|
পশ্চিমবঙ্গে সিমেন্টের অভাবে শুধু যে বড় বড় নির্মাণ পরিকল্পনাই ব্যাহত হইতেছে তাহা নহে, সাধারণ গৃহস্থও নিদারুণ মার খাইতেছেন।
কলিকাতা তথা সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে সিমেন্টের অভাব বরাবরই ছিল। এতদিন এই দুষ্প্রাপ্যতার খেসারত উত্তরবঙ্গকেই বেশি দিতে হইত। কিন্তু এখন সারা রাজ্যেই সিমেন্টের অভাব প্রকট হইয়া পড়িয়াছে। আর এই অভাব সাধারণ গৃহস্থগণকে অতি বেশি মাত্রায় ভোগ করিতে হইতেছে। তাহারা বাড়ী মেরামত ও অন্যান্য টুকিটাকি কাজের জন্য অনেক ক্ষেত্রে এক ছটাক সিমেন্টও পাইতেছেন না বলিয়া বিভিন্ন মহল হইতে অভিযোগ পাওয়া যাইতেছে।
বিপন্ন গৃহস্থ সাধারণ সিমেন্টের ব্যাপারে সরকারী নিয়ন্ত্রণ নীতিকেই এই অবস্থার জন্য দায়ী করিতেছেন। সামান্য এক-আধসের সিমেন্টের জন্যও সকলকেই এখন বিশেষ অনুমতির জন্য সরকারের দ্বারে ধর্ণা দিতে হইতেছে। অথচ নিয়ন্ত্রণের দরে সিমেন্ট পাইতে হইলে সিভিল সাপ্লাই অফিসে নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদনপত্র পাঠানো হইতে শুরু করিয়া সিমেন্টের ব্যাগ কিনিয়া বাড়ীতে পৌঁছানো পর্যন্ত যেরুপ মাথার ঘাম পায়ে ফেলিবার ঝামেলা পোহাইতে হয় তাহা অবর্ণনীয়। ইহার উপর আছে লাল-ফিতার দাপট এবং অগ্রাধিকার তালিকার সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর সুযোগ আসার জন্য দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা। এসব মিলাইয়া বর্তমানে অবস্থা এমন দাঁড়াইয়াছে যে, নাগরিক সাধারণের ছোটখাট মেরামতী কানে অসম্পূর্ণ থাকিয়া যাইতেছে, ফলে ছোট ক্ষতি ক্রমশ বড় হইতেছে, সিমেন্টের চাহিদাও সেক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধি পাইতেছে। কিন্তু সে চাহিদা মিটাইবার সরকারী ব্যবস্থা ‘প্রহসনের’ নামান্তর বলিয়াই অনেকে মনে করিতেছেন। |
|