আগামী ৩ মার্চ থেকে শুরু হবে নেতাই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। প্রথম পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা বিচারক পার্থপ্রতিম দাস। গত ১০ ডিসেম্বর মেদিনীপুর আদালতে নেতাই মামলার চার্জগঠন হয়। এই মামলার কবে থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে, তা চূড়ান্ত করার কথা ছিল বুধবার। সেই মতোই দিন চূড়ান্ত হয়।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাইয়ে সিপিএমের ‘সশস্ত্র’ শিবির থেকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। গুলিতে ৪ মহিলা-সহ ৯ জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হন। আহত হন অন্তত ২৮ জন। তদন্তে নেমে ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে আদালতে উল্লেখ করে সিবিআই। ওই বছরের ৪ এপ্রিল ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে চার্জশিট দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে ১২ জন গ্রেফতার হয়েছেন। বাকি ৮ জন ‘ফেরার’। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন লালগড় লোকাল কমিটির সদস্য অবনীভূষণ সিংহ, দলীয় কর্মী অশ্বিনী চালক, শুভেন্দু মণ্ডল ও নবগোপাল সানকি। ‘ফেরার’দের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের বিনপুর (লালগড়) জোনাল কমিটির সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে, ধরমপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক ডালিম পাণ্ডে, বেলাটিকরি লোকাল কমিটির সম্পাদক চণ্ডী করণ, লালগড় লোকাল কমিটির সম্পাদক জয়দেব গিরি। এ ছাড়া রয়েছেন খলিলউদ্দিন, তপন দে, জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য ফুল্লরা মণ্ডল, রথীন দণ্ডপাটের নাম। রথীন দণ্ডপাটের বাড়িতেই সিপিএমের ‘সশস্ত্র’ শিবির ছিল।
আগে ২০১১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতে নেতাই মামলার চার্জগঠন হয়েছিল। ১৪ নভেম্বর থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। আদালতের নির্দেশ মতো ওই দিন সাক্ষ্য দিতে হাজির হয়েছিলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রঞ্জিত পাত্র। রঞ্জিতবাবু নেতাইয়ের ঘটনায় নিহত অরূপ পাত্রের বাবা। তবে, ওই দিন থেকে বিচার-পর্ব শুরু হয়নি। কারণ, এই সময়ের মধ্যে নিম্ন আদালতের চার্জগঠনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় অভিযুক্তপক্ষ। একটি রিভিশন পিটিশন দাখিল করা হয়। আসামীপক্ষের বক্তব্য ছিল, নিম্ম আদালতে যে চার্জগঠন হয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন করে চার্জগঠন করা জরুরি। আবেদন খতিয়ে দেখে নেতাই ত্মামলায় নতুন করে চার্জগঠন করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই মতো চার্জগঠন করা হয়। |