|
|
|
|
সোমনাথের বিরোধিতা করায় নেত্রীর হেনস্থা আপে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৩ ফেব্রুয়ারি |
আপ-এর প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই তিনি সামিল ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের আন্দোলনে। কিন্তু দলের বিতর্কিত আইনমন্ত্রী সোমনাথ ভারতীর কাজকর্মের প্রতিবাদ করে মহিলাদের হয়ে মুখ খোলার অপরাধেই কার্যত দলের কর্মীদের কাছে হেনস্থা হতে হয়েছে তাঁকে। হতাশ হয়ে কাল আপ ছেড়েছেন মধু ভাদুড়ি।
|
মধু ভাদুড়ি |
মন্ত্রী সোমনাথ যে ভাবে মাঝরাতে দলবল নিয়ে বিদেশিনিদের বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন আপ-এর এই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। দলের লিঙ্গবৈষম্য-বিরোধী কমিটিতে প্রস্তাব আনারও চেষ্টা করেন তিনি। মধুদেবীর অভিযোগ, এ বিষয়ে মুখ খোলার সঙ্গে সঙ্গেই দলের সমর্থকরা তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ওই প্রস্তাব আনতে ব্যর্থ হন তিনি। দলের শীর্ষ নেতারা কার্যত দর্শকের ভূমিকা নেন। প্রস্তাব আনার বিপক্ষে মত দেন অন্যতম নেতা যোগেন্দ্র যাদবও।
দলের বক্তব্য, মধু ভাদুড়িকে তাঁর বক্তব্য রাখতে দেওয়া হলেও প্রস্তাব পাশের ক্ষেত্রে বিরোধিতা করা হয়েছে। কারণ, দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এলে অন্যন্য দল তার ফায়দা নিত। কিন্তু মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্নে দলীয় সমর্থকদের মনোভাব দেখে হতাশ মধু। তাঁর বক্তব্য, “আমার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে। ভেবেছিলাম আম আদমি পার্টি সত্যিই আম জনতার। এখন দেখছি দলটা কিছু শীর্ষ নেতার ইচ্ছাতে চলে, যাঁরা বিরুদ্ধ মত শুনতে রাজি নন।’’ শিক্ষাবিদ অমিত ভাদুড়ির স্ত্রী মধু ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন লিসবনে। ২০০৪-এ অবসর নেওয়ার পরে যোগ দেন কেজরিওয়ালের তথ্য জানার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। আপ-এর লিঙ্গবৈষম্য, বিদেশনীতি, জাতীয় সুরক্ষা সংক্রান্ত তিনটি কমিটির সদস্য ছিলেন মধু। তিনটি কমিটি থেকেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। |
|
|
|
|
|