রবিবার সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠানে সমগ্র কলিকাতায় উৎসাহ-উদ্দীপনার ঝড় বহিয়া যায়। এই রাজ্যে তৃতীয় সাধারণ ইহাই নবম ও সমাপ্তি দিবস। এইদিন কলিকাতা ও শহরতলীর ৩০টি সহ এই রাজ্যের মোট ৪৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৩১ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৪৯ জন ভোটদাতার এলাকায় ভোট গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ২৫১টি কেন্দ্রের নির্বাচনপর্বের যবনিকাপাত ঘটে। একটি কেন্দ্রে একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইতিপূর্বেই নির্বাচিত হইয়াছেন।
রবিবার কলিকাতা ও হাওড়ার ভোট গ্রহণ উপলক্ষে কোন কোন এলাকার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। কলিকাতার উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে ভোটদাতা, স্বেচ্ছাসেবক ও জনসাধারণের মধ্যে যে উৎসাহ দেখা যায়, সেই তুলনায় দক্ষিণ কলিকাতা অঞ্চলে উৎসাহ অনেক কম ছিল। গড়ে মোটামুটি ৬০টি ভোট গৃহীত হয় অনুমিত হইতেছে। উত্তর কলিকাতায় কোন কোন ভোটদান কেন্দ্রে সর্বোচ্চ শতকরা ৮০টির উপর ভোট গৃহীত হয়। অপরপক্ষে কোন কোন কেন্দ্রে সর্বনিম্ন শতকরা ৪০।৪৫ টি ভোটও পড়িয়াছে। নারী ভোটদাতার সংখ্যাও এইবার বেশী। নারী ভোট কোন কোন কেন্দ্রে প্রদত্ত মোট ভোট সংখ্যার শতকরা আধাআধিও দাঁড়ায়।
কোন কোন অঞ্চল হইতে ছোটখাট কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যেই ভোটদান পর্ব শেষ হয়। তবে কয়েকটি এলাকায় বিকেলের দিকে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সমর্থকগণের মধ্যে ঝগড়াঝাটির ফলে আবহাওয়া কোথাও কোথাও উত্তেজনায় তপ্ত হইয়া ওঠে।
কলিকাতার যে সব নির্বাচন কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় সে সব এলাকায় উৎসাহ-উদ্দীপনার মাত্রাধিক্য ঘটতেও দেখা যায়। কলিকাতা উত্তর-পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেসপ্রার্থী শ্রীঅশোক সেন ও কম্যুনিস্ট প্রার্থী শ্রীস্নেহাংশু আচার্যের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। চৌরঙ্গী কেন্দ্রেও কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে বিশেষ কর্মব্যস্ততা লক্ষিত হয়। এই কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হইতেছেন কম্যুনিস্ট প্রার্থী শ্রীবিশ্বনাথ মুখার্জি।
ইহা ছাড়া মুচিপাড়া, বহুবাজার, জোড়াবাগান, সুকিয়া, কালীঘাট, রাসবিহারী প্রভৃতি নির্বাচন কেন্দ্রগুলিতেও প্রধানত কংগ্রেস ও ষটবাম প্রতিনিধিদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা জনসাধারণের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ ও কৌতুহলের সৃষ্টি করে। |