গ্রীষ্মে জল-সঙ্কট কাটাতে ৫টি নয়া প্রকল্প
শ্চিম মেদিনীপুরে নতুন ৫টি নলবাহী জল প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে। প্রকল্পগুলো হবে দাসপুর ১ ও ২, সবং এবং গড়বেতা-২ ব্লকে।
জেলা থেকে মোট ৮২টি জল প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল রাজ্যে। প্রথম পর্যায়ে ৫টি প্রকল্পের অনুমোদন মিলেছে। আরও ২১টির অনুমোদন শীঘ্রই মিলতে পারে। ৫টি প্রকল্প চালু হলে ৭১ হাজার ৯৩৫ জন মানুষ উপকৃত হবেন। প্রকল্প রূপায়ণে খরচ হবে ১৭ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলা মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “নতুন ৫টি নলবাহী জল প্রকল্পের কাজ শুরুর অনুমোদন মিলেছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরে গড়ে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১৫৪২ মিলিমিটার। জেলার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে কংসাবতী, সুবর্ণরেখা নদী। তা-ও বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় তীব্র জলসঙ্কট রয়েছে। এই সব এলাকার জলস্তর ক্রমে নীচে নামছে। বিশেষ করে কিছুটা উঁচু এলাকায়। গ্রীষ্মে জলের সমস্যা চরম আকার নেয়। বহু মানুষ দূরের গ্রাম থেকে জল আনতে বাধ্য হন।
যে পাঁচ প্রকল্পে অনুমোদন
ব্লক এলাকা উপকৃত হবেন খরচ
• দাসপুর ১
• দাসপুর ২
• দাসপুর ২
• সবং
• গড়বেতা ২
রাণাপুর
খঞ্জাপুর
জ্যোৎঘনশ্যাম
কোলন্দা
রসকুণ্ডু
১৪ হাজার ৮৫৮
১৪ হাজার ৯৭১
২২ হাজার ৭৬৩
১২ হাজার ৩৪১
৭ হাজার ২
৩ কোটি ৭৭ লক্ষ
৩ কোটি ৮৮ লক্ষ
৪ কোটি ৪৯ লক্ষ
৩ কোটি ১১ লক্ষ
২ কোটি ৪০ লক্ষ
আগে সজলধারা প্রকল্পে গ্রামে গ্রামে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হত। এখন ওই প্রকল্প আর নেই। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আরও বেশি সংখ্যক জলাধার বানিয়ে নলবাহী পানীয় জল প্রকল্প রূপায়ণে জোর দিচ্ছে প্রশাসন। প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে জলাধার তৈরি করা হবে। পাম্প চালিয়ে জলাধারে জল তোলা হবে। পরে তা পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে সরবরাহ করা হবে। সব থেকে বড় প্রকল্পটি হবে নয়াগ্রামের খড়িকামাথানিতে। এখানে সুবর্ণরেখা সংলগ্ন ১০৪টি মৌজায় পরিস্রুত জল সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যে ৫টি জলপ্রকল্প প্রথম দফায় অনুমোদন পেয়েছে, তার মধ্যে খড়িকামাথানি নেই। বুধবার এই এলাকায় গিয়েছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের প্রতিনিধি দল। ছিলেন দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ সেন-সহ পরিকল্পনা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তারা। নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত ও পঞ্চায়েত সমিতির অন্য কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা এলাকা ঘুরে দেখেন।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “ছ’বছর আগেও একবার এই এলাকায় বড় জল প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে, তখন জলের উৎস মেলেনি। অর্থাৎ, প্রকল্প হলেও বেশি দিন তা সচল থাকত না। তাই আর এগোনো হয়নি।” ওই আধিকারিকের কথায়, “এ বারও শুরুতে জলের উৎস দেখা হচ্ছে। পাশে সুবর্ণরেখা রয়েছে। নদী থেকে কী ভাবে জল আনা যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ১০৪টি মৌজায় পরিস্রুত জল সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। মৌজার সংখ্যা আরও ১০০টি বাড়তে পারে। তখন দু’টি প্রকল্প করতে হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরে যে সংখ্যক নলকূপ রয়েছে, তার একাংশ অচল। জেলায় অন্তত ৩১২৬৭টি নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে সচল ২২২১৩টি। অচল ৯০৫৪টি। এর মধ্যে আবার জলস্তর নেমে যাওয়ার ফলে জল ওঠে না অন্তত ১৬০৮টি নলকূপে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকায় নতুন নলকূপ তৈরির উপর জোর দিচ্ছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে নতুন নলবাহী জল প্রকল্পের রূপায়ণেও জোর দেওয়া হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ সেন বলেন, “৫টি নলবাহী জল প্রকল্পের কাজ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো চালু হলে আশপাশের এলাকার প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.