|
|
রবীন্দ্র শতবার্ষিকী উৎসবের দ্বিতীয় পর্যায় আরম্ভ
(স্টাফ রিপোর্টার)
|
|
|
|
শনিবার সন্ধ্যায় জোড়াসাঁকোর রবীন্দ্রস্মৃতিসদনে ‘দেশে-বিদেশে রবীন্দ্রনাথ’ নামে এক প্রদর্শনীর উদ্বোধনের দ্বারা কলিকাতার রবীন্দ্রশতবার্ষিকী উৎসবের দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা হয়। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করিতে উঠিয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় বলেন যে, রবীন্দ্রনাথের বিবিধ রচনায় শুধু এদেশেরই নয়, সারা বিশ্বের সকল সমস্যারই উত্তর যেন খুঁজিয়া পাওয়া যায়। এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়া রবীন্দ্রনাথের সেই বিশ্বমানব রূপটি দেখানোর চেষ্টা করা হইয়াছে।
তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ শুধু এই জোড়াসাঁকোর বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন নাই, তাঁহার জীবনের মানসিক বিকাশও এখানেই পূর্ণতা লাভ করিয়াছিল। সেইজন্যই এই স্থানটি রবীন্দ্র-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত স্থান। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাস্তবিকপক্ষে ভারতের নাগরিক নহেন, তিনি বিশ্বের নাগরিক।
ডাঃ রায় আশা করেন যে, এখানে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য, চিত্র এবং অন্যান্য সৃষ্টি সম্পর্কে যে গবেষণার কার্য শুরু হইতে চলিয়াছে, তাহা ক্রমে বিশ্বের অন্যান্য স্থানে ছড়াইয়া পড়িবে।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেশাল অফিসার শ্রীকুলপ্রসাদ সেন বলেন যে, রবীন্দ্র শতবার্ষিকী উৎসবের দ্বিতীয় পর্যায়ে এই প্রদর্শনী ছাড়া গগনেন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ প্রভৃতি শিল্পাচার্যদের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হইয়াছে।
এই প্রদর্শনী ২৪শে নভেম্বর পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে। প্রত্যহ বিকাল তিনটা হইতে রাত্রি আটটা পর্যন্ত প্রদর্শনীকক্ষ খোলা থাকিবে, (রবিবার বা অন্য কোন ছুটির দিনে বেলা একটা হইতে রাত্রি আটটা পর্যন্ত)। ঐ প্রদর্শনীতে রবীন্দ্রনাথের বংশানুক্রম হইতে শুরু করিয়া তাঁহার জীবনের বিভিন্ন সময়ের ছবিগুলি স্থান পাইয়াছে। রবীন্দ্রনাথের প্রকাশিত কবিতাবলীর মধ্যে প্রথমটির একটি ফটোটাস্ট কপিও প্রদর্শনীতে আছে। ইহা ছাড়া, রবীন্দ্রনাথ যে সব বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসিয়াছিলেন তাঁহাদের ছবিও প্রদর্শনীতে রাখা হইয়াছে। গীতাঞ্জলির ইংরাজী অনুবাদের পাণ্ডুলিপিও প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষনীয় বিষয়বস্তু হইবে বলিয়া আশা করা যায়।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষাসচিব শ্রীধীরেন্দ্রমোহন সেন সমাগত সুধীমণ্ডলীকে স্বাগত জানান।
|
|
|