|
|
ইডেন হাসপাতালে ভর্তি নিয়ন্ত্রণ
(স্টাফ রিপোর্টার) |
|
|
|
এদেশে ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগের প্রাচীনতম চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কলিকাতার ইডেন হাসপাতালের সদর দরজার দুইপাশে নোটিশ ঝুলিয়াছে“বিছানা খালি নাইভর্তি বন্ধ।”
এই নোটিশ নাকি গত কিছুদিন ধরিয়াই ঝুলিতেছে। ইডেন হাসপাতালে কি ভর্তি বন্ধ?
শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থলে খোঁজ লইয়া জানা গেলআসন্ন প্রসবের জরুরী অপারেশনের অথবা সঙ্কটজনক অবস্থার রোগিনী না হইলে ঐ হাসপাতালে সাধারণভাবে রোগিনী ভর্তি আপাতত বন্ধ।
গত বেশ কিছুকাল ধরিয়া এই অবস্থা চলিতেছে। কারণ? একান্ত স্থানাভাব।
সন্ধ্যায় ঐ হাসপাতালের কোন মুখপাত্র অবশ্য বলেন যে, “ভর্তি বন্ধ” এই নোটিশের অর্থ একেবারে বন্ধ নয়। নিয়ন্ত্রণ মাত্র। স্থানাভাবে বাধ্য হইয়া ঐ ব্যবস্থা লইতে হইয়াছে। তিনি ইহাও বলেন যে, “আসন্ন প্রসবের কোন কেস আমরা কখনই প্রত্যাখ্যান করি নাসঙ্কটজনক কোন ‘কেস’ও না।” |
|
ইডেন হাসপাতালের সদর দরজায় শুক্রবার বিকালে এই রকম
এক নোটিশ ঝুলিতে দেখা যায়। ফটো: আনন্দবাজার |
তিনি বলেন, এখনও প্রত্যহ প্রায় ৪০টি করিয়া প্রসব ইডেন হাসপাতালে হয়।
জানা গিয়াছে যে, ইডেন হাসপাতালে নির্দিষ্ট শয্যার সংখ্যা ২১৭টির মত। কিন্তু প্রয়োজনের খাতিরে নানা ব্যবস্থা করিয়া প্রায় ৪০০ রোগিণীকে রাখার ব্যবস্থা হইয়াছে। উহার অর্ধেকের বেশি শয্যা প্রসব রোগিণীদের জন্য। ওরই মধ্যে আছে ২৬টি ‘পেয়িং বেড’ এবং ১১টি ‘কেবিন’।
জানা যায়, শুক্রবারও কোন কোন ‘কেবিন’ খালি ছিল। কিন্তু অন্যদিকে প্রসবের দেরী আছে এমন রোগিনীকে স্থানাভাবের জন্য আমার সামনেই ফিরিয়া যাইতে দেখিলাম। আবার গুরুতর অবস্থার এক রোগিণীকে তখনই ভর্তি করা হইল।
আরও জানা যায়, ঐ হাসপাতালে ১৯৩৫ সালে প্রায় ২,৭০০, ১৯৪৬ সালে ৪,৯০০, ১৯৫০ সালে ৭,০০০ হাজারের মত প্রসব রোগিণী আসে। সেই সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাইয়া দাঁড়ায় ১৯৬০ সালে ১৩,৫৯১ জন এবং ১৪,৬৮১ জনে।
অথচ গৃহ বাড়ে নাই, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সীমানায় সংযোজনের সুযোগও নাই। তবে সমাধান কি? ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগ চিকিৎসার বিকেন্দ্রীকরণ? |
ফিরে দেখা... |
|