কয়েক দিন আগে হুঙ্কার দিয়েছিলেন কোচ। এ বার নিউজিল্যান্ড অধিনায়কও একই কথা বলে রাখলেন। গতিশীল, বাউন্সি পিচে ভারতকে নামাও আর হারাও।
ওয়ান ডে-র মতো টেস্টেও গতি আর বাউন্সে ভারতকে হারানোর ছক যিনি করছেন, তিনি অবশ্য কোচ মাইক হেসন নন। বোলিং কোচ বন্ড, শেন বন্ড। অতীতে বল হাতে ভারতকে মাঝে মাঝেই ঝামেলায় ফেলে দিয়েছিলেন এই ফাস্ট বোলার। এ বার বাইশ গজে বন্ড না থাকলে কী হবে, তাঁর বাউন্সার ঠিকই সামলাতে হচ্ছে ভারতকে।
টেস্ট সিরিজের জন্য অকল্যান্ড আর ওয়েলিংটনে ফাস্ট, বাউন্সি উইকেট চেয়ে রেখেছেন বন্ড। এবং দলের ফাস্ট বোলারদের তিনি বলে রেখেছেন, মাঠে নেমে আগ্রাসী মেজাজটা ধরে রাখো। বল হাতে খুনে মেজাজ দেখাও।
বোলিং কোচের মেজাজটাই ফুটে উঠেছে অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাকালামের কথায়। |
শেন বন্ড। এখন সাউদিদের দেখভালের দায়িত্বে। |
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম টেস্ট ইডেন পার্কে। যেখানের উইকেট ফাস্ট হবে, বাউন্স থাকবে। শোনা যাচ্ছে, নিউজিল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদা মতো পিচে ঘাসও রাখা হবে। ম্যাকালাম বলেছেন, “শেন বন্ড চাইছে, আমাদের ফাস্ট বোলাররা যেন সব সময় আগ্রাসনটা ধরে রাখে। ফাস্ট বোলারদের উপযোগী পিচও চাওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের হাতে সে রকম বোলারও আছে। এই ট্যাকটিক্সটা আমরা অবশ্যই কাজে লাগাব।”
ম্যাকালামের ইচ্ছে, যে ধরনের পিচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো হয়েছে, সে রকম পিচ যেন তাঁদের এ বার দেওয়া হয়। সেই সিরিজে ট্রেন্ট বোল্ট এবং টিম সাউদি মিলে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং শেষ করে দেন। দু’জনেই এ বার ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ দলে আছেন। ম্যাকালাম বলছিলেন, “ঘরের মাঠে আমরা নিশ্চয়ই টার্নিং পিচ চাইব না। সেটা তো ভারতের হাতে ম্যাচ তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু আমরা যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের মতো উইকেট পাই, তা হলেই হবে। আমার টিমের ছেলেরা অবশ্য একটা ব্যাপার নিয়ে বেশ চিন্তায় আছে। ওরা ধরেই নিয়েছে আমি টস হারব আর আমাদের প্রথমে ব্যাট করতে হবে।” |