কলিকাতা শিল্পমেলা জানুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহে উদ্বোধন
(স্টাফ রিপোর্টার)




ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পজাত দ্রব্যাদির সম্ভার লইয়া ১৯৬২ সালের ‘কলিকাতা শিল্পমেলা’-র দ্বার জানুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহে উদ্ঘাটিত হইবে। দক্ষিণ কলিকাতার রবীন্দ্র সরোবরের উত্তরে প্রায় ত্রিশ বিঘা জমিতে ঐ মেলা ফেব্রুয়ারী শেষ পর্যন্ত চলিবে বলিয়া আশা করা যায়।

কার্যকরী কমিটির চেয়ারম্যান শ্রী পি কে রায় মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন যে, ইহা আশ্চর্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্ম শতবার্ষিকী বছর বলিয়া মেলাটি তাঁহার স্মৃতিতেই অনুষ্ঠিত হইবে। কলিকাতার মেয়র শ্রীরাজেন্দ্রনাথ মজুমদারের নেতৃত্বে পি সি রায় শতবার্ষিকী উৎসব কমিটির সহযোগিতায় পাঁচ হাজার বর্গফুট স্থান জুড়িয়া এক স্বতন্ত্র বিরাট মণ্ডপে বিজ্ঞান ও শিল্পের বিভিন্ন দিকের পরিচয় দিবার আয়োজন করা হইবে।

তিনি বলেন যে, উপরাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণকে ঐ মেলার উদ্বোধন করার অনুরোধ জানাইয়া পত্র দেওয়া হইয়াছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ এবং সম্ভবত স্বামী বিবেকানন্দের মহান জীবনের নানা দিক রূপায়িত করার উদ্দেশ্যে ঐস্থানে বিশেষ মণ্ডপ স্থাপন করা হইবে।

তিনি বলেন, ইহা ছাড়া মেয়েদের শিল্প কাজের নিদর্শন লইয়া এক ‘মহিলা শাখা’ ও শিশুদের জন্য ‘চিলড্রেনস কর্ণার’ খোলা হইবে। যন্ত্রপাতি, অফিসের সাজ-সরঞ্জাম এবং নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রের স্টলগুলিতে শুধু প্রদর্শনী ছাড়া বিক্রয়ের ব্যবস্থাও থাকিবে। ইহা ছাড়া থাকিবে যথারীতি আমোদ-প্রমোদের আয়োজন।

শ্রী রায় আরও বলেন যে, গত ১৯৬০ সালে প্রথম কলিকাতা শিল্পমেলার সাফল্য তাঁহাদের আরও ব্যাপক আকারে এই শিল্প মেলার আয়োজনে উৎসাহিত করিয়াছে। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শ্রীভূপতি মজুমদার মেলার সভাপতি হইয়াছেন।

অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শ্রীতারাপদ চক্রবর্তী বলেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কলিকাতা উন্নয়ন ট্রাস্ট এবং বিভিন্ন বণিকসভা মেলাটিকে সফল করিয়া তোলার জন্য সাহায্য করিতেছেন। ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় কয়েকটি বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করিয়াছেন। বিভিন্ন রাজ্যেরও সহযোগিতার সম্ভাবনা আছে।



Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player



অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.