|
|
উৎপাদকগণ কর্তৃক বিভিন্ন রাজ্যে সরাসরি লবণ সরবরাহ,
কলিকাতার ব্যবসায়িগণের মধ্যে নৈরাশ্য
(স্টাফ রিপোর্টার)
|
|
|
|
লবণ উৎপাদকগণ পশ্চিম ও দক্ষিণ রেলপথের মাধ্যমে আসাম, উড়িষ্যা এবং বিহারে সরাসরি অবাধে লবণ প্রেরণ করিবার ফলে কলিকাতার লবণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে নৈরাশ্যের সৃষ্টি হইয়াছে বলিয়া জানা যায়।
মালবাহী ওয়াগনের অভাবে বর্তমানে কলিকাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ গুদামজাত অবস্থায় আছে। কিন্তু পশ্চিম উপকূলের লবণ উৎপাদকগণ মালবাহী ওয়াগনের সাহায্যে উল্লিখিত অঞ্চলে লবণ ব্যবসায়ীদের নিকট লবণ প্রেরণ করিতেছেন। যদিও ঐ সকল অঞ্চলে কলিকাতার লবণ ব্যবসায়ীগণই বরাবর লবণ সরবরাহ করিয়া আসিতেছেন।
কলিকাতার লবণ ব্যবসায়ীগণ ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৭ লক্ষ মণ লবণ প্রতিমাসে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে প্রেরণ করিয়া থাকেন। কিন্তু লবণ উৎপাদকগণ সরাসরি আসাম, বিহার, উড়িষ্যা প্রভৃতি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগলিতে লবণ ব্যবসায়ীদের নিকট লবণ প্রেরণ করায় কলিকাতার লবণ ব্যবসায়ীগণ প্রতি মাসে মাত্র ১০ লক্ষ মণ লবণ অন্যত্র প্রেরণ করিতে পারিতেছেন না।
আসামের অবস্থাই সর্বাপেক্ষা খারাপ। আসামের প্রয়োজনীয় লবণের শতকরা ৭০ ভাগ সরাসরি লবণ উৎপাদকগণের নিকট হইতে আসিতেছে। কিন্তু ঐ লবণ কলিকাতার লবণ ব্যবসায়ীগণের মাধ্যমে আসামে সরবরাহ হওয়ার কথা।
শনিবার কলিকাতার লবণ ব্যবসায়ীদের পক্ষে জনৈক মুখপাত্র বলেন যে, ওয়াগনের অভাবে আসামে লবণ সরবরাহ করা সম্ভবপর হইতেছে না। তিনি রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করিয়া বলেন যে, যে সময় ওয়াগনের অভাব ঠিক সেই সময়েই পশ্চিম ও দক্ষিণ রেলপথের মাধ্যমে লবণ ব্যবসায়ীগণ অবাধে সরাসরি আসামে লবণ প্রেরণ করিতেছেন।
লবণ প্রেরণের ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষের এই দ্বিমুখী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাইয়া ভারত চেম্বার অফ কমার্স রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট এক চিঠি প্রেরণ করিয়াছেন। |
|
|
|
|
|
|
|
|