পৌরসভার বাতিস্তম্ভ কেলেঙ্কারী ধামা চাপা পড়িবার সম্ভাবনা
(স্টাফ রিপোর্টার)




লিকাতা পৌরসভার বাতিস্তম্ভ কেলেঙ্কারীর বিষয়টি কি পাকাপাকিভাবে ধামাচাপা পড়িল? এ প্রশ্ন শুধু কর্পোরেশনের ‘চার-দেওয়ালের’ মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,কলিকাতা পুলিস মহলেও ঐ একই প্রশ্ন দেখা দিয়াছে।
প্রকাশ, কলিকাতার গোয়েন্দা পুলিস জানিতে পারিয়াছে যে, গত ১৯৫৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ১২,০০০ হাজার বাতিস্তম্ভ বিদেশ হইতে আমদানী করিবার জন্য কলিকাতা কর্পোরেশনের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে লাইটিং সুপারিন্টেন্ডেন্টের নামে প্রয়োজনীয় আমদানী লাইসেন্স অনুমোদন করেন।

বিষয়টি তদন্তকালে পুলিস নাকি আরও জানিতে পারিয়াছে যে, মোট ১২,০০০ বাতিস্তম্ভের মধ্যে ৪০০০ বাতিস্তম্ভ বাইরের কোন শক্তির নিকট বিক্রয় করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানী (যে কোম্পানীর মাধ্যমে এই বাতিস্তম্ভগুলি আমদানী করা হইয়াছিল।) কর্পোরেশনের নিকট ৫,০০০ বাতিস্তম্ভ বিক্রয় করে। কেন এই বাতিস্তম্ভগুলি অন্য একটি কোম্পানীর মাধ্যমে কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ আমদানী করিবার ব্যবস্থা করিলেন, সে সম্পর্কে কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ যথাযথ কোন উত্তর পুলিসকে দিতে পারেন নাই। কারণ, কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ সরাসরিই ঐ বাতিস্তম্ভগুলি নিজেদের দায়িত্বে আমদানী করিতে পারিতেন। কিন্তু তাহা না করিয়া অপর একটি কোম্পানীর মাধ্যমে উহা আমদানী করায় পুলিস মহলে যথেষ্ট সন্দেহের সৃষ্টি হইয়াছে।

ইহার পর আরও অনেক অধ্যায় শেষ হইয়াছে। যাহা হউক, গত ১৯৬০ সালে কর্পোরেশন এই বিষয়টি কলিকাতা গোয়েন্দা পুলিসের হস্তে অর্পণ করেন। ঐ সময় প্রায় তিন হাজার বাতিস্তম্ভের মালিক খুঁজিয়া পাওয়া যাইতেছিল না। কোন অজ্ঞাতকারণে কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ঐ বাতিস্তম্ভগুলির মালিকানা স্বীকার করেন নাই। ফলে, পুলিসের পক্ষে তদন্ত কার্যে অগ্রসর হওয়া আর সম্ভবপর হয় নাই।



Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player



অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.