|
|
|
|
লোকপাল অনিশ্চিতই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৩ ফেব্রুয়ারি |
জন লোকপাল বিলে অবশেষে ছাড়পত্র দিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভা। দিল্লি সরকার জানিয়েছে, ১৩-১৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের শেষ দিনে দিল্লি লোকপাল বিলটি পেশ করা হবে। ইন্দিরা গাঁধী স্টেডিয়ামে আমজনতার সামনে ওই বিল পেশ করতে চায় তারা। ১৬ তারিখ বিধানসভার অধিবেশন সেখানেই বসাতে চায় দিল্লি সরকার।
দিল্লিতে কংগ্রেসের সাহায্য নিয়ে সরকার গড়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। কিন্তু ঘনিষ্ঠ মহলে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লি সরকারের বিলটির সঙ্গে কেন্দ্রের লোকপাল বিলের কোনও পার্থক্য থাকলে দল তা সমর্থন করবে না। তারই মধ্যে আজ ফের একটি পদক্ষেপ করেছেন অরবিন্দ। শীলা দীক্ষিতের আমলে হাজার খানেক কলোনিকে বৈধতা দেওয়া নিয়ে তদন্ত করতে রাষ্ট্রপতির সম্মতি চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। ফলে আরও চটেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিজেপি জানিয়েছে, জন লোকপাল বিল নিয়ে বিধানসভাতে বিধি মেনে বিতর্ক হবে। তখন বিলটির নানা দিক পর্যালোচনা করবে দল।
জন লোকপাল বিলকে সরকারের সমর্থক কংগ্রেস বা প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-র মধ্যে কেউই সমর্থন না করলে তা পাশ হবে কি না তা নিয়েই সন্দেহ আছে। তবে বিল পাশ না হলেও লোকসভা ভোটের আগে তাঁদের লাভই হবে বলে মনে করেন আপ নেতৃত্ব। কারণ, তাঁরা প্রচার করতে পারবেন, আপ দুর্নীতি দমনে সক্রিয়। দুই বড় দলই বাগড়া দিচ্ছে। আজ দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া জানিয়েছেন, “আমরা দুর্নীতি দমনে আন্তরিক। আমাদের মতো কারা সত্যিকারের দুর্নীতির শেষ দেখে ছাড়তে চায় তা সমর্থনের প্রশ্ন থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।” কেন্দ্রের বিল ও দিল্লি সরকারের বিলে কী পার্থক্য? কেন্দ্রের বিলে কিছু ক্ষেত্রে (প্রতিরক্ষা, বিদেশনীতি) প্রধানমন্ত্রীকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। দিল্লি সরকারের বিলে মুখ্যমন্ত্রী থেকে ডাকপিওন-কেউই কোনও ছাড় পাননি। জন লোকপাল সমর্থন না করলে যে দুর্নীতি দমন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে তা জানে কংগ্রেস ও বিজেপিও। কংগ্রেসের যুক্তি, লোকপাল আন্দোলনের প্রকৃত নেতা অণ্ণা হজারে কেন্দ্রের আনা লোকপাল বিল সমর্থন করেছেন। কেজরিওয়াল অণ্ণারই প্রাক্তন সহযোগী। এখন অণ্ণার সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ হয়েছে। কিন্তু খোদ অণ্ণা তাদের বিলকে সমর্থন করেছেন। সে ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালদের আনা বিলের সঙ্গে কেন্দ্রের বিলের সঙ্গতি থাকবে না কেন? কংগ্রেস যদি বিলকে সমর্থন না করে তবে বিজেপিরও সুবিধে। বরং ইন্দিরা গাঁধী স্টেডিয়ামের ‘নাটকবাজি’ নিয়ে কেজরিওয়ালের সমালোচনা করতে পারবে তারা। বিলের খামতি নিয়েও সরব হওয়ার সুযোগ আছে।
জন লোকপাল বিলের ভবিষ্যৎ তা-ই অনিশ্চিতই। |
|
|
|
|
|