|
|
কলিকাতা উন্নয়ন কর্মসূচী, প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা
(স্টাফ রিপোর্টার) |
|
|
|
বৃহত্তর কলিকাতার উন্নয়নকল্পে গঠিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কলিকাতা মেট্রোপলিটন পরিকল্পনা সংস্থার তরফ হইতে এক্ষণে এই ব্যাপারে উচ্চ অগ্রাধিকার সমন্বিত কতকগুলি বিষয়ে স্বল্পকালীন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হইয়াছে বলিয়া জানা যায়। বৃহত্তর পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে উচ্চ অগ্রাধিকার সম্পন্ন কতগুলি কার্য যাহাতে দ্রুত হাতে লওয়া যায় তদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচী ও প্রকল্পসমূহ প্রস্তুতের উদ্দেশ্যেই এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান হইতেছে।
ঐ বৃহত্তর পরিকল্পনা দীর্ঘ মেয়াদী এবং অত্যন্ত ব্যাপক। ইহা অত্যন্ত জটিল এবং সময় সাপেক্ষও বটে। এই পরিকল্পনার কর্মক্ষেত্র প্রথম প্রস্তাবিত এলাকা অপেক্ষা আরও ব্যাপক হইবে বলিয়া মনে হয়। তাই এই ধরণের ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুত করিতে তিন বৎসরের অধিককাল লাগিবে বলিয়া সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন। কিন্তু তাঁহারা এইরূপও মনে করেন যে, কলিকাতার অনেক সমস্যা এত জটিল ও গভীর, যে ঐ গুলির সুষ্ঠু সমাধানে কাজ করিতে বিলম্ব ঘটিলে বৃহত্তর পরিকল্পনার সুষ্ঠু রূপায়ণে আরও বিঘ্ন দেখা দিবে। সেই কারণেই এই অল্পমেয়াদী অগ্রাধিকারযুক্ত প্রকল্পগুলি অনতি বিলম্বে হাতে লওয়ার প্রস্তাব করা হইয়াছে। গঙ্গার উপর কলিকাতা ও হাওড়া সংযোগকারী দ্বিতীয় একটি পুল নির্মাণ, জরুরী জল সরবরাহ ব্যবস্থা, পয়ঃপ্রণালী ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং অনুকল্প কর্মকেন্দ্রসমূহ গড়িয়া তুলিবার উপরই উচ্চ অগ্রাধিকার আরোপ করা হইতেছে।
ঐ বৃহত্তর কলিকাতা এলাকার ১৯৮৬ সালের ভিতর যে জনসংখ্যা হওয়া সম্ভব উহার আর্থিক, সামাজিক এবং অপরাপর প্রয়োজন মিটাইবার উদ্দেশ্যে ঐ সংস্থা একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবেন।
উক্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়োগযোগ্য মূলধনের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও যাহাতে ঐ ক্ষেত্র হইতে সর্বোচ্চ ফল আহরণ করা যায় তজ্জন্য ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের ধাঁচের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করা হইতেছে। শৈল্পিক অন্তঃকাঠামোর মৌল উপকরণের ক্ষেত্রে ব্যয় করিলে অধিকতর সুফল পাওয়া যাইবে বলিয়া অনুমান করা হইতেছে। ইহার অর্থ হইতেছে, রেল ও সড়ক পরিবহন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন, জল সরবরাহের ব্যবস্থা প্রভৃতি কাজ আগে হইতে লইতে হইবে। সামাজিক সুযোগ-সুবিধা প্রভৃতির ব্যবস্থা পরেও হইতে পারিবে।
|
|
|