অষ্টগ্রহ সম্মেলনে কারসাজি
(নিজস্ব প্রতিনিধি)




প্রধানমন্ত্রী শ্রীনেহেরু যাই বলুন, অবিশ্বাসীরা যতই না কেন টিটকারি দিক ভয়ঙ্কর সেই শেষের দিনের আর বাকি নেই। গোটা পৃথিবী ধ্বংস করে দিতে সে যে আসে, আসে, আসে।

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে মরণলগ্ন সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিট। তারিখ ৩রা ফেব্রুয়ারী, ১৯৬২ সন। ঠিক ঐ সময়টিতেই নাকি আট আটটা গ্রহ মকর রাশিতে মাথা ঠোকাঠুকি সুরু করবে। এই অষ্টগ্রহ সমাবেশে রাহু বাদে সব মান্যগণ্যরাই আছেন এবং তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক জোটগুলির সমাবেশের চেয়েও এই সম্মিলন নাকি ভয়াবহ। প্রবল প্লাবন, ঝরঝঞ্ঝা, ঘূর্ণবাত্যা, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, মহামারী, রাষ্ট্রবিপ্লব ইত্যাদি প্রকৃতির যত রকম মারণাস্ত্র আছে, সব ছাড়া হবে ঐ বিশেষ ক্ষণটিতে এবং এই ভয়ঙ্কর মহাশ্মশানে অন্যে কথা কবে নয় সবাইকে চিরদিনের মত নিরুত্তর থাকতে হবে।

অষ্টগ্রহের অন্যতম কেতু। বিডন স্কোয়ারে পৃথিবী রক্ষাকল্পে যে যজ্ঞ শুরু
হইয়াছে, তাহাতে গ্রহদের সাজাইয়া রাখা হইয়াছে। ফটো: আনন্দবাজার
তবে মর্তের মানুষেরা হাহাকার জুড়লেও পুরোপুরি নিরুদ্যম হয়ে যাননি। বুনোওলের সঙ্গে মোকাবিলা করতে তাঁরা বাঘা তেঁতুল হাজির করেছেন। অষ্টগ্রহ সমাবেশের কারসাজি বানচাল করতে এদিকেওদিকে অনেক উদ্যোগ আয়োজনও চলছে।

ইদানীং জ্যোতিষীদের ডাক বেশী করে পড়ছে, তাবিচ মাদুলিওয়ালাদের ব্যবসা বাড়ছে এবং সকাল সন্ধ্যে ভগবানের কাছে প্রার্থনা চলছে।

এই আসন্ন বিপর্যয় থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে ভারতের অনেক জায়গায় যাগযজ্ঞও শুরু হয়ে গেছে। গত ৮ই জানুয়ারী থেকে খাস কলকাতার বুকে বিডন স্কোয়ারে এক মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। সাধারণের মার নেই, তাই আগে ভাগে তাঁরা “বাঁচাও বাঁচাও” রব তুলেছেন এবং যজ্ঞস্থলে গ্রহদের থরে থরে সাজিয়ে রেখে মনে করিয়ে দিচ্ছেনআর বাকি নেই।

যাঁরা যাগযজ্ঞে সক্রিয় অংশ নিচ্ছেন, তাঁরা না হয় পার পেয়ে গেলেন, তাঁদের পুণ্যে আমরা অন্যরা পার পাবতো? আমাদের সকলের মনেও কিন্তু ঐ এক কথা“মরিতে চাহি না আমি”


Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player



অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.