|
|
|
|
|
মেদিনীপুর আদালতে
পিছিয়ে গেল সাক্ষ্যগ্রহণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
হাইকোর্ট আরও এক অভিযুক্তের বিচার জুভেনাইল কোর্টে করার নির্দেশ দেওয়ায় মেদিনীপুর আদালতে পিছিয়ে গেল নেতাই মামলা। হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই মামলায় ধৃতদের মধ্যে স্বপন রায় ঘটনার সময়ে নাবালক ছিলেন। তাই তাঁর বিচার চলবে জুভেনাইল কোর্টে। মেদিনীপুরে আদালতে নেতাই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২২ জানুয়ারি। কবে থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে, তা ওই দিনই ঠিক হবে।
গত ১০ ডিসেম্বর মেদিনীপুর আদালতে নেতাই মামলার চার্জগঠন হয়। তার আগেও একবার চার্জগঠন হয়েছিল। পরে নিম্ন আদালতের চার্জগঠনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় অভিযুক্তপক্ষ। রিভিশন পিটিশন দাখিল করে বলা হয়, নিম্ন আদালতে যে চার্জগঠন হয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। আবেদন খতিয়ে দেখে নতুন করে চার্জগঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই মতো ১০ ডিসেম্বর চার্জগঠন করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। সে দিন লালগড়ের নেতাইয়ে সিপিএমের ‘সশস্ত্র’ শিবির থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। চার মহিলা-সহ ন’জন গ্রামবাসী নিহত হন। আহত হন অন্তত ২৮ জন। তদন্তে নেমে ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে আদালতে উল্লেখ করে সিবিআই। ওই বছর ৪ এপ্রিল ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে চার্জশিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১২ জন গ্রেফতার হয়েছেন। বাকি ৮ জন ‘ফেরার’। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন লালগড় লোকাল কমিটির সদস্য অবনীভূষণ সিংহ, দলীয় কর্মী অশ্বিনী চালক, শুভেন্দু মণ্ডল ও নবগোপাল সানকি। ‘ফেরার’দের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের বিনপুর (লালগড়) জোনাল কমিটির সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে, ধরমপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক ডালিম পাণ্ডে, বেলাটিকরি লোকাল কমিটির সম্পাদক চণ্ডী করণ, লালগড় লোকাল কমিটির সম্পাদক জয়দেব গিরি। এ ছাড়া রয়েছেন খলিলউদ্দিন, তপন দে, জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য ফুল্লরা মণ্ডল, রথীন দণ্ডপাটের নাম। রথীন দণ্ডপাটের বাড়িতেই সিপিএমের ‘সশস্ত্র’ শিবির ছিল বলে অভিযোগ।
২০১১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতে প্রথম বার মামলার চার্জগঠন হয়। ১৪ নভেম্বর থেকে বিচার-পর্ব শুরু হওয়ার কথা ছিল। আদালতের নির্দেশ মতো ওই দিন সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রঞ্জিত পাত্র। রঞ্জিতবাবু নেতাই-কাণ্ডে নিহত অরূপ পাত্রের বাবা। তবে ওই দিন বিচার-পর্ব শুরু হয়নি। কারণ, তার মধ্যে নিম্ন আদালতের চার্জগঠনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় অভিযুক্তপক্ষ। আবেদন খতিয়ে দেখে ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল নেতাই মামলায় নতুন করে চার্জগঠন করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলাটি চলছে মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা বিচারক পার্থপ্রতিম দাসের এজলাসে। নির্দেশ মতো মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতে ফের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে নতুন করে চার্জগঠন হয়। ধৃত ১২ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর মধ্যে রাজীব রায় ঘটনার সময়ে নাবালক ছিলেন। তাই আদালতের নির্দেশে তাঁর বিচার চলছে জুভেনাইল কোর্টে। অভিযুক্তপক্ষের বক্তব্য ছিল, ধৃতদের মধ্যে স্বপন রায়ও ঘটনার সময়ে নাবালক ছিলেন। এ নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। মেদিনীপুর আদালতে মামলার দিন ধার্য ছিল ২১ ডিসেম্বর। ওই দিনই এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মেদিনীপুর আদালতে জমা দেওয়া হয়। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে আগামী ২২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
|
পুরনো খবর: দুই অভিযুক্ত ‘নাবালক’, পিছোল নেতাই মামলা |
|
|
|
|
|