|
কলিকাতায় সম্প্রতি দুই দল চীনার ভিতর যে লড়াই হইয়া গেল, তাহার পিছনে কোন “রাজনৈতিক তাৎপর্য” আছে কিনা, তাহা রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তরের তরফ হইতে অনুসন্ধান করা হইতেছে বলিয়া জানা যায়।
ইতিমধ্যে ঐ ঘটনা সম্পর্কে শুক্রবার আরও তিনজন চীনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইহা লইয়া গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াইল ১২ জন।
উক্ত ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় চীনা দূতাবাসের তরফ হইতে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নিকট প্রতিবাদ জানানোর ব্যাপারে এ ধরণের অপরাপর ঘটনার মত পুলিসই যথোচিত ব্যবস্থা অবলম্বন করিবে। আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষার কোন ঘটনার ব্যাপারে চীনা দূতাবাসের “নাক গলাইবার” কোন প্রয়োজন আছে বলিয়া এই মহল মনে করেন না।
প্রকাশ, চীনাদের “অবাঞ্ছনীয় কার্যকলাপ”, সম্পর্কে রাজ্য সরকার সতর্ক দৃষ্টি রাখিয়াছেন। ইদানীং এক শ্রেণীর চীনাদের কার্যকলাপ, বিশেষ সন্দেহের সৃষ্টি করিতেছে। ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরও এই ব্যাপারে তৎপর হইয়া উঠিয়াছেন।
রাজ্য সরকারের কোন কোন মহল ঐ ঘটনার উপর “গুরুত্ব” আরোপ করিতেছেন। ইহা নিছক দুই দল চীনার মধ্যে মারামারি অথবা চীন দেশে পরস্পরবিরোধী যে দুই রাজনীতিক ধারা বিদ্যমান তাহার জের এখানেও ঐ সংঘর্ষের ভিতর দিয়া প্রতিফলিত হইয়াছে, তাহা জানা প্রয়োজন বলিয়া তাঁহারা মনে করেন। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ঐ ধরণের কার্যকলাপ বরদাস্ত করিবেন না বলিয়া জানা যায়।
|
|