|
|
|
|
বুদ্ধের পাল্টা, ১৭ই মেদিনীপুরে মুকুল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রবিবার মেদিনীপুরে সমাবেশ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এ বার সদর শহরে সমাবেশ করতে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ মুকুল রায়। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এই সমাবেশ হবে। সোমবার জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে সিপিএমের পাল্টা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ওই মহলের মতে, রবিবার মেদিনীপুরের সমাবেশ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ১৭ ফেব্রুয়ারির সভায় তারই জবাব দেবেন তৃণমূলের ওই শীর্ষ নেতা। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “সোমবার দলের বর্ধিত সভা ছিল। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুরে সমাবেশ হবে। মুকুল রায় সহ রাজ্য নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন।”
সদর শহরের সমাবেশ থেকে নেতাইয়ের ঘটনা নিয়ে ভুল স্বীকার করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নেতাইয়ে আমাদের ছেলেরা ভুল করেছিল। অন্যায় করেছিল।” বুদ্ধবাবুর এই মন্তব্যের পর রাজ্যে জোর চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তি ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা মাত্র। নেতাই, নন্দীগ্রাম কাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সোমবার মেদিনীপুরে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। নেতৃত্ব দেন দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়। দুপুরে শহরের বিদ্যাসাগর হলে দলের বর্ধিত সভা হয়। রবিবার মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে সিপিএমের সমাবেশ হয়েছে। তৃণমূলের সমাবেশও কলেজ মাঠে হবে বলে বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আসবেন বলেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। বস্তুত, এ দিনের সভায় ব্লক নেতৃত্বকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশও দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। সবমিলিয়ে ১৪ দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতেই এই পদক্ষেপ। জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে ২৯টি ব্লক এবং ৮টি পুরসভা এলাকায় দলের বুথ, অঞ্চল ও ব্লক সম্মেলন করতে হবে। প্রতিটি সম্মেলনের আগে গ্রামে প্রতিটি পাড়ায় ব্যাপক ভাবে প্রচার, দেওয়াল লিখন করতে হবে। সঙ্গে ছোট ছোট পাড়া বৈঠক করতে হবে। অঞ্চল সম্মেলনের সময় প্রকাশ্য জনসভা করতে হবে। এখন থেকে বুথ, অঞ্চল, ব্লক স্তরে দলীয় কার্যালয় নিয়মিত ভাবে খুলে বসতে হবে। এলাকার প্রতিদিনের সাংগঠনিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জেলা সভাপতি আরও জানিয়েছেন, জনসংযোগ ব্যাপক ভাবে বাড়াতে হবে। বাড়ি- বাড়ি, রাস্তায়- রাস্তায় মানুষের কাছে যেতে হবে। শান্ত, নম্র, ভদ্র ব্যবহার করতে হবে। পঞ্চায়েতে স্বচ্ছতা, সততা রেখে কাজ করতে হবে। সমস্ত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়মিত দলের কার্যালয় যেতে হবে। কর্মী ও মানুষের কথা শুনে কাজ করতে হবে। স্থানীয় নেতৃত্বকে বক্তব্য রাখা অভ্যাস করতে হবে। বর্ধিত সভায় জেলা সভাপতি বলেন, “আমাদের কর্তব্য শৃঙ্খলাপরায়ন, দায়িত্বশীল, স্বচ্ছ, সৎ মানসিকতা নিয়ে সর্বত্র শান্তি বজায় রেখে উন্নয়ন ও সংগঠনকে মজবুত করে তোলা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ, শান্তি, উন্নয়ন- বার্তাকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।” জেলা নেতৃত্বের এই নির্দেশ ব্লক নেতৃত্ব মেনে চলেন কি না, সেটাই দেখার। |
|
|
|
|
|