সব কিছু ঠিক থাকলে, লোকসভা নির্বাচনের আগে পুরসভার স্বীকৃতি পেতে চলেছে। নবান্ন থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে ময়নাগুড়িকে পুরসভা ঘোষণা করতে যে নথি জরুরি তা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, আগামী বিধানসভা অধিবেশনে বাসিন্দাদের সুখবর অপেক্ষা করছে। বিডিও সংহিতা তলাপাত্র এই দিন বলেন, “জেলা প্রশাসন থেকে বেশ কিছু তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। শনিবার আমরা ফাইল পাঠিয়েছি।”
আড়াই দশক থেকে ময়নাগুড়িকে পুরসভায় উন্নীত করার দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের উদ্যোগে আন্দোলন চললেও প্রশাসনিক স্তরে পুরসভা গঠনের জন্য প্রাথমিক স্তরে প্রস্তুতি শুরু হয় ২০১০ সালে। ২২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘প্রসিডিওর ফর ফরমেশন অব মিউনিসিপালটি’ শীর্ষক চিঠি দিয়ে ব্লক প্রশাসনে ময়নাগুড়িকে পুরসভায় উন্নীত করার জন্য প্রস্তাব চাওয়া হয়। ২০১১র ১৮ জানুয়ারি ব্লক প্রশাসন এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য প্রস্তাব আকারে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নগর উন্নয়ন দফতরে পাঠায়। গত শনিবার প্রস্তাব জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নগর উন্নয়ন দফতরে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে যে বিধানসভা বসছে সেখানে প্রস্তাবটি পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর থেকে রাখা হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ’৯৩ সালের পুর আইন অনুযায়ী কোনও জনপদকে পঞ্চায়েত থেকে পুরসভায় উন্নীত হতে হলে জনসংখ্যা ৩০০০০ হতে হবে। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনঘনত্ব হবে ৭৫০ জন। যেখানে অর্ধেকের বেশি বাসিন্দার পেশা কৃষি কাজের বাইরে হওয়া জরুরি। জেলার ভূমি ও রাজস্ব দফতরের সাহায্য সমীক্ষা চালিয়ে প্রস্তাবিত পুর এলাকার মানচিত্র তৈরি করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের কাছে ৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পুরসভা গঠন করার প্রস্তাব পাঠানো হয়। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত এলাকায় ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার। এলাকার ৮০ শতাংশ বাসিন্দা অ-কৃষিজীবী। |