কলিকাতা বন্দরের অস্তিত্বের জন্য ফরাক্কা বাঁধ “অত্যাবশ্যক”
(স্টাফ রিপোর্টার)




রাক্কায় গঙ্গা-বাঁধ নির্মাণের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য সর্বপ্রকারের চেষ্টা করা উচিত। কারণ, কলিকাতা বন্দরের অস্তিত্ব ও উন্নতির প্রয়োজনে ফারাক্কা বাঁধ যে অত্যাবশ্যক সে বিষয়ে আর সন্দেহের অবকাশ নাই।
ভারত, সরকারের সেচ ও বিদ্যুৎ বিভাগের চীফ ইঞ্জিনিয়ার শ্রী কে কে ফ্রামজী বুধবার কলিকাতায় ঐ মন্তব্য করেন। তিনি আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন যে, ঐ দিনই চেয়ারম্যান সহ কলিকাতা পোর্ট কমিশনার্স কর্তৃপক্ষের সহিত কলিকাতা বন্দরের সমস্যা সম্পর্কে তাঁহার দীর্ঘ আলোচনা হয়। উহার পর তাঁহার দৃঢ় দারণা হইয়াছে যে, বলারী চড়ার উন্নতি এবং ফলতা সংক্রান্ত কাজের সাফল্যের পর “জলে ডোবা এমন কোন সমস্যাজনক বালির চড়া (বার) অথবা ‘ক্রশিং’ থাকিবে না যাহা গঙ্গাবাঁধের দ্বারা উপকৃত হইবে না।”

শ্রী ফ্রমাজী বলেন, পোর্ট কমিশনার্স কর্তৃপক্ষ তাঁহাকে জানাইয়াছেন যে “লারী চড়ার আর কোন সমস্যা নাই।” নির্দিষ্ট পথে ব্যাপকভাবে পলি অপসারণের, আইসোটোপের সাহায্যে নমুনা পর্যবেক্ষণের এবং অন্যান্য পরীক্ষার সফলতার জন্যই নাকি তাহা সম্ভব হইয়াছে।

ঢাকায় ভারতীয় ও পাকিস্তানী জলসম্পদ বিশেষজ্ঞদের দীর্ঘ চতুর্থ বৈঠকের পর ভারতীয় দলের নেতা শ্রী ফ্রামজী এখন কলিকাতায় আসিয়াছেন।

ইহার পর অদূর ভবিষ্যতে এই উপ-মহাদেশের পূর্বাঞ্চলে নদনদীগুলির জলসম্পদ বন্টন সম্পর্কে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ে এই বৈঠকের সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত বলিয়াই জানা যায়।

শ্রী ফ্রামজী ঐদিন আমাকে বলেন, দুই দেশের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে তথ্য বিনিময় ব্যাপকভাবে হইলেও, উহা সম্পূর্ণ হইয়াছে এমন কথা বলা যায় না। ভবিষ্যতে আরও বৈঠক হইতে পারে এবং পরবর্তীটি ভারতে হওয়ারই সম্ভাবনা।

পাকিস্তানী বিশেষজ্ঞরা ফরাক্কায় গঙ্গা-বাঁধ নির্মাণের স্থানটি দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছেন বলিয়াও তিনি জানান।



Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player



অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.