতীয় উত্তেজনার সেখানেই ইতি ঘটল, কারণ গাইড বললেন, এ বার ফিরতে হবে। সে সময় মনে হচ্ছিল, আমার জীবনের চরমতম শত্রু এই গাইড। যাবতীয় বিরক্তি-সহ গুহা থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠলাম। এ বার যাওয়া হবে চিত্রকূট ফল্স দেখতে। কিন্তু মনটা যে কুটুমসারেই পড়ে রইল। ড্রাইভার আশ্বস্ত করলেন, চিত্রকূটও ভাল লাগবে। পৌঁছে বুঝলাম, উনি মিথ্যে বলেননি।

চিত্রকূট: জলধারার শেষে সাত রঙের ছটা

ইন্দ্রাবতী নদীর পথে সৃষ্ট মনোরম এই চিত্রকূট ফল্স। উচ্চতা ৯৫ ফুট। বর্তমানে ছত্তীশগঢ়ের বস্তার জেলায় অবস্থিত। জগদলপুর থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে এই জলপ্রপাতটিকে হিন্দুদের পবিত্র স্থান হিসেবেও মানা হয়। সুবিশাল জলরাশি নীচে পড়ে গড়ে তুলেছে রামধনু। সেই সঙ্গে তার তীব্র আওয়াজ তৈরি করেছে এক অদ্ভুত ছন্দ। সারা বছর এই শোভা দেখা গেলেও বর্ষাকালে সুবিস্তৃত জলরাশির রূপ সম্মোহিত করে। এ সব দেখতে দেখতেই সুয্যিমামা পাটে গেলেন। এ বার হোটেলে ফেরার পালা।

ফিরতে একটু সন্ধেই হল। কিন্তু এই ভর সন্ধেতেই চারিদিক নিঝুম, নিস্তব্ধ। যেন এরই মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে গোটা জগদলপুর। হোটেলটুকু বাদে চতুর্দিক ঘন অন্ধকার। আমরাও তাড়াতাড়ি খেয়ে নিয়ে শুয়ে পড়লাম, সকালের ট্রেনেই আরাকু যেতে হবে যে!

সকালে ফের সেই কিরণ্ডল এক্সপ্রেস চেপেই রওনা হলাম আরাকুর দিকে। আরও এক বার চোখ দিয়ে গিললাম সেই অসামান্য প্রাকৃতিক দৃশ্য। আরাকু পৌঁছাতে দুপুর হয়ে গেল। এখানে আগে থেকেই বুক করা আমাদের হোটেল।


পর দিন সকালে গেলাম আরাকুর প্রধান আকর্ষণ বোরা কেভ দেখতে। সফরের শুরু থেকে বোরা কেভ নিয়ে যে রোমাঞ্চ ছিল, বাস্তবে সেই বিশাল গুহার সামনে দাঁড়িয়ে, সত্যিই মন ভরে গেল। প্রায় ৮০ মিটার গভীর ও ৭০৫ মিটার লম্বা এই গুহা দেশের সবচেয়ে বড় গুহাগুলির মধ্যে অন্যতম। গুহার বাইরে একটি শিব মন্দির। গুহার আবিষ্কার নিয়ে রয়েছে এক লোকগাথা। স্থানীয় এক মেষপালকের গরু গুহার ছাদ থেকে পড়ে যায়। গরু খুঁজতে খুঁজতে মেষপালকটি এই গুহাটির কাছে চলে আসে। সেখানে গরুটির পাশে একটি শিবলিঙ্গের মতো দেখতে পাথর চোখে পড়ে তার। এই শিবলিঙ্গই গরুটিকে রক্ষা করেছে মেনে নিয়ে গুহার বাইরে সেটি এনে পুজো শুরু করে সে।

কিন্তু গুহায় ঢুকে কোথায় যেন ছন্দটা কেটে গেল। বানানো সিঁড়ি, বড় বড় আলো গুহার স্বাভাবিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটার ক্ষতিই করেছে। স্ট্যালাগটাইট ও স্ট্যালাগমাইটের ‘ভাস্কর্য’ বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছিল কুটুমসারের কথা। মনে হচ্ছিল, প্রকৃতির স্নেহে থাকা কুটুমসারের আদিমতা দশ গোল দিল সভ্যতার অনুশাসনের বোরা কেভকে। মনটা বড্ড খারাপ হয়ে গেল। পরের দিন বিশাখাপত্তনম যাওয়া, তাই বিকেলটা হোটেলেই কাটাব ঠিক করলাম। আরাকুর এই হোটেলটা ছোট ছোট অনেক এক তলা ‘কুঁড়ে ঘর’-এর সমষ্টি। আর আছে পাথরে বাঁধানো একটা স্টেডিয়ামের মতো জায়গা। বিকেলে হোটেলের ম্যানেজার এসে জানালেন, পর্যটকরা চাইলে সন্ধেবেলায় আদিবাসী নাচের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আমরা তো এক কথায় রাজি। এই পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার আনন্দে সন্ধে নামতেই পৌঁছে গেলাম স্টেডিয়ামে। দেখলাম গোল চাতালটার ঠিক মাঝখানে আগুন জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাক-ঢোল-মাদল নিয়ে তৈরি হচ্ছে বাজিয়ের দল। কিছু পরেই শুরু হল আদিবাসী নাচ। মাতাল করা এক অজানা সুরের সঙ্গে একে অপরের কোমর জড়িয়ে সেই নাচ এক কথায়, অপূর্ব! ঘন্টাখানেক চলা সেই নাচ সম্মোহিত করে দিল সম্পূর্ণ দেহ-মন।
আদিবাসী নাচের অনুষ্ঠান
পর দিন সকালে ট্রেনে চেপে রওনা দিলাম বিশাখাপত্তনম। এখানকার ঋষিকোন্ডা সমুদ্র সৈকতের সুখ্যাতি কলকাতা থেকেই শুনে আসছিলাম। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য সমুদ্র ও পাহাড়ের যুগলবন্দি। সৈকতের গা ঘেঁষে শুরু হয়েছে পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যটন বিভাগের নিজস্ব হোটেল। সৈকতে ঘুরে বেড়ায় অজস্র লাল কাঁকড়া। প্রথমে একটু ভয়ই লাগছিল, কামড়ে দেবে না তো! কিন্তু কামড়ানোর থেকে তারা যেন মানুষের সঙ্গে খেলতেই বেশি আগ্রহী। চারিদিকে প্রচুর কাঁকড়া। ধরতে গেলেই এক ছুট্টে ঢুকে পড়ছে বালির গর্তে। পর দিন বাড়ি ফেরা। শেষ বেলায় কাঁকড়াদের দেখে মন ভরে গেল!

চলে আসার দিন ভোরে দেখলাম প্রকৃতির আর এক রূপ, সৈকত থেকে সূর্যোদয়। পুব আকাশে লাল আবির ছড়িয়ে দিগন্ত থেকে সূর্য যখন উদিত হল, মনে হল সমুদ্র থেকে একটা লাল বল উঠে যাচ্ছে আকাশের দিকে!

দুপুরে বিশাখাপত্তনম থেকে ট্রেন যখন কলকাতার দিকে রওনা হল, তখনও মনটা বেশ ভার। জগদলপুর, আরাকু, বিশাখাপত্তনম মনের বেশিরভাগ জায়গা দখল করে নিয়েছে যে!

পুব আকাশে লাল আবির

ছবি: লেখক ও ইন্টারনেট (*)



রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যা • সংবাদের হাওয়াবদল স্বাদবদল • আপনার রান্নাঘর • পুরনো সংস্করণ