খাস জমিতে গজিয়ে উঠেছে নতুন নতুন ঝুপড়ি। অন্ধকার নামলেই সেখানে হাজির হয় কিছু বহিরাগত। লাগোয়া যৌনপল্লি থেকেও লোকজনের আসা-যাওয়া শুরু হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়ে হইহল্লা। মাঝে-মধ্যে বেধে যায় গোলমালও।
কুলটির নিয়ামতপুর লাগোয়া লছিপুরের আশপাশের বাসিন্দারা এলাকায় এমনই অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সম্প্রতি। আসানসোলের মহকুমাশাসক ও কুলটি পুর কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন তাঁরা। দুই তরফেরই আশ্বাস, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লছিপুরে জি টি রোড থেকে কিছুটা ভিতরে খানিকটা অঞ্চলে রয়েছে যৌনপল্লিটি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জি টি রোডের দিকে বিস্তার লাভ করেছে এই পল্লি। এলাকায় বেশ কিছু খাস জমি রয়েছে। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী গ্রাম লাগোয়া এই খাস জমিতে ইদানীং ঝুপড়ি ঘর তৈরি করা হয়েছে। জি টি রোডের ধারেও এ রকম ঘর তৈরি করে দেহ ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ। তার ফলে তাঁরা অসুবিধায় পড়ছেন বলে দাবি বাসিন্দাদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রতি রাতেই এখানে প্রচুর বহিরাগত আসে। দুষ্কৃতীদেরও আনাগোনা বাড়ে। তারা নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। তার জেরে অশান্ত হয় এলাকা।
|
এই সব ঝুপড়ি নিয়েই ক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় বাসিন্দা আবীর রায়ের কথায়, “পরিবার নিয়ে বাস করা এখানে দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনকে অনেক বার বলেছি। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না।” আর এক বাসিন্দা শচীন সিংহ বলেন, “এখানে কার্যত সারা রাত ধরে অসামাজিক কাজকর্ম হয়। রাত যত বাড়ে এলাকার পরিবেশ খারাপ হয়।” গোটা বিষয়টি নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা সম্প্রতি একটি সংগঠন গড়ে সভা ডাকেন। সেখানে দাবি ওঠে, কোনও ভাবেই সরকারি খাস জমি দখল করে যৌনপল্লির বিস্তার করা যাবে না। রাত ১০টার পরে এলাকা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। বহিরাগতদের আনাগোনা বন্ধ করতে হবে।
ওই বাসিন্দারা আসানসোলের মহকুমাশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন। মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস জানান, এ বিষয়ে তাঁর বিশেষ কিছু জানা নেই। তিনি বলেন, “সাধারণ বাসিন্দাদের সমস্যা হতে পারে, এ রকম কিছু ঘটলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান কুলটির উপপুরপ্রধান বাচ্চু রায়। তিনি জানান, এ বিষয়ে পুলিশ এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। শীঘ্রই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |