বিশেষ প্যাকেজ ও বিকল্প জমি দেওয়া না হলে চার লেনের রাস্তা তৈরির জন্য জমি ছাড়বেন না বলে ফের জানিয়ে দিলেন ধূপগুড়ির বারোঘড়িয়া গ্রামের কৃষকরা। জমি সমস্যা মেটাতে সোমবার বিকালে ধূপগুড়ি বিডিও অফিসে জেলা প্রশাসনের কর্তা ও ৩১ডি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে কৃষকদের নিয়ে বৈঠক হয়। টানা দু’ঘণ্টা বৈঠক চলাকালীন প্রশাসনিক তরফে কৃষকদের বোঝানো হলেও তাতে কোনও ফল মেলেনি। কৃষকরা বিকল্প জমি-সহ বিশেষ প্যাকেজের দাবি করায় কার্যত ভেস্তে যায় ওই বৈঠক। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পৃথা সরকার বলেন, “৭০ হেক্টর জমি না পাওয়ায় রাস্তার কাজ আটকে রয়েছে। তাদের জন্য বিশেষ প্যাকেজের কোনও ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হয়নি। তবে ফের বিষয়টি দেখা হবে।”
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি শহরের উপর দিয়ে চার লেনের রাস্তা তৈরি করা হলে হাসপাতাল-সহ কয়েকটি স্কুল কলেজ ভাঙা পড়বে। উচ্ছেদ হবে কয়েকশো দোকান। সে কারণে শহরকে বাঁচিয়ে ঘুরপথে বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেতর দিয়ে চার লেনের রাস্তা তৈরির বিষয়ে তারা উদ্যোগী হন ৩১ডি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। পাঁচ বছর আগে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে রাতারাতি ওই গ্রামে তৈরি হয় কৃষিজমি ও বাস্তু ,জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটি। গ্রামের কৃষি জমি তারা দেবেন না বলে আন্দোলন শুরু করেন ৩৫০টি পরিবার। তাতে রাস্তা তৈরির কাজ আটকে যায়য় আগে চার দফা বৈঠক করা হলেও তাতে কোনও ফল মেলেনি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক কর্তা জানান, জমি না মিললে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হবে না তা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এলাকার সিপিএম নেতা তথা গ্রামের ওই কৃষি জমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক আবু তাহের বলেন, “বহু মানুষ সামান্য জমির উপর বাড়ি তৈরি করে রয়েছেন। জমি গেলে তারা কোথায় যাবেন? ধূপগুড়িতে পূর্ত দফতরের জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে না কেন তা বুঝতে পারছি না। বিশেষ প্যাকেজ ও বিকল্প জমির কথা বললে আমরা আলোচনা এগোতে পারে।” তবে ধূপগুড়ি ছাড়াও ফালাকাটায় এ ধরণের ৬০ হেক্টর জমি দিতে নারাজ কৃষকরা বেঁকে বসেছেন। ফলে, কবে জমি সমস্যা মিটে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হবে তা এখন এক প্রকার অনিশ্চিত। |